পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিনে অনুপস্থিত ছিলেন ৬ হাজার ৮২৬ জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষায় নকল করার দায়ে বহিষ্কার করা হয়েছে সাত শিক্ষার্থীকে। এছাড়া বহিষ্কৃত হয়েছেন দুইজন পরিদর্শকও। গতকাল (সোমবার) চলতি বছর এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিনে পরীক্ষা শেষে বিকেলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি আবু বক্কর ছিদ্দিক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এ বছর এই পাবলিক পরীক্ষায় সারা দেশের তিন হাজার ১৪৩টি কেন্দ্রে এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ১৬ লাখ ৫১ হাজার ৫২৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। প্রথম দিনে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, সহজ বাংলা প্রথম পত্র এবং বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রথম পত্রের পরীক্ষা হয়েছে। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিলে কুরআন মাজিদ ও তাজবীদ এবং এসএসসি ভোকেশনালে বাংলা-২ (১৯২১) (সৃজনশীল) ও বাংলা-২ (৮১২১) (সৃজনশীল) ও দাখিল ভোকেশনালে বাংলা-২ (১৭২১) (সৃজনশীল) পরীক্ষা হয়েছে। প্রথম দিনের পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডে ৮৪৭ জন, রাজশাহীতে ৪২১ জন, কুমিল্লায় ৫১০ জন, যশোরে ৪২৩ জন, চট্টগ্রামে ২৭৯ জন, সিলেটে ২৫২, বরিশালে ২৫০ এবং দিনাজপুর বোর্ডে ৩০৬ জন অনুপস্থিত ছিল। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে দুই হাজার ৫৯৭ জন এবং কারিগরি বোর্ডে ৯৪১ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। যশোর ও মাদরাসা বোর্ডে একজন করে এবং কারিগরি বোর্ডে পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া যশোর ও মাদরাসা বোর্ডের একজন করে পরিদর্শককেও বহিষ্কার করা হয়েছে।
এদিকে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গতকাল পরীক্ষার প্রথম দিনে রাজধানীতে তেজগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় অপেক্ষামাণ অভিভাবকদের সাথে আলাপকালে মন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের নিয়ে কোনো প্রকার দুশ্চিন্তা না করার পরামর্শ দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো আশঙ্কা নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রশ্নপত্র ফাঁসের চেষ্টা চালাতে পারে কোচিং সেন্টারসহ এমন সব চক্রকে কঠোর নজরদারিতে রেখেছে। নাহিদ বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়িয়ে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করতে চায়, অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করে তোলে। অভিভাবকদের এ ধরনের গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যারা এ ধরনের গুজব ছড়ায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, এ ধরনের গুজব ছড়ানো রোধে ফেসবুক নজরদারিতে রাখছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি কমিশন। এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্নপত্র ছাপানো, প্যাকেট করা ও বিতরণ ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব রোধে গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।