পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে হাইকোর্টে ফের জামিন আবেদন করেছেন বিএনপি’র কারাবন্দী চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট বারের অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিয়ন সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন ফাইল করেন।
এ বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, উন্নত চিকিৎসা নিতে লন্ডন যাওয়ার যুক্তি দেখিয়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন চাওয়া হয়েছে। তবে কবে, হাইকোর্টের কোন বেঞ্চে শুনানি হবে-এ বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি। সাগীর হোসেন লিয়ন খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের সদস্য। তিনি দলটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনের জুনিয়র হিসেবে কাজ করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তার উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে না। তাই জামিন পেলে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাবেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেল সূত্র জানায়, গত বছরের ৩১ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চে এ মামলায় একবার খালেদা জিয়ার জামিন চাওয়া হয়েছিল। আবেদনটি পরে খারিজ হয়ে যায়। খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে একই বছর ১৪ নভেম্বর খালেদা জিয়ার পক্ষে আপিল করা হয়। সেই আপিলও খারিজ হয়ে যায়। কারাগারেই থেকে যান খালেদা জিয়া।
এছাড়া ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৭ বছরের দন্ডের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে অর্থদন্ড স্থগিত এবং সম্পত্তি জব্দের ওপর স্থিতাবস্থা দিয়ে ২ মাসের মধ্যে ওই মামলার নথি তলব করেন। একই বছরের ২০ জুন বিচারিক আদালত থেকে মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়।
গত বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিল করা হয়। ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ড দেন।
ইতোমধ্যে কারাবন্দী খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভিসি’র কাছে আবেদন করেন তার পরিবারের সদস্যরা। গত ১১ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বজনদের পক্ষ থেকে এ আবেদন করেন।
এদিকে খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে সরকারকে ‘নমনীয়’ হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ফোন করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ওবায়দুল কাদের নিজেই সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন।
যদিও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন তারা খালেদা জিয়ার জামিন চাইলেও প্যারোল নিয়ে কোনো কথা বলেননি। এরমধ্যেই জামিন চেয়ে আবারো উচ্চ আদালতে আবেদন করলেন খালেদা জিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।