পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতা : চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের মোলহেড (বড় স্টেশন) এলাকায় সৌন্দর্যপ্রেমী মানুষের ঢল নেমেছে। প্রাণ জুড়ানো, নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি চাঁদপুর বড় স্টেশন মোলহেড এলাকা। এখানে পদ্মা, মেঘনা আর ডাকাতিয়া নদী এসে মিলিত হয়েছে। তিন নদীর কল কল ধ্বনি, ঢেউয়ের অপরূপ নৃত্য, বর্ষার আকাশে সূর্যমামা আর মেঘমালার লুকোচুরি, কিংবা শেষ বিকেলে টকটকে লাল সূর্যে ঘুমিয়ে পড়ার দৃশ্য অবলোকনে মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঈদকে ঘিরে মোলহেড এলাকায় প্রতিদিনই অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের ঢল নামে। যদিও বিশেষ দিন বাদেও প্রতিদিন অন্তত কয়েক হাজার মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে চাঁদপুরের একমাত্র পিকনিক স্পটটি। তবে এ বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলার কারণে নিরাপত্তার জন্য সন্ধ্যার পর থেকে পুলিশ প্রশাসন দর্শনার্থীদের মোলহেড এলাকা থেকে বের করে দিচ্ছে। এ নিয়েও সৌন্দর্য পিপাসুদের মাঝে কিছুটা ক্ষোভ রয়েছে।
চাঁদপুরবাসীর বিনোদনের জন্য শহরতলীতে ফাইভ স্টার ও কৃতী কুঞ্জ নামে দু’টি শিশুপার্ক রয়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণ খেলনা সামগ্রী না থাকায় ও শহর থেকে দূরে হওয়ায় সৌন্দর্যপ্রেমীদের মাঝে সেইসব স্থান অবলোকনে রয়েছে অনীহা। এছাড়াও গত কয়েক বছর ধরেই চাঁদপুরের অধিকাংশ সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিনোদনপ্রেমীরা অন্যতম স্থান হিসেবে ত্রিনদীর মোহনা মোলহেডকেই বেছে নিয়েছে। এ কারণে ঈদ উপলক্ষে ল²ীপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকেও মোলহেড এলাকায় আসছে অনেক পর্যটক। এখানে সারা বছরই দুপুর থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত বসে মানুষের মিলনমেলা।
মোলহেড এলাকার ত্রিনদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আসা সুমাইয়া, অলকা, জান্নাতসহ আরো কয়েকজন দর্শনার্থী জানান, পরিবার-পরিজন নিয়ে এখানে আসলেই একটু ভালো লাগে। তাছাড়া আর কোনো উল্লেখযোগ্য স্থানও চাঁদপুরে নেই। যদিও এখানে বসার জায়গার স্বল্পতা রয়েছে, এরপরও ঈদ উপলক্ষে দর্শনার্থীদের ভিড়ে দাঁড়ানো জায়গাটুকুও পাওয়া মুসকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একাধিক পর্যটক ও চাঁদপুরবাসী মনে করেন, জরিপ করলে দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হতে পারে চাঁদপুরের মোলহেড এলাকাটি। তাই জেলা প্রশাসন, পৌর প্রশাসন কিংবা সরকারিভাবে বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে এ স্থানটির সৌন্দর্যতা বৃদ্ধিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর দাবি করেন তারা। এদিকে আরো কয়েকজন দর্শনার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চাঁদপুরের একমাত্র বিনোদনের স্থানটিতে ঘুরতে আসলেও সন্ধ্যার পরই পুলিশ সবাইকে বের করে দিচ্ছে। এতে করে অনেক সময় পারিবারিক কাজ সেরে আসতে না আসতেই চলে যেতে হয়।
এ ব্যাপারে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার শামছুন্নাহার বলেন, ঈদ উপলক্ষে মোলহেড এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। প্রতি বছরই ঈদে ছিনতাই, ইভটিজিং রোধে এখানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। বিশেষ করে এ বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলার কারণে জনগণের নিরাপত্তার খাতিরেই সন্ধ্যার পর মোলহেড এলাকাটি জনশূন্য রাখা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।