পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
গোদাগাড়ী (রাজশাহী) থেকে মো. হায়দার আলী : রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলাসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ঐতিহ্যবাহী কাশবন বিলুপ্ত হতে চলেছে। ওইসব কাশবন নষ্ট করে তৈরি হচ্ছে ফসলি জমি ও বসতি। এর প্রধান কারণ দিনে দিনে আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে জনসংখ্যা সে সাথে যৌথ পরিবারগুলো ক্রমান্বয়ে ভেঙে একক পরিবারে পরিণত হচ্ছে। প্রয়োজনের তাগিদে মানুষ পতিত জমি, পুকুর পাড়, বিলের ধার, নদীর ধারে জেগে উঠা পতিত জমিগুলো ফসলী জমি ও বসতবাড়িতে পরিণত করায় কাশবনের দ্রুত বিলুপ্ত ঘটছে। কয়েক বছর পূর্বে গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের দিয়াড় মানিকচর, কানাপাড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার আলাতুলি, জালিয়াপাড়া, দেবী নগর, হড়মা ইত্যাদি এলাকায় হাজার হাজার একর জমিতে আপনা-আপনি গড়ে উঠত কাশবন। মানুষ কাশবনে ফুল হওয়ার পর তা কেটে রোদে শুকিয়ে পালা করে রাখতেন। এগুলো জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করাসহ ঘর-বাড়ি তৈরী, বেড়া দেয়া, ঝাঁটা তৈরি, পানের বর তৈরি, শিম, কুমড়া, লাউ, শশা, খিরা, মিষ্টি কুমড়ার টাল তৈরিতে ব্যবহার করা হতো। গরু-মহিষ-ছাগলের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হতো। কাশের খড় দিয়ে তৈরি ঘর খুব ঠা-া হওয়ায় গরমকালে মানুষ ফ্যান ছাড়ায় মানুষ ঘুমাতে পারত, বসবাস করতে পারত। সারি সারি কাশবনের খড় দিয়ে তৈরি ঘর শোভাবর্ধন করত, দেখতে কি সুন্দর লাগত। কিন্তু ওইসব এখন রূপকথার গল্প মাত্র, এ যুগে কেউ বিশ্বাস করতে চাই না। কবির ভাষা অনেকে বলত, আনন্দের শিউলির সুগ্ধ নিয়ে প্রকৃতিতে আসে শরৎ। খোলা প্রান্তরে কাশের গুচ্ছ আর নীল আকাশে চলে সাদা মেঘের ভেলা আর সোনালি উজ্জ্বল রোদের খেলা। শরতের শুভ্র মেঘ একটু হলেও বদলে দেয় আমাদের জীবন-যাপন, চলাফেরা, মানুষ, পশু, পাখির বাসা থেকে বের হতো বারণ করে দেয়। শরৎ যেন রাঙিয়ে তোলে নিজস্ব বর্ণ ও গন্ধ দিয়ে। হিমেল হাওয়া নদীর নদীর আঁকাবাঁকা স্রোতের গন্তব্য এক অজানা পথে। মাঝির পালের হাওয়ায় বকসাদা কাশফুলগুলো দোলে মনের আনন্দে। অবরিত কাশফুলের ¯িœগ্ধ উপস্থিতিই এক সময় জানান দিত এখন শরতকাল। কিন্তু সে কাশফুল দিনে দিনে বিলুপ্ত হতে চলেছে। মানুষ সামান্য সচেতন হলে আবার কাশবনে ভরে উঠতে পরে আমাদের বাড়ির চারপার্শ্ব, নদীরধার, পুকুরপাড়, রাস্তার দুধার, ডোবা বা ক্যানেলের পাড়। আবার বিভিন্ন বয়সের মানুষ মনের অজান্তেই হারিয়ে যেতে পারত সেই চিরচেনা কাশবনে। কাশবনের চাষে বাড়তি পরিচর্যা, জমি চাষ, সার প্রয়োগের প্রযোজন নেই। প্রকৃতিগতভাবে আপনা-আপনি বিজ ছিটিয়ে পড়ে এর জন্ম হয়। সরকারিভাবে কাশফুল সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া জরুরি বলে সচেতন মহল মনে করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।