পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যেকোন সঙ্কটের মোকাবেলায় সামগ্রী কাজে আসবে
প্রতিটি ৩ তলা ভবনে ব্যয় হবে প্রায় দুই কোটি টাকা
আজিবুল হক পার্থ : দেশের যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং চলমান গরীব দুস্থদের সাহায্য বিতরণ করার লক্ষ্যে সারা দেশের প্রায় সব জেলায় ত্রাণ গুদাম করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এলক্ষ্যে দেশের ৫৩টি জেলায় একটি করে তিন ত্রাণ নির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে। সেই মোতাবেক প্রায় দুই কেটি টাকা করে ব্যয় ধরে ৫৩ জেলায় ত্রাণ গুদাম নির্মাণের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবণা তৈরি করেছে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে জরুরী প্রয়োজনী যেমন ত্রাণ সরবারহ সহজ হবে। তেমনি স্থানীয় ত্রাণের পণ্যের পরিবহন ব্যয় কমবে।
জানা গেছে, দুর্যোগ মোকাবেলায় ঘটনাস্থলে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, ঢেউটিন, তাঁবু, কম্বল, শীতবস্ত্র, বিভিন্ন সরঞ্জামাদি, জরুরি খাদ্য দেয়ার লক্ষ্যে চাল, গম ইত্যাদি বিতরণ করা হয়। কিন্তু জেলা পর্যায়ে এ সকল ত্রাণসামগ্রী সংরক্ষণের কোনো গুদাম না থাকায় প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অপর্যাপ্ত পরিসরে অস্থায়ীভাবে বিতরণ সামগ্রী রাখা হয়। ফলে অনেক সময় এসব ত্রাণসামগ্রীর গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে অনেক সময় এসব ত্রাণ সামগ্রী সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা যায় না। এসব কারণে দুর্যোগকবলিত এলাকায় দুদর্শাগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর কাছে দ্রুত ত্রাণ সামগ্রী ও মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয় না। এসব সমস্যার কথা চিন্তা করে একটি কেন্দ্রীয় ত্রাণ গুদামসহ ৫৩টি জেলায় ৫৫টি ত্রাণ গুদাম নির্মাণ করা হবে। ঢাকা ও পটুয়াখালী জেলায় দু’টি করে ত্রাণগুদাম নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি গুদাম নির্মাণে ব্যয় করা হবে ১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। চলতি সময় থেকে ২০১৮ সালের মধ্যেই ত্রাণ গুদামগুলো নির্মিত হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, দুর্যোগপ্রবণ জেলাগুলোতে ত্রাণ গুদাম নির্মাণ শীর্ষক একটি প্রকল্পের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) জমা পড়েছে। প্রকল্পের আওতায় ৮টি বিভাগের ২৫টি জেলায় পরিদর্শন বাংলোসহ ২৬টি ত্রাণ গুদাম এবং ২৮টি জেলায় পরিদর্শন বাংলোসহ ২৯টি ত্রাণ গুদাম নির্মাণ করা হবে। এসব গুদামের আয়তন হবে ১০ হাজার ৮০০ বর্গফুট থেকে ১৬ হাজার ২০০ বর্গফুট।
প্রস্তাবণায় বলা হয়েছে, ত্রাণ গুদামের নকশা পরিবর্তন করা হবে এবং একই নকশায় তিনতলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করা হবে। যার মধ্যে নিচতলায় ত্রাণ সামগ্রী রাখার গুদাম এবং দ্বিতীয় তলায় শুকনা খাদ্য সামগ্রী সংরক্ষণ করা হবে। তৃতীয় তলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সেলের প্রয়োজন অনুসারে পরিদর্শন বাংলো থাকবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ভৌগোলিক অবস্থা অনুযায়ী দেশের মধ্যবর্তী অঞ্চলে বন্যা, নদীভাঙন ও জলাবদ্ধতা, উত্তরাঞ্চলে প্রচ- শীত, খরা এবং উপকূলীয় অঞ্চলে সাইক্লোন-জলোচ্ছ্বাস আঘাত হানে। বাংলাদেশ বিশ্বের দুর্যোগপ্রবণ দেশের মধ্যে অন্যতম। প্রায় প্রতি বছরই কোনো না কোনো দুর্যোগ উপকূলীয় জেলা এবং নদীবাহিত জেলাগুলোতে আঘাত হানে। ফলে দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় প্রচুর পরিমাণে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়। এ সমস্যা নিরসনে ৫৩টি জেলায় কোটি টাকা মূল্যের উন্নতমানের তিনতলা বিশিষ্ট খাদ্য গুদাম নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় গুদামগুলো নির্মাণ করা হবে, যেন জরুরি খাদ্য ঘাটতি নিরসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহমেদ বলেন, আমাদের সমগ্র দেশেই কোনো না কোনো দুর্যোগ লেগেই থাকে। এসব কথা চিন্তা করে ৫৩টি জেলায় ৫৫টি ত্রাণ গুদাম নির্মাণ করবো, যেন যেকোনো দুর্যোগে খাদ্যসহ নানা প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছানো সহজ হয়। সরকারি অর্থায়নে ত্রাণ গুদামগুলো নির্মাণ করা হবে।
অধিদফতারের কর্মকর্তারা জানায়, প্রস্তাবিত প্রকল্পের প্রতিটি ত্রাণ গুদাম হবে আধুনিক ও উন্নতমানের তিনতলা বিশিষ্ট। নিচতলায় প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী থাকবে। দ্বিতীয় তলায় তথ্য আদান-প্রদানের উন্নত মাধ্যম থাকবে। যেখান থেকে ঘটনাস্থলের প্রয়োজনীয় তথ্য আদান-প্রদান করা হবে। আমাদের চলমান প্রকল্পের কর্মকর্তা ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে সংশ্লিষ্টদের আবাসন সুবিধায় তৃতীয় তলায় থাকবে বাংলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।