পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, জাপান বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার। জাইকাসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা বাংলাদেশে সুনামের সাথে কাজ করছে। জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রচুর সম্ভাবনা আছে। জাপান-বাংলাদেশ জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো চিহ্যিত করে, তা সমাধান করা সম্ভব।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি’র সাথে মতবিনিময়ের বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করছে। জাপানের প্রতি বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশে জাপানের ব্যবসা-বাণিজ্যও আছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কিছুদিনের মধ্যে জাপান সফর করবেন। এ সময় বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা কমিশন এবং জাপানের জাপান ফেয়ার ট্রেড কমিশন এর মধ্যে একটি এমওইউ স্বাক্ষরিত হবার কথা রয়েছে। এছাড়া, উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য জাপানের জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেটরো) এবং বাংলাদেশের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মধ্যে সম্পর্ক শক্তিশালী করা হচ্ছে। আশা করা যায়, আগামী দিনগুলোকে বাংলাদেশের সাথে জাপানের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অনেক বৃদ্ধি পাবে।
টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক দেশ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে এসেছে। জাপানেরও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছে। গত বছর বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ এসেছে জাপান থেকে। জাপানের সাথে বাংলাদেশে বাণিজ্যও বাড়ছে। বাংলাদেশের তৈরী পোশাক, চামড়া ও পাটজাত পণ্যসহ অন্যান্য পণ্যের অনেক চাহিদা রয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে জাপানে বাংলাদেশের রফতানি ছিল ১ হাজার ১৩১ দশমিক ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আমদানি ছিল ১ হাজার ৮৬৯ দশমিক ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছর রফতানি বৃদ্ধি পেয়ে ১ হাজার ৩৬৫ দশমিক ৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। একই সময়ে আমদানি হয়েছে ১ হাজার ৮৫২ দশমিক ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ইজি অফ ডুয়িং বিজনেস র্যাংকিং এ এগিয়ে যাওয়ায় জাপান খুশি। জাপান আশা করে বাংলাদেশের জিডিপি ডবল ডিজিজে উন্নীত হবে। জাপান বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। জাপানের অনেক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। বাংলাদেশ চাইলে জাপানের সাথে এফটিএ করতে পারে। তৈরী পোশাক ও ঔষধ জাপানে রপ্তানির সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে। বাংলাদেশে হালকা যন্ত্রপাতি উৎপাদনে বেশ ভালো করছে, জাপান এখাতে সহায়তা দিতে আগ্রহী। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরকালে উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।