পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ দিতে গিয়ে যাতে ভুল তথ্য পরিবেশিত না হয়, সেদিকে সর্তক দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
গতকাল রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রয়াত বরেণ্য সাংবাদিক শাহ আলমগীরের স্মরণে ‘স্বপ্নের সারথি শাহ আলমগীর’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গণমাধ্যম প্রসঙ্গে মন্ত্রী একথা বলেন।
অনলাইন গণমাধ্যম সংবাদ পরিবেশনের প্রতিযোগিতার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে এখন সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পরিবেশনের প্রতিযোগিতা। সেটি করতে গিয়ে দেখা যায়, অনেক সময় সংবাদের গুণগতমান নষ্ট হয়। বিশেষ করে অনলাইনগুলোর ক্ষেত্রে সেটি হয়। অনলাইনগুলোকে সবার আগেই সংবাদটা পরিবেশন করতে হয়। কার আগে কে দিল সেটি নিয়ে একটি প্রতিযোগিতা আছে। এটি করতে গিয়ে দেখা যায় যে, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ অনেক সময় হয় না। অনেক সময় ভুল সংবাদ হয়, অসত্য সংবাদ হয়।
এ বিষয়ে সতর্কতা নিশ্চিত করতে পিআইবি (বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট), প্রেস কাউন্সিল, জাতীয় প্রেসক্লাব, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ঢাকা, চট্টগ্রামসহ শহর এবং মফস্বলে কর্মশালা করার পরামর্শ দেন মন্ত্রী।
শীঘ্রই অনলাইন গণমাধ্যমের রেজিস্ট্রেশনের উদ্যোগ প্রসঙ্গে ড. হাছান বলেন, অনলাইনগুলোকে আমরা রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনার জন্য দরখাস্ত আহ্বান করেছিলাম এবং সাড়ে তিন হাজারের বেশি দরখাস্ত পড়েছে। আইটিটিভি, অনলাইন টিভিগুলোকেও আমরা রেজিস্ট্রেশনের আওতা আনার উদ্যোগ নিয়েছি সেখানেও পাঁচশ’ মতো আবেদন এসেছে। আমরা অনেক আগে থেকেই রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার চেষ্টা করছি।
তথ্যমন্ত্রী আরো জানান, খুব সহসা আমরা ১৭ মার্চের পরে থেকে আমরা দেয়ার চেষ্টা করবো, নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না, চেষ্টা করবো। রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আসলে তখন এখানে অনেক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে। মন্ত্রী বলেন, পত্রিকাগুলোর প্রচার সংখ্যা, যেটা ডিএফপি (চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর) থেকে দেয়া হয়, সেটিও একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আসা প্রয়োজন, সেজন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই।
গণমাধ্যমের অনুসন্ধানী রিপোর্টের প্রশংসা করে ড. হাছান বলেন, দেশের একজন নাগরিক হিসেবে, মন্ত্রী হিসেবে নয়, কিছু গণমাধ্যমের অনুসন্ধানী রিপোর্টের জন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। তাদের অনেক অনুসন্ধানী রিপোর্ট সমাজকে উপকৃত করে, সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়।
রিপোর্টিং এর গুণগত মানের উৎকর্ষ সাধনের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক ভালো রিপোর্ট হয়, আমি অনেক রিপোর্টারকে না পেলেও সেই পত্রিকায় ফোন করে অনেক সময় বলি যে ভালো রিপোর্ট হয়েছে, ধন্যবাদ জানাই রিপোর্টারকে। আমি আশা করবো এগুলো যেন আরো উৎসাহিত হয়।
প্রয়াত সাংবাদিক শাহ আলমগীরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তার আত্মা শান্তিতে থাকুক সেই প্রত্যাশা ও প্রার্থনা করে তার জন্য তার পরিবার ও সহকর্মীরা যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে, সেজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। আজ প্রকাশিত স্মারকগ্রন্থের মাধ্যমে তিনি যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকবেন, এ কামনা করি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আআমস আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রয়াতের সহধর্মিণী বেগম মায়া আলমগীর, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক সাইফুল আলম, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, বিশিষ্ট সাংবাদিক রহমান মুস্তাফিজ প্রমুখ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।