পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সোহান নামের এক চোরকে ধরতে গিয়ে তার ঘর থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও এক রাউন্ডগুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে ৭ দশমিক ৬২ বোরের পিস্তলটি সাধারণত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবহার করে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির গুলশান বিভাগের ডিসি সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।
গতকাল দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, এই পিস্তল অন্য কারো ব্যবহারের সুযোগ নেই। তবে এই অস্ত্র সে কোথায় পেয়েছে বা কোথা থেকে এসেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সোহান একাধিক মামলার আসামি জানিয়ে তিনি বলেন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ সময় সে বলেছে, এক লোকের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে বিদেশি পিস্তলটি কিনেছে। কেনার পর সে এখনো ওই পিস্তলটি ব্যবহার বা প্রদর্শন করেনি বলে দাবি করেছে। তবে তার কথা আমরা খতিয়ে দেখছি। এছাড়া অস্ত্র আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কে বা কোন সংস্থা ব্যবহার করতো তা জানতে সকলকে ম্যাসেজ দেওয়া হয়েছে। অথবা কারো খোয়া গিয়ে থাকলে কেউ যোগাযোগ করে কিনা তাও জানা যাবে। এর বাইরে পিস্তলটি কেউ ভাড়া দিয়েছে কিনা অথবা অন্য কেউ সরবরাহ করেছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে গত বছর শাহবাগ থানা থেকে একজন এএসআইয়ের বিদেশি পিস্তল খোয়া যায়। চোরের ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রটি সেটি কিনা জানতে চাইলে সুদীপ কুমার বলেন, এটি ডিএমপির কোনো অস্ত্র নয়। অস্ত্রাগারে সিরিয়াল মেলানো হয়েছে। এটি ঢাকার বাইরের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কারও অস্ত্র হবে। আসলে এটি কার সেটিও বের হবে বলে আশা করছি।
তিনি জানান, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মানিকদি এলাকার আমিনুল ইসলামের বাসায় দরজা ভেঙ্গে চুরির ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই বাসা থেকে ৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, এক জোড়া স্বর্ণের বালা, দুটি স্বর্ণের ব্রেসলেট, তিনটি স্বর্ণের গলার চেইন, দুটি গলার হার, তিন জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, ৮টি স্বর্ণের আঙটি, যার ওজন ১০ ভরি চুরি হয়। পরে এ ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার তদন্তে মোহাম্মদ সোহানের নামের এক ব্যক্তির যোগসাজস পায় পুলিশ। এক পর্যায়ে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পল্লবী থানাধীন শহীদবাগ কালাপানি এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোহানকে আটক করা হয়। পরে ক্যান্টরমেন্ট থানায় দায়েরকৃত মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
গুলশানের ডিসি জানান, সোহানকে গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে বিভিন্ন চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া মালামালের মধ্যে রয়েছে- একটি ৭ দশমিক ৬২ পিস্তল, একটি পিস্তলের ম্যাগাজিন, এক রাউন্ড গুলি, ৩০০ গ্রাম গাঁজা, নগদ তিন লাখ ৮০ হাজার টাকা, একটি স্টেইনলেস স্টিলের চাকু, একটি স্টেইনলেস স্টিলের খুর, মোবাইল ১১টি, দুটি ক্যমেরা, দুটি স্ক্রু ড্রাইভার, লোহার তৈরী ৬টি র্যাথ, স্টেইনলেস স্টিলের রেঞ্জ দুইটি, ঘড়ি পাঁচটি, ছোট স্ক্রু ড্রাইভার চারটি, ষ্টিলের সন চারটি, তালার চাবি ২২টি, নাইফ দুইটি, একটি ম্যাগনিফাইং গ্লাস, একটি ট্যাব, মানিব্যাগ তিনটি, একটি সুপার গøু, বিভিন্ন ধরনের ইমিটেশন চুড়ি পাঁচটি, ইমিটেশন আংটি পাঁচটি, ইমিটেশন গলার হাড় ছয়টি, ইমিটেশন গলার চিক একটি, পাথর সংযুক্ত কানের দুল দুইটি, ইমিটেশনের কানের দুল চার জোড়া, ইমিটেশনের ব্রেসলেট দুইটি, এক জোড়া রূপার পায়ের নুপুর, একটি কালো রংয়ের রিচার্জেবল টর্চ লাইট ও একটি লাল রংয়ের বড় সাইজের হাতলযুক্ত ব্যাগ।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরো জানান, সোহান অভিনব কৌশলে চুরি করে। সে বিভিন্ন চ্যানেলে নিয়মিত ক্রাইমপেট্রোল দেখে চুরির কাজে লিপ্ত হয়। তবে সে দিনের বেলা চুরি করত। প্রথমে তার সহযোগী আসামীদের নিয়ে চুরি করলেও পরবর্তী সময়ে সে একাই চুরি করে। যে সকল বাসায় লাইট এবং ফ্যান বন্ধ থাকে এবং যে বাসায় সিকিউরিটি গার্ড থাকে না সে সকল বাসায় চুরি করার জন্য টার্গেট করে। পরবর্তী সময়ে সে তার টার্গেটকৃত বাসায় রেঞ্জ, স্ক্রু ড্রাইভার, হেসকো বেøড, টেস্টার, ডুপ্লিকেট চাবিসহ চুপিসারে প্রবেশ করে। তবে প্রবেশের আগে তালা খুলে বা ভেঙ্গে বাসায় ডোরলক থাকলে দরজায় পিঠ লাগিয়ে সজোরে ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে চুরি করে সে। এছাড়াও টার্গেটকৃত বাসায় দারোয়ান থাকলে ওই দারোয়ানের গতিবিধি লক্ষ করে সুযোগমত সে বাসায় প্রবেশ করে।
রাজধানীবাসীর উদ্দেশ্যে সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, আপনারা বাসায় মূল্যবান জিনিস ভালো করে তালাবদ্ধ করে রাখবেন। প্রয়োজনে মূল্যবান জিনিসের নিরাপত্তায় ব্যাংকের ভল্ট ব্যবহার করতে পারেন। বাড়িতে নিরাপত্তা ডিভাইস ও সিসি ক্যামেরা লাগাতে পারেন। আপনার ঘর নিরাপত্তা দিতে পুলিশের দায়িত্ব রয়েছে। পাশাপাশি আপনাদেরও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।