পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
খুলনা ব্যুরো ঃ প্রায় ২৪ কোটি টাকা মূল্যের গম দীর্ঘদিন খুলনার দু’টি খাদ্য গুদামে পড়ে থেকে গুণগত মান হারাচ্ছে। বিদেশ থেকে সরকারিভাবে আমদানি করা এই গম শিগগিরই সরবরাহ করা না গেলে মানুষের খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারাই। ফলে অবিলম্বে ওএমএস চালু না হলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে সরকারের ওই বিপুল অর্থের খাদ্যশস্য।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে এবং এ বছরের ফেব্রæয়ারি মাসে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে আমদানি করা হয় অন্তত ২৫ হাজার মেট্রিক টন গম। দীর্ঘদিন ধরে গমগুলো খুলনা মহানগরীর বৈকালী ও মহেশ্বরপাশা সরকারি খাদ্য গুদামে (সিএসডি) রাখা হয়। এ গমের মধ্যে ১২ হাজার মেট্রিক টন কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি (কাবিখা), টেস্ট রিলিফ (টিআর) ও ত্রাণ (জিআর) কর্মসূচির আওতায় বিতরণ করা হয়। আরও প্রায় ১৩ হাজার মেট্রিক টন গম গুদামে পড়ে আছে। যার বাজারমূল্য অন্তত ২৪ কোটি টাকা। কিন্তু গত ৩ জুন থেকে সারা দেশের মতো (ঢাকা ব্যতীত) খুলনা বিভাগেও ওএমএস ডিলারদের মাঝে গম বিতরণ বন্ধ হয়ে যায়। এতে এ বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য নিয়ে শঙ্কায় পড়ে খাদ্য বিভাগ। বর্তমানে কাবিখা, টিআর এবং জিআর কর্মসূচির আওতায় গম বিতরণ বন্ধ থাকায় সে শঙ্কা আরও বেড়ে গেছে।
খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান বলেন, জুন মাসে এসব কর্মসূচি নিয়ম অনুযায়ী সমাপ্ত করা হয়েছে। আগামী আগস্ট মাস নাগাদ ফের চালু হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাহবুবুর রহমান খান জানান, গমগুলো ২০১৫ সাল থেকে গুদামে পড়ে আছে। এগুলোর উৎপাদন হয়েছে আরও আগে। ফলে এর ফুড ভ্যালু তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় আমরা খাদ্য বিভাগ থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছি।
খুলনা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী নুরুল ইসলাম বলেন, দ্রæত গমগুলো সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় বিতরণের সিদ্ধান্ত হতে পারে। খুব শিগগিরই ওএমএস চালু হলে ওই গম বিতরণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।