পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রিফারেন্সেস (জিএসপি) নিয়ে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি ইতিবাচক বলেই আলোচনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, জিএসপি নিয়ে আবেদন করার কিছু নেই। কিছু ক্ষেত্র আছে আলোচনা হবে। তারা যদি মনে করে এসব পূরণ করা হয়েছে তাহলে এ সুবিধা পাওয়া যেতে পারে। আমি মনে করি টিকফার বৈঠকে একটি ভালো খবর আসবে।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় সফররত দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া জিআই সহকারী মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি ক্রিস্টোফার উইলসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে মন্ত্রী একথা জানান। এসময় সাত সদস্য বিশিষ্ট মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদলে প্রতিনিধিত্ব করেন ক্রিস্টোফার উইলসন। এছাড়া বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিনসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শ্রমিক ইস্যু, ডিজিটাল ইকোনোমিকস, কাস্টমসে কোনো সমস্যা আছে কিনা তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমেরিকার সরকার বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরো উন্নত করতে চায়। তারা মনে করে বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য অনেক ভালো স্থান। এখানকার পরিবেশ পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এদেশের অর্থনীতিকে তারা মনে করছে গুরুত্বপূর্ণ। এসব বিবেচনায় আজ আলোচনা হলো। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে টিকফার বৈঠকে চূড়ান্ত আলোচনা করা হবে। যিনি আসছেন তিনি খুব আশাবাদী এ কারণে যে টিকফার বৈঠকে একটি ভালো খবর আসবে। নির্দিষ্ট কোনো খাতে কি তারা বিনিয়োগ করতে চায়, এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তারা বিনিয়োগ করতে চায় সেটা বলেনি। বরং বলেছে আমরা কোথায় বিনিয়োগ চাই। সেক্ষেত্রে আমরা জানিয়েছি বাংলাদেশ ওপেন প্লেস। যে কোনো স্থানে বিনিয়োগ করা যেতে পারে। তবে যিনি বিনিয়োগ করবেন তার ওপর নির্ভর করবে তিনি কোথায় বিনিয়োগ করতে চান।
তিনি বলেন, সরকার বিনিয়োগের ক্ষেত্র অনেক সহজ করেছে ও অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। যারা বিনিয়োগ করবে তারা ব্যবসার শতভাগ লাভ ফেরত নিতে পারবে। তারপর ট্যাক্স হলিডে আছে ৫ ও ১০ বছরের। এসব সুবিধার কথা তারা শুনে গেলো। তারা ফিরে গিয়ে যে স্থানে বিনিয়োগ করতে চায় তা জানাবে।
টিপু মুনশি বলেন, বৈঠকে অনেক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে। যেমন তুলা, কাস্টমস, শ্রমিক, জিএসপিসহ প্রভৃতি। এছাড়া তারা যে সব ইস্যু নিয়ে মনে করেন আলোচনা করা দরকার। জিএসপির স্থাগিতাদেশ প্রত্যাহার নিয়ে তাদের অবস্থন জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সব ব্যাপারেই তাদের সঙ্গে খোলা মনে আলোচনা হবে। তারা সেই আলোচনা করতেইতো এসেছে। তারা পজিটিভ বলেই এ বিষয় নিয়ে আলোচনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।