পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার সর্বশেষ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন হাইকোর্ট। আগামী বুধবার বিকেল ৫টার মধ্যে প্রতিবেদনটি সুপ্রিমকোর্ট রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নতুন করে জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে গতকাল রোববার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) ভিসিকে এ আদেশ প্রতিপালন করতে বলা হয়েছে।
আদালত তার আদেশে বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য পূর্বে যে বোর্ড গঠিত হয়েছিল, সেই ‘অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্ট’র সুপারিশ অনুসারে খালেদা জিয়া তার চিকিৎসা করাতে সম্মতি দিয়েছেন কিনা। যদি সম্মতি দিয়ে থাকেন তাহলে সুপারিশ অনুসারে তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে কিনা। সম্মতি দিয়ে থাকলে তার বর্তমান শারীরিক অবস্থা কী, তা জানাতে বলা হচ্ছে বিএসএমএমইউ’র ভিসিকে। গতকাল জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে নতুন করে আবেদন করা হয়। এতে বলা হয়, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তার উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে না। তাই জামিন পেলে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যাবেন। যদিও-এর আগে একই মামলায় ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের ডিভিশন বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।
পরে ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর হাইকোর্টের খারিজাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। ওই আপিলের শুনানি নিয়ে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন চেয়ে আদেশ দেন আপিল আদালত। তবে শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার জামিন দেননি আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টে নতুন করে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানিকে কেন্দ্র করে গতকাল দেশবাসী ছিলেন উৎসুক। শুনানিকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই বিএনপি সমর্থক আইনজীবী হাইকোর্ট এলাকায় ভিড় জমাতে থাকেন। তবে তাদের ‘ভিড়’ ঠেকাতে তৎপর ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও। ৫টি প্রবেশদ্বারে নেয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কড়াকড়ির মধ্যেও বিপুল সংখ্যক আইনজীবী আদালতে আসেন। হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের ৯ নম্বর আদালতের সামনে ভিড় জমান তারা। আদালতের বাইরে অবস্থানকারী বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের কেউ কেউ নতুন করে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের সমালোচনা করছিলেন। কেউ বা আগাম বলে দিচ্ছিলেন এ আবেদনের পরিণতিও। এসময় আদালতের বারান্দায় লাঠি হাতে প্রস্তুত ছিলেন পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় পুলিশ রমনা ডিসির দোহাই দিয়ে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের ওখান থেকে সরে গিয়ে বারান্দা ফাঁকা করে দিতে বলেন। যদিও সংবাদকর্মীদের কেউ তাদের অবস্থা থেকে সরেননি।
বিকেল ৩টার দিকে আদেশ দেন আদালত। আদেশের পর এনেক্স ভবনের সামনে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে টিভি ক্যামেরার সামনে কয়েক মিনিট স্লোগান দেন।
উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৭ বছরের দন্ডাদেশের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে অর্থদন্ড স্থগিত এবং সম্পত্তি জব্দের ওপর স্থিতাবস্থা দিয়ে ২ মাসের মধ্যে ওই মামলার নথি তলব করেন। গতবছর ২০ জুন বিচারিক আদালত থেকে মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। গতবছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিল করা হয়। ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ড দেন। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি রয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।