পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : গুলশানে হলি আর্টিসান বেকারি রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলায় নিহত হওয়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ও তার তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, কিছু মানুষ আওয়ামী লীগের ওপর অবহেলার অভিযোগ আনছেন। তিনি বলেন, গত তিন বছরে বøগার ও বিদেশিদের ওপরে হামলায় অংশগ্রহণকারী প্রায় সব খুনিকে সরকার গ্রেপ্তার করেছে।
গত সাত বছরে প্রায় প্রতি মাসেই অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। কেউই শতভাগ সফল হতে পারে না বলে মন্তব্য করে জয় বলেন, এই একবার আমরা ব্যর্থ হয়েছি। আমাদের চেয়ে আরও অনেক বেশি সক্ষমতা আছে, এমন অনেক ধনী দেশেও এমন সন্ত্রাসী আক্রমণ হয়েছে। গতকাল সোমবার ভোরে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এক স্ট্যাটাসে জয় এ মন্তব্য করেন।
সন্ত্রাসী হামলাকে ‘ভয়ানক, বর্বরোচিত’ উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। হামলায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনাও জানান তিনি। সন্ত্রাসীদের থামাতে গিয়ে যেসব পুলিশ কর্মকর্তা জীবন দিয়েছেন, তাদের পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানান তিনি।
জয় বলেন, ভাবতে চেষ্টা করছিলাম কী লিখব, কিন্তু কোনো শব্দ খুঁজে পাচ্ছিলাম না। এটি ভয়ানক, বর্বরোচিত হামলা। এই হত্যাকারীরা মুসলমান নয়। সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম নেই। হত্যার শিকার ব্যক্তিদের, বিশেষ করে যে পুলিশ কর্মকর্তারা সন্ত্রাসীদের থামাতে দিয়ে প্রাণ দিয়েছেন, তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন জয়।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা আরও বলেন, বিদেশি অতিথির প্রতি আতিথেয়তা আমাদের সংস্কৃতির অন্যতম উজ্জ্বল নিদর্শন। এই সন্ত্রাসীরা এটি বন্ধ করতে চায়। আমরা তাদের সফল হতে দিতে পারি না। সকল ব্যক্তি ও ধর্মকে বাংলাদেশ সব সময়েই স্বাগত জানাতে প্রস্তুত আছে।
জয় বলেন, বাস্তবতা এটি যে এই সন্ত্রাসীরা শিক্ষিত মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসেছে। এমন আরও অনেক আছে। এরা আপনার প্রতিবেশী হতে পারে, আত্মীয় হতে পারে, ছেলে হতে পারে। আমাদের দেশকে নিরাপদ রাখার জন্য আমাদের প্রত্যেককে সতর্ক প্রহরার দায়িত্ব নিতে হবে। ধর্মের নামে মিথ্যে বলে আমাদের যুবসমাজের মগজ ধোলাইয়ের প্রক্রিয়াকে প্রতিহত করা অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে জরুরি। এ কাজে আমাদের একতাবদ্ধ হতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।