পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি। আর মাত্র দু›টি প্রহর। এরপরই আসবে মহান ভাষা আন্দোলনের সেই ঐতিহাসিক মুহুর্ত। যেদিন ভাষা সৈনিকরা রাষ্ট্রভাষা বাংলা ভাষার দাবিতে রাজপথ রঞ্জিত করে বুকের তাজা রক্তে। সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার, শফিউরসহ নাম না জানা আরও অনেকে শহীদ সেদিন শহীদ হয়েছেন। বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারি তারা শহীদ হলেও তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয় ২৩ ফেব্রুয়ারি। এটি ছিল অস্থায়ী শহীদ মিনার। পরবর্তীতে ১৯৫৬ সালে বর্তমান শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। আর দুই দিন পরেই সেই ২১ ফেব্রুয়ারি। রাত ১২টা ১ মিনিটের পর ফুলে ফুলে ভরে যাবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। শুধু বাংলাদেশেই পৃথিবীর আরও অনেক দেশেই নির্মিত ভাষা শহীদদের স্মরণে নির্মিত শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাবে। বাংলাদেশে দিবসটি পালিত হবে শহীদ দিবস আর বিশ্ববাসী পালন করবে মাতৃভাষা দিবস। প্রতি বছর এই দিনে জাতির বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ বেদীতে ছুটে যান দেশ-বিদেশের সর্বস্তরের মানুষ। এই মহান দিনটি পালনের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সামজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন ভাষা শহীদদের। কেবল একুশের প্রথম প্রহরেই নয় শ্রদ্ধা নিবদন চলবে দিনব্যাপী। তবে ভাষার জন্য আত্মত্যাগকারী এই মহান শহীদদের বাঙালি জাতি কেবল একুশেই স্মরণ করেন না। পুরো ফেব্রুয়ারি মাস জুড়েই থাকে শহীদদের জন্য আলোচনা অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজন। কেননা বাঙালির গৌরবের মাস ফেব্রুয়ারি। মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষায় এ মাসে ঐতিহাসিক আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি জুড়ে ছিল উত্তেজনা। এ সময় রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সর্বোচ্চ ত্যাগের প্রস্তুতি নেয় ছাত্র-জনতা। ১৪৪ ধারা জারি করেও তাদের দমিয়ে রাখা যায়নি। ২১ ফেব্রুয়ারি ভোরবেলা থেকেই তৎপর ছিল আন্দোলনকারীরা। ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্রছাত্রীরা দু’একজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জমায়েত হচ্ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছিল উপস্থিতির সংখ্যা। ফলে দেখতে দেখতে আমতলা (বর্তমান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ইমার্জেন্সি বিভাগের সামনের মাঠে) মুখরিত হয়ে ওঠে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।