Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বন্দর-উপকুলে সতর্ক সংকেত চট্টগ্রামে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শফিউল আলম : লঘুচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। দেশের সর্বত্র আষাঢ়ের স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে বুধবার বা বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আবহাওয়ার বর্তমান মতিগতি অনুযায়ী বিশেষত লঘুচাপের বর্ধিত প্রভাব অব্যাহত থাকার ফলে ঈদের দিন দেশের অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বর্ষণ হতে পারে।
তবে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরণের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ সূত্র একথা জানায়। বৃষ্টির তাড়ার কারণে ঈদগাহ কিংবা খোলা মাঠ-ময়দানের পরিবর্তে মসজিদের ভেতরে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হতে পারে।
এদিকে গতকালও (সোমবার) তৃতীয় দিনে মতো বন্দর নগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামে দমকা হাওয়ার সাথে থেমে থেমে প্রবল বর্ষণে পুনরায় নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নিচু এলাকায় জনগণকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। সড়কসমূহে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চট্টগ্রামে আকাশ ছিল ঘন মেঘাচ্ছন্ন এবং থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত থাকে। সাগর উত্তাল, প্রবল সামুদ্রিক জোয়ার ও ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বন্দর ও বহির্নোঙ্গরে পণ্যসামগ্রী ওঠানামার কাজ ব্যাহত হয়। ঈদের ছুটির আগে বন্দরে পণ্য খালাসেও ভাটা পড়ে। দীর্ঘ ছুটির অবকাশে বন্দরে জাহাজ, কার্গো ও কন্টেইনার জটের আশংকা দেখা দিয়েছে।
এদিকে সর্বশেষ আবহাওয়া পরিস্থিতি সম্পর্কে জানা গেছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি সামান্য উত্তরদিকে সরে গিয়ে বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বিহার এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ভারী বর্ষণ ও অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নি¤œাাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট অধিক উচ্চতার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন বিহার এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষ হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্দর-উপকুলে সতর্ক সংকেত চট্টগ্রামে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ