Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ছেলের খোঁজে আর্টিসানের সামনে মা-বাবা

প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : গুলশানে হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনায় রক্তাক্ত এক তরুণকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ে যাচ্ছে।
সাংবাদিকদের কাছে এমন ছবি দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন মাহমুদা বেগম ও আবদুস সাত্তার। জানা গেল রক্তাক্ত ওই ছেলেটির নাম জাকির হোসেন শাওন। তিনি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় বাবুর্চির সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। মাহমুদা ও সাত্তার জাকিরের মা-বাবা। হামলার পর থেকে ছেলের কোনো খবর পাচ্ছেন না তারা। তাই গতকাল সোমবার দুপুরে জাকিরের একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি নিয়ে হলি আর্টিসানের সামনে হাজির হন তারা। তাদের সঙ্গে ছিলেন আরও কয়েকজন স্বজন। পরিবারটিকে ছবি হাতে কাঁদতে দেখে সেখানে উপস্থিত কয়েকজন ফটো সাংবাদিক তাদের তোলা ছবিগুলো বের করেন। সেখান থেকে পুলিশ নিয়ে যাচ্ছে এমন একটি রক্তাক্ত ছেলের ছবিকে জাকির বলে চিহ্নিত করেন মা-বাবা। তাদের কাছে পাসপোর্ট সাইজের ছবির সঙ্গেও এর মিল পাওয়া যায়।
মা মাহমুদা বলেন, ছেলে ওই রেস্তোরাঁর বাবুর্চির সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। হামলার পর থেকেই তাকে খুঁজে পাচ্ছেন না। তার (শাওন) খোঁজে কয়েকবার গুলশান থানার পুলিশের কাছে গেছেন। পুলিশ ইউনাইটেড হাসপাতালে জাকিরকে খোঁজার কথা বলে। সেখানে গিয়ে তারা ছেলেকে পাননি। গত রোববারও রাত দেড়টা পর্যন্ত তারা গুলশান থানায় বসেছিলেন। কিন্তু পুলিশ ছেলে জাকিরের কোনো খোঁজ দিতে পারেনি।
মা-বাবার কাছে থাকা জাকিরের ছবি দেখে ঘটনাস্থলে থাকা সাংবাদিকরা রক্তাক্ত অবস্থায় এক তরুণকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ে যাওয়ার ছবিটি দেখান। এ সময় ছেলেকে ফিরে পেতে আকুতি জানান মা-বাবা। জানান, ছেলে ওই রেস্তোরাঁতেই দেড় বছর ধরে বাবুর্চির সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।
মা মাহমুদা জানান, তাদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের নয়াপাড়ার গোদনাইল এলাকায়। গত বৃহস্পতিবার ইফতারের পরে ছেলে জাকির ফোন করেছিলেন। জানিয়েছিলেন ঈদের বোনাস পেয়েছেন। রোববার বাড়ি আসবেন। বাবা আবদুস সাত্তার বলেন, তিনি নারায়ণগঞ্জে মেঘনা ডিপোতে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। গত শনিবার টিভিতে রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনা দেখেন। এরপর থেকেই ছেলের খোঁজ পাচ্ছেন না।
রেস্তোরাঁর হিসাবরক্ষণ বিভাগের ব্যবস্থাপক সাজেদুর রহমান জানান, জাকিরকে তারা হাসপাতালে শনাক্ত করেছেন। তাকে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ছেলের খোঁজে আর্টিসানের সামনে মা-বাবা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ