পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘গ্লোবাল টেরোরিজম ইনডেক্সে ছয় ধাপ পিছিয়ে ৩১ নম্বরে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। এ সূচকে ২০১৮ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ২৫-এ। ২০১৯ সালের সূচকে ৬ ধাপ পেছানোর অর্থ, দেশে সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি আরও কমেছে।’
গতকাল সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের মানিক মিয়া লাউঞ্জে ‘উগ্রবাদ রোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য তুলে ধরেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন. জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও দৃষ্টি আকর্ষণ করাটাই সন্ত্রাসবাদীদের কাছে মূখ্য। তারা ম্যাক্সিমাম মিডিয়া কভারেজকে টার্গেট করে আক্রমনের চেষ্টা করে থাকে। এক্ষেত্রে টেরোরিজম দমনে মিডিয়ার সহযোগিতা পুলিশের জরুরী।
মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রিকশনসগুলোতে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে প্রচার বিমূখ থাকতে বলা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের মিডিয়ায় প্রচারের মাধ্যমে ভিলেন হিসেবে উপস্থাপন করা যাতে কেউ উৎসাহিত না হয়; যেকোনো সন্ত্রাসী দমন অভিযান লাইভ টেলিকাস্ট না করা, হোস্টেজ সিচুয়েশনে প্রচারের ক্ষেত্রে হোস্টেজদের পরিচয়সহ নানান কিছু প্রচার না করা এবং সন্ত্রাসবাদের বিপক্ষে জনমত গঠন করা। জনগণকে ইনফর্ম করতে মিডিয়ার দায়িত্ব রয়েছে। সেক্ষেত্রে সবকিছু বিবেচনা করতে হবে।
মিডিয়া প্রচার পাওয়া নিয়ে অতীতের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সম্পর্কে মনিরুল ইসলাম বলেন, ২০০৫ সালে তাদের উপস্থিতি মানুষের মধ্যে জানান দিতে দেশের ৬৩ জেলায় সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছিল। তারা মিডিয়ার প্রয়োজন মনে করে কয়েকটি কারণে। তার মধ্যে দায় স্বীকার, জনগণকে তাদের অস্তিত্ব জানানো, আতঙ্কিত করা, ত্রাস সৃষ্টি করাসহ তাদের মেসেজ পৌঁছে দিতে। মিডিয়ার মাধ্যমে তারা হামলার কারণ প্রচার করছে। প্রচারের মাধ্যমে তাদের সাপোর্টারদের কাছে মেসেজ পৌঁছে দেওয়া ও পটেনশিয়াল সাপোর্টারদের দলে ভেড়ানোর কাজ করছে। তারা টার্গেট হিসেবে সিম্বলিক ও আইকনিক টার্গেটকে বেছে নেয়। এক্ষেত্রে তারা নারীদেরও ব্যবহার করে থাকে।
তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাসবাদীরা যেভাবে প্রচার চায় সেভাবে প্রচার না পেলে মিডিয়ার বিপক্ষে চলে যায়। এক্ষেত্রে তারা সংবাদকর্মীদেরও টার্গেট করে থাকে। আমরা মিডিয়ার ভূমিকাকে অনেক বড় করে দেখি। আমরা মানুষকে সতর্ক বা সচেতন করতে মিডিয়ার সহযোগিতা নিয়ে থাকি।
সেন্টার ফর সোশ্যাল অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশন (সিসার্ফ) আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন- এটিএন বাংলার সিইই জ ই মামুন, জিটিভির প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, ৭১ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাবু প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন সিসার্ফ প্রধান শবনম আজিম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।