পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিভিন্ন স্কোয়াড্রন ও ইউনিটকে বিমান বাহিনী পতাকা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধু এর অর্ন্তগত ৩৫ স্কোয়াড্রন, ২০৫ রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিট এবং শারীরিক যোগ্যতা স্কুলকে তাদের কর্তব্য নিষ্ঠা ও কর্মদক্ষতার স্বীকৃতি স্বরূপ, ‘বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পতাকা’ প্রদান করেন।
বিমানবাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধু এর প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছলে বিমান বাহিনী প্রধানকে স্বাগত জানান ঘাঁটির এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল মো. সাঈদ হোসেন। পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে বিমান বাহিনী প্রধান বঙ্গবন্ধু ঘাঁটি আয়োজিত একটি মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন। কুচকাওয়াজে নেতৃত্ব দেন উইং কমান্ডার মো. শফিকুল হাসান খান।
বিমান বাহিনী প্রধান বাদক ও পতাকা বাহী দলের সমন্বয়ে একটি আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে ৩৫ স্কোয়াড্রন, ২০৫ রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিট এবং শারীরিক যোগ্যতা স্কুলকে ‘বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পতাকা’ হস্তান্তর করেন। বিমান বাহিনী পতাকা হস্তান্তরের পর বিমান বাহিনী প্রধান মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।
পরে তিনি বিমান বাহিনীর সকল স্তরের সদস্যদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তব্যে তিনি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানসহ বাংলাদেশ বিমান বাহিনী তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সকল বীর শহীদদের। এছাড়াও তিনি বিমান বাহিনীর ৩৫ স্কোয়াড্রন, ২০৫ রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিট এবং শারীরিক যোগ্যতা স্কুলএর গৌরবোজ্জল ইতিহাস তুলে ধরেন।
তিনি বাংলাদেশের প্রতিরক্ষায় ৩৫ স্কোয়াড্রনের সক্ষমতার প্রশংসা করেন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সকল ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতির সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত এবং মাননিয়ন্ত্রণে ২০৫ রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিটের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথাও তিনি উল্লেখ করেন। এছাড়াও তিনি বিমান বাহিনীর সদস্যদের শারীরিক যোগ্যতা বজায় রাখাসহ ক্রীড়া ক্ষেত্রে যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদানে শারীরিক যোগ্যতা স্কুলে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের প্রশংসা করেন।
বিমানবাহিনীর পতাকা অর্জনকারী স্কোয়াড্রন এবং ইউনিটের প্রতিটি সদস্যকে বিমানবাহিনী প্রধান অভিনন্দন জানান এবং বিমান বাহিনীর সম্মানের প্রতীক হিসেবে প্রদানকৃত কালার এর মর্যাদা ও সম্মান অক্ষুন্ন রাখতে সকলকে সচেষ্ট থাকতে বলেন। পরিশেষে একটি মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ ও বর্ণিল আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধু এর সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। পরবর্তীতে তিনি পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে বিমান বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারগণ এবং বিমান বাহিনীর অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।- আইএসপিআর
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।