Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মৃত্যুর সাথে লড়ছে চার তলা থেকে ফেলে দেয়া নবজাতক

প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : অমানবিক। ভয়ঙ্কর পৈশাচিক ও নির্মম, নিষ্ঠুরতার শিকার সদ্য জন্ম নেয়া এক হতভাগ্য শিশু। সে এখন হাসপাপতালে মৃত্যুর সাথে লড়ছে। পৃথিবীর আলো বাতাস দেখতে না দেখতেই শিশুটির প্রাণ প্রদ্বীপ নিবু নিবু অবস্থা। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর রমনা থানা এলাকার বেইলী রোডে। একটি বহুতল ভবনের পাশের অপর একটি একতলা ভবনের ছাদ থেকে ওই নবজাতকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার সকালে রমনার বেইলী রোডের আবাসিক এলাকায় থেকে পুলিশ নবজাতকে উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা বলছেন, সদ্য ভূমিষ্ঠ ওই (ছেলে) সন্তানকে চারতলা থেকে ছুড়ে ফেলে হত্যার চেষ্টা করা হয়। পুলিশ জানায়, ওই নবজাতকের মায়ের নাম বিউটি (১৫)। তিনি গৃহকর্মীর কাজ করেন। তার বাবার নাম আবু বক্কর।
রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম জানান, বিউটি তার সদ্য প্রসূত ছেলে সন্তানকে মেরে ফেলার উদ্দেশে চারতলা থেকে ফেলে দেন। নবজাতক শিশুটিকে পুলিশ উদ্ধারের পর রাজধানীর মগবাজারস্থ আদদ্বীন হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেছে। বেইলী রোডের পিঠা ঘরের পাশে ২৬ নম্বর প্রপার্টিজ হাউজিংয়ের ছয় তলা ভবনের চার তলায় গৃহকর্তা আজমল হকের বাসায় ৯ বছর ধরে তিনি গৃহকর্মীর কাজ করেন। অবৈধ গর্ভপাতের ফলে বিউটি ওই ছেলে সন্তানের মা হন।
পুলিশ জানায়, সোমবার সকাল ১০টার দিকে উক্ত ছয় তলা বাড়ির চতুর্থ তলার একটি ফ্লাট থেকে জানালা দিয়ে সদ্য ভুমিষ্ঠ নবজাতককে নিচে ফেলে দেয়। এসময় শিশুটির আর্তচিৎকার চেচামেচি করতে থাকে। পরে স্থানীয়রা রমনা থানায় সংবাদ দেন। রমনা থানার সহকারী পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে শিশুটি উদ্ধারের পর আদদ্বীন হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। এরপর কোন ফ্লাট থেকে নবজাতকটি ফেলা হয়েছে তা পুলিশ খোঁজ করে। এরপর সোর্সের মাধ্যমে প্রপার্টিজ হাউজিংয়ের একটি ভবনের চতুর্থ তলার আজমল হকের ফ্লাট শনাক্ত করে। এরপর পুলিশ সেখানে ঢোকার চেষ্টা করলেও প্রথমে গৃহকর্তা আজমল হক ঢুকতে বাঁধা প্রদান করে। একপর্যায়ে সেখান থেকে পুলিশ গৃহকর্মী বিউটিকে উদ্ধারের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
বিউটি জানিয়েছেন, তার বোনের বাড়ি কুমিল্লায় গত প্রায় এক বছর আগে বেড়াতে যান। সেখানে তার বোনের স্বামী নিরব তাকে ধর্ষণ করে। এতে তিনি গর্ভবতী হন। গতকাল সকালে তার প্রসব বেদনা হলে গৃহকর্তী ফিরোজার মাধ্যমে তিনি বাচ্চা প্রসব করেন। এরপর লোকলজ্জার ভয়ে বাচ্চাটি জানালা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়। তবে তার এই বক্তব্য পুলিশ বিশ্বাস করতে পারছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে রমনা থানার সহকারী পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গৃহকর্মী বিউটিকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধারের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মৃত্যুর সাথে লড়ছে চার তলা থেকে ফেলে দেয়া নবজাতক
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ