পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : স্যার জন চিলকোট কাল ৬ জুলাই তার দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ইরাক বিষয়ক তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করবেন। এ রিপোর্টে তিনি যাই বলে থাকুন না কেন, একটি বিষয় সুস্পষ্ট যে ১৩ বছরেরও বেশি সময় আগে যে দেশটিতে চালানো আগ্রাসনে তার দেশ অন্যতম প্রধান নেতৃত্ব দিয়েছিল সে ইরাক আজও ঘোর অশান্তি কবলিত। ইরাকে হামলা চালানোর জন্য তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জন ব্লেয়ারকে যদি দোষী সাব্যস্তও করেন, তা ইরাকের সহিংসতা অবসানে কোনো সাহায্য করবে না। বস্তুত ইরাকের যা সর্বনাশ করার তা করে ফেলা হয়েছে।
২ জুলাই বাগদাদে বোমা হামলায় ৮০ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে বহু। এটা হচ্ছে ইরাকে চলমান নৃশংস বোমা হামলার সর্বশেষ ঘটনা। এ মাসের গোড়ার দিকে আরো দুটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় বাগদাদে ৩০ জন নিহত হয়। তিন সপ্তাহ আগে বাগদাদে আরেক বোমা হামলায় ৬৯ জন নিহত হয়। তার এক সপ্তাহ আগে একটি বাজারে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে নিহত হয় ৯৩ জন। ১০ দিন আগে নিহত হয় আরো ৩৩ জন। বোমা হামলা চলছেই। এসব বোমা হামলার জন্য দায়ী করা হয় নৈরাজ্যবাদী সন্ত্রাসবাদী তথাকথিত ইসলামিক স্টেটকে (আইএস, আইসিস, আইসিল বা দায়েশও বলা হয়)। ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে পড়ে গ্রুপটি ইরাক ও সিরিয়ায় তাদের দখল করা স্থানগুলোর বেশির ভাগ ইতিমধ্যে হারিয়েছে, একই সাথে কমছে তাদের যোদ্ধাদের সংখ্যা। তারা উপায় না দেখে বেছে নিয়েছে গোষ্ঠীগত সহিংসতার পন্থা যা তীব্রতর হচ্ছে। তবে তাদের এ কৌশল কাজ দিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল এবাদি ২ জুলাই যখন বাগদাদের বোমা হামলার স্থল পরিদর্শন করেন তখন ক্রুদ্ধ শোকাহত স্থানীয় জনতা তার গাড়িবহরের উপর পাথর নিক্ষেপ করে।
আইএসের এই সীমাহীন সহিংসতার জবাব কী? একটি সহজ যুক্তি যে আইএস যতক্ষণ না পরাজিত হচ্ছে ততক্ষণ অবশ্যই লড়াই চালাতে হবে। তারা গুরুত্বপূর্ণ ফাল্লুজা শহরে পরাজিত ও সেখান থেকে বিতাড়িত হয়েছে। শিগগিরই ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী মসুল থেকেও তাদের বিতাড়িত করার অভিযান শুরু হবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, আইএসকে যদি নির্মূলও করা হয়, এ রকম আরেকটি গ্রুপের আবির্ভাব ঘটবে ও তারা পূর্ববর্তীদের জায়গা নেবে। যতক্ষণ না ইরাকের সুন্নী মুসলিম গোষ্ঠী উপলব্ধি না করে যে তারা শিয়া প্রধান সরকার কর্তৃক আর নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হচ্ছে না এবং তাদের প্রতি ন্যায্য আচরণ করা হচ্ছে ততদিন এ নির্মম হত্যা-সহিংসতা এবং শিয়া-সুন্নী হানাহানি চলতেই থাকবে।
উল্লেখ্য, ইরাক যুদ্ধে ব্রিটেনের ভূমিকা তদন্ত করে দেখতে ২০০৯ সালের ২৪ নভেম্বর স্যার জন চিলকোটের নেতৃত্বে এ তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ২০১১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি এ তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের কথা থাকলেও নানা জটিলতায় তার প্রকাশ বিলম্বিত হয়। অবশেষে কাল তদন্ত রিপোর্টটি প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। সূত্র দি টেলিগ্রাফ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।