Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বিলম্বে অপারেশনে প্রশ্নের সুযোগ নেই -আইজিপি

প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জিম্মিদের উদ্ধারে ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ড’ বিলম্বে পরিচালনা নিয়ে কোনো প্রশ্নের সুযোগ নেই বলে দাবি করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহিদুল হক। তিনি বলেন, অভিযানের আগে আমাদের মূল টার্গেট ছিল কীভাবে বেশি মানুষকে জীবিত উদ্ধার করা যায়। গতকাল সোমবার দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) আয়োজিত এক শোকসভায় তিনি এ কথা বলেন।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধসহ জাতির যেকোনো ক্রান্তিকালে পুলিশ তাদের পাশে ছিল, এমন দাবি করে পুলিশের আইজিপি বলেন, আগামী দিনেও পুলিশ জনগণের পাশে থাকবে।
গুলশানের জঙ্গি হামলার ঘটনা উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, এই ধরনের হামলার ঘটনা প্রথম হলেও এমন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে আমাদের পেশাদারিত্ব আরো শাণিত করতে হবে। হলি আর্টিজান বেকারিতে জিম্মিদের উদ্ধারে ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ড’ নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান।
পুলিশের নিহত দুই কর্মকর্তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে পুলিশ প্রধান বলেন, নিহত বনানী থানার ওসি সালাহউদ্দিন সাহসী ছিল। তার কমিটমেন্ট ছিল। ওই এলাকায় তার দায়িত্ব ছিল না, তবুও তিনি ছুটে গিয়েছিলেন।
নিহত অপর পুলিশ কর্মকর্তা রবিউল করিমের ব্যাপারে তিনি বলেন, অল্প কয়েক দিনের চাকরির সময়ে তার মানবিক গুণাবলী ফুটিয়ে তুলেছিলেন। তিনি নিজ এলাকায় সামাজিক কর্মকাÐ পরিচালনা করতেন। এই ধরনের কর্মকর্তা আরও বেশি দিন চাকরি করতে পারলে জাতিকে আরও ভালো কিছু দিতে পারতেন।
আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম সময়ে গুলশানের হামলার ঘটনা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আমাদের দেশের গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেক সময় লেগেছে। অনেক উন্নত দেশগুলোতে এ ধরনের হামলার ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই থেকে চার দিন সময় লেগে গেছে। সেক্ষেত্রে মুম্বাই হামলায় চার দিন ও কেনিয়ায় দু’দিন লেগেছে। এসব ঘটনায় শত শত লোক মারা গেলেও কোনো জঙ্গি ধরা পড়েনি। কিন্তু আমরা মাত্র ১২ ঘণ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। অনেককে জীবিত উদ্ধার করেছি এবং জঙ্গি আটক করা হয়েছেÑযোগ করেন এ কে এম শহীদুল হক।
শোকসভার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ প্রধান বলেন, গুলশানের ঘটনায় সন্দেহভাজন দুজনকে আটক করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।
রাজারবাগে পুলিশের শোকসভায় অন্যদের মধ্যে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, র‌্যাবের ডিজি বেনজীর আহমেদ, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোখলেসুর রহমান ও জাভেদ পাটোয়ারি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, জিম্মি সঙ্কটের মধ্যেই গত শনিবার ভোরের আগে ওই ক্যাফের পেছন থেকে আনুমানিক ২০ বছর বয়সী এক তরুণকে ‘সন্দেহজনক আচরণের কারণে’ রক্তাক্ত অবস্থায় আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। তার পরিচয় কী, তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে কি নাÑসে তথ্যও পুলিশ প্রকাশ করেনি। শনিবার সকালে অভিযান শেষে ওই ক্যাফে থেকে উদ্ধার জিম্মিসহ বেশ কয়েকজনকে নিয়ে যাওয়া হয় গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে। পরে তাদের বক্তব্য শুনে যাচাই-বাছাই করে অনেককে ছেড়ে দেয়া হয়। পুলিশের হেফাজতে থাকা দুজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন, তাহমিদ হাসিব খান ও নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসানাত রেজা করিম। শাহরিয়ার খান নামের এক ব্যবসায়ীর ছেলে তাহমিদ (২২) কানাডা থেকে দেশে ফিরে গত শুক্রবার ইফতার শেষে বন্ধুদের সঙ্গে হোলি আর্টিজান বেকারিতে গিয়েছিলেন। আর হাসানাত করিম তার মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন বলে স্বজনরা পুলিশকে বলেছেন।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিলম্বে অপারেশনে প্রশ্নের সুযোগ নেই -আইজিপি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ