পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তারেক সালমান : গত শুক্রবার রাতে গুলশানে স্প্যানিশ হোটেল হোলি আর্টিজানে উগ্র সন্ত্রাসবাদী জঙ্গিদের রক্তাক্ত হামলাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন পর দেশীয় রাজনীতিতে ঐক্যের সুর শোনা যাচ্ছে। অত্যন্ত ঘৃণ্য ও দুঃখজনক এ হামলার পরপরই সরকারি দল ও বিরোধী দলের নেতারা দীর্ঘদিন পর দেশের প্রয়োজনে এক সুরে কথা বলছেন বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। ¯্রােতের বিপরীতের রাজনীতিকরা সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে জাতির বৃহত্তর স্বার্থে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার কথা বলা শুরু করেছেন।
গুলশানে উগ্রবাদীদের হামলার ঘটনার পর জাতির উদ্দেশে বেতার ও টিভিতে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ভেদাভেদ’ ভুলে যাওয়ার কথা বলেন। অন্যদিকে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দলমত নির্বিশেষে সবার মিলিত প্রচেষ্টায় এই সংকট মোকাবিলা করতে উদাত্ত আহŸান জানিয়েছেন।
জাতীয় সংসদে সরকারসমর্থিত বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও ঢাকার ক‚টনীতিক পাড়া গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারি ও হোটেলে বন্দুকধারীদের হামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ওই হামলার প্রেক্ষাপটে দেশব্যাপী এ ধরনের ‘জঙ্গি তৎপরতা’ মোকাবিলায় সর্বদলীয় বৈঠকের আহŸান জানিয়েছেন।
সা¤প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ধর্মের মানুষদের ওপর উগ্র সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনায় সরকার (আওয়ামী লীগ) ও বিরোধী দল (বিএনপি) পরস্পরকে দায়ী করে বক্তব্য দিয়েছে। কিন্তু শুক্রবার রাতের জিম্মি ঘটনায় আপাতদৃষ্টিতে কোনো পক্ষ থেকেই এমন অভিযোগ করা হয়নি।
গুলশানে উগ্রপন্থীদের হামলায় ২৮ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশের ইতিহাসে জিম্মি করে উগ্রবাদী হামলার ঘটনা এটাই প্রথম। এমন ঘটনায় মন্ত্রী-নেতাদের ঘটনাস্থলে গিয়ে মিডিয়াতে বক্তৃতা না করার বিষয়টিও চোখে পড়ার মতো। সাধারণত বড় ঘটনার ক্ষেত্রে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের ঘটনাস্থলে গিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের বিপক্ষে দু-চার কথা উগড়ে দেয়া যেন নিয়মিত ঘটনা। প্রতিক্রিয়া হিসেবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে সরকারের ব্যর্থতা বা সরকারকে দায়ী করে অভিযোগ করে বিরোধী দল। কিন্তু এবার তেমন ঘটনা না ঘটা বিশেষ বৈশিষ্ট্যকে ইঙ্গিত করে বলেই মনে করা হচ্ছে।
গত শনিবার সন্ধ্যায় বেতার ও টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে যে কোনো মূল্যে আমরা ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্ত প্রতিহত করব। জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সন্ত্রাসীদের সমূলে নির্মূল করতে কোনো ষড়যন্ত্রই আমাদের অগ্রযাত্রাকে প্রতিহত করতে পারবে না। তিনি জনগণকে সরকারের প্রতি আস্থা রাখার আহŸান জানিয়ে বলেন, আসুন আমরা সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে একটি নিরাপদ বাংলাদেশ, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজ করি।
শনিবারই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে একসঙ্গে কাজ করার আহŸান জানান। তিনি বলেন, আসুন আমরা সভ্যতাবিরোধী উগ্রবাদী শক্তিকে নির্মূল করতে দল-মত নির্বিশেষে সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টাকে কাজে লাগাই। সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় এখনই এই উগ্রবাদী শক্তিকে দমন করতে না পারলে এরা দীর্ঘতম যুদ্ধ চালিয়ে দেশের জনগণের শান্তি, সুস্থিতি, নিরাপত্তা বজায় রাখা কঠিন করে তুলবে।
এদিকে, গুলশান হামলার প্রেক্ষিতে খালেদা জিয়া তার দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডাকেন। দীর্ঘদিন পর দলটির রেওয়াজের বাইরে গতকাল রোববার বিকালে চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দেশের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছুদিন পর আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি গুলশানে সন্ত্রাসী হামলায় দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা ও ত্রæটি এবং সন্ত্রাসীদের ক্ষমতার প্রকটতা ফুটে উঠেছে বলে অভিযোগ করলেও জঙ্গিবাদের এই সংকট মোকাবিলায় দল-মত নির্বিশেষে সবার মিলিত প্রচেষ্টার কথা বলেন।
খালেদা জিয়া গুলশানের রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসীদের হামলা প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে, গণতন্ত্রহীন দেশে স্বৈরাচারী শাসন, অসহিষ্ণু রাজনীতি, দমন-পীড়নের রাষ্ট্রব্যবস্থা, অধিকারহীন সমাজ, আইনের শাসনের অনুপস্থিতি ক্রমাগত চলতে থাকলে সেখানে সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। শুক্রবার রাতের ঘটনায় শুধু একটি রেস্তোরাঁ নয়, সারা বাংলাদেশ স্তম্ভিত হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা। তাই সবার মিলিত প্রয়াসে আমাদের এই সংকট মোকাবিলা করতে হবে।
অন্যদিকে, গুলশান হামলার প্রেক্ষিতে সর্বদলীয় বৈঠক দাবি করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ঢাকার ক‚টনীতিক পাড়া গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে বন্দুকধারীদের হামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ এ ধরনের ‘জঙ্গি তৎপরতা’ মোকাবিলায় সর্বদলীয় বৈঠকের আহŸান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদ শনিবার এক বিবৃতিতে আরও বলেন, রাজধানীর ক‚টনৈতিক অঞ্চল গুলশানের রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলা, দেশি-বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করা ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এই ধরনের ব্যাপক, বেপরোয়া ও পরিকল্পিত সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম দেখা গেল। একই সঙ্গে দেশে পুরোহিত-পাদ্রি-সেবায়েত হত্যাকাÐের ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। এ ধরনের ঘটনাবলী আমাদের অস্তিত্বকে হুমকির সম্মুখীন করে তুলছে।
সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় একটি সর্বদলীয় বৈঠক আয়োজন করতে কয়েকদিন আগেও সরকারকে অনুরোধ করেছিলেন বলে জানিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আবার সেই অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করছি।
গুলশানের হোটেলের বর্বরোচিত হামলা জাতীয় ঐক্য, সংলাপ ও একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনকে অনিবার্য করে তুলেছে বলে মন্তব্য করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
রব বলেন, গুলশান কূটনৈতিক পাড়ার মতো নিরাপত্তা প্রহরাধীন এলাকার একটি হোটেলে দেশি-বিদেশি লোকদের জিম্মি ও হত্যা করার মতো বর্বরোচিত ঘটনা দেশে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ভুলে জাতীয় সংলাপ, ঐক্য, জনগণের ভোটাধিকার এবং একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনিবার্য করে তুলেছে।
তিনি আরও বলেন, দেশে জঙ্গিবাদ নেই, আইএস নেইÑএ ধরনের বক্তব্য থেকে বিরত হয়ে জঙ্গিবাদবিরোধী জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠান ও ঐক্য প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির অবস্থান সম্পর্কে পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আন্দোলনে গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে এ সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাÐ বন্ধে জাতি হিসাবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং এ ব্যাপারে সকলকে সচেতনভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির এক জরুরি সভায় বর্বরোচিত জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় পার্টি বলে, একের পর এক গুপ্তহত্যা দেশি-বিদেশি চক্রান্তেরই অংশ। জঙ্গিবাদবিরোধী জাতীয় গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সব মহল এবং দেশবাসীর প্রতি আহŸান জানানো হয়। দেশের এই সংকটকালে অন্যান্য গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল দল, গণসংগঠন ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে গণজাগরণ গড়ে তুলতেও সিপিবি আহŸান জানায়।
গুলশান হত্যাকাÐের পর দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ঐক্যর মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সরকারের প্রতি আহŸান জানিয়েছে ইসলামী ঐক্যজোট।
মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী নেতৃত্বাধীন ঐক্যজোটের পক্ষ থেকে সরকারকে উদ্দেশ করে বলা হয়, সন্ত্রাসীদের নিন্দনীয় ভয়াবহ সহিংসতায় আমরা স্তম্ভিত। দেশের মানুষ আতঙ্কে, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ও অস্বস্তিতে ভুগছে। দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করুন। দেশের নাগরিক ও বিদেশি ক‚টনীতিক ও নাগরিকদের জীবন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রæত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক এলডিপির প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রমও গুলশান হত্যাকাÐের পর আবারও জাতীয় ঐক্যের আহŸান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইতিপূর্বে বহুবার দেশকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য সরকারের প্রতি আহŸান জানিয়েছি। কিন্তু সরকার এতে কোনো কর্ণপাত করেনি। বিগত কয়েক দিনে গুলশানসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অনেকগুলি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে। এর তীব্র নিন্দা ও শোক জানাই। আমরা আশা করি সরকার দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি উপলব্ধি করে সকল রাজনৈতিক দলকে আলোচনার জন্য আহŸান করতে সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
এদিকে, দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও পেশাজীবীদের সংগঠন শত নাগরিক কমিটিও সংকট মোকাবিলায় জাতীয় সংলাপ আয়োজনের দাবি জানিয়েছে। গতকাল আব্দুল হাই শিকদার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে কমিটি গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় জঙ্গিদের বর্বরোচিত হামলাকে মানবতার পরিপন্থী হিসেবে বর্ণনা করেছে।
সরকারের প্রতি আহŸান জানিয়ে এতে কমিটি বলে, আমরা মনে করি, দেশ ও জাতির এই ভয়ানক সংটককালে যে কোনো মূল্যে আমাদের সকল প্রকার মতানৈক্য-ঘৃণা-বিদ্বেষের সংস্কৃতি ভুলে জাতীয় ঐক্য ও সংহতির ভিত্তিকে মজবুত করার উদ্যোগ নিতে হবে। এই সংকট মোকাবিলায় দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে আইনের শাসন ও নির্বাসিত গণতন্ত্র। আমরা প্রত্যাশা করি, সরকার ও সকল রাজনৈতিক দল সময়োচিত ভ‚মিকা পালনে খোলা মন নিয়ে এগিয়ে আসবে এবং জাতীয় স্বার্থে এক টেবিলে বসে সকল সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নেবে। এতে স্বাক্ষর করেছেন ঢাবির সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ, কবি আল মাহমুদ, প্রফেসর ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, মোহাম্মদ আসাফউদ্দৌলাহ, শওকত মাহমুদ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ড. মাহবুব উল্লাহ, সিনিয়র সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গুলশান-২ এলাকার ৭৯ নম্বর রোডের লেকের ধারে ওই স্প্যানিশ রেস্তোরাঁটির খোলামেলা পরিবেশ বিদেশিদের কাছে বেশ প্রিয় ছিল। শুক্রবার জঙ্গিরা হানা দেয়ার সময় রেস্তোরাঁটিতে অনেক বিদেশি ছিলেন। এর মধ্যে দুই শ্রীলঙ্কান ও এক জাপানি বেঁচে গেলেও বন্দুকধারীদের হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা ছাড়াও আরও ২০ জনকে হত্যা করা হয়। গলা কেটে হত্যা করা ওই হতভাগ্যদের মধ্যে তিনজন বাংলাদেশী, অন্যরা ইতালি, জাপান ও একজন ভারতের নাগরিক ছিলেন। শনিবার সকালে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে জঙ্গিদের হত্যা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর দুপুরে লাশগুলো উদ্ধার হয় রেস্তোরাঁর ভেতর থেকে।
শুক্রবার রাজধানীর গুলশান-২ এলাকার ৭৯ নম্বর সড়কে স্প্যানিশ রেস্টুরেন্টে উগ্রবাদীদের হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা ২৮। এ ঘটনায় গতকাল রোববার ও আজ সোমবার রাষ্ট্রীয়ভাবে দুই দিনের শোক পালন করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।