ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
বর্তমানে আমাদের দেশে যে সমস্যাটি প্রকট আকার ধারণ করেছে তা হচ্ছে বেকার সমস্যা। এ সমস্যা দূর করতে বেকারদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা অতীব জরুরি। তা না হলে জাতি কখনোই উন্নয়নের শিখরে পৌঁছাতে পারবে না। এজন্য সরকারকে কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। শুধু পদক্ষেপ গ্রহণ করলে চলবে না, এর যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। বেকার সমস্যার সমাধানে শিক্ষিত বেকারদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে হবে। তাদের সহজ শর্তে ঋণ দিতে হবে। বেকার সমস্যা সমাধানে দেশের শিল্পতিদেরও কিছু দায়িত্ব রয়েছে। তারা যদি শিল্পায়নে এগিয়ে আসেন, তাহলে বেকার সমস্যা দূর করা সম্ভব হবে। এ উদ্দেশ্য দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব সরকারের। বেকার সমস্যা সমাধানে সরকার ও শিল্পপতিদের এগিয়ে আসার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।
মো. মানিক উল্লাহ
এনায়েতপুর, সিরাজগঞ্জ।
গাইবান্ধার উন্নয়ন
অবহেলিত যমুনার এপার উত্তর জনপদের বিশেষ করে রংপুর বিভাগের আটটি জেলার কথা বলছি। উত্তরবঙ্গের মানুষেরা দেশের অন্য জায়গায় মফিজ নামে পরিচিত।
উত্তরবঙ্গের ব্র্যান্ডিং হয়েছে মঙ্গার মধ্য দিয়ে। অথচ গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামে এখন মঙ্গা প্রায় নেই বললেই চলে। রংপুর বিভাগের প্রবেশদ্বার গাইবান্ধা। জেলা হিসেবে এটি বেশ পুরোনো হওয়া সত্ত্বেও এ অঞ্চলের তেমন উন্নয়ন হয়নি।
বর্তমানে এই জেলাটির উন্নয়নের প্রথম শর্ত হচ্ছে বাইপাস নির্মাণ। এ অঞ্চলে প্রচুর ফসল ফলে। ফলে ভালো রাস্তা বা বিকল্প/বাইপাস রাস্তা থাকলে রংপুরের সঙ্গে যোগাযোগের সময় কমে যাবে। পণ্য পরিবহনও সহজ হবে।
সিদ্দিকা ফেরদৌস
শিক্ষক, গাইবান্ধা।
তাহলে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার কী করবেন?
পত্রিকা পড়ে জানা যায়, ঘোষিত পে-স্কেল অনুযায়ী ডিপ্লোমাধারী ইঞ্জিনিয়ারগণ অবমূল্যায়নের শিকার। তার দাবি আদায়ে প্রাথমিক কর্মসূচি ঘোষণা করছেন। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে উপ-সহকারী প্রকৌশলীদের বেতন ৯ম গ্রেডে নির্ধারণ এবং পর্যায়ক্রমে ৫, ৮, ১২, ১৫, ২০ ও ২৫ বছর চাকরি পূর্তিতে যথাক্রমে সহকারী প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বা তাদের সমমানের পথে পদোন্নতির বিধান রাখা। আমরা যতটুকু জানি, ৩ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারগণ উচ্চ মাধ্যমিক সমমান পর্যায়ের শিক্ষায় শিক্ষিত। আজকাল সরকারি চাকরির বাজারে অনেক ¯œাতকোত্তর ডিগ্রিধারী ব্যক্তি ও ১৬ ও ১৭ নম্বর গ্রেডভুক্ত পদেও চাকরি করছেন অথচ ১৯৯৪ সালে তখনকার সরকার সকল উপ-সহকারী প্রকৌশলীর দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদায় ১০ম গ্রেডভুক্ত বলে ঘোষণা করেন। এর সূত্রে প্রায় সকল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার সরকারি /আধাসরকারি বা বেসরকারি চাকরিতে প্রবেশ করছেন। অথচ ডিপ্লেমা ইঞ্জিনিয়ারের সমমান প্যারা-মেডিকেল বা ডিপ্লোমা কৃষিবিদগণ এখনও এ সুবিধা পাননি। তাহলে কি অন্যান্য ক্যাটাগরির সমমান সনদধারীদের প্রতি বৈষম্য করা হলো না? এবং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারগণ কি সত্যিই বৈষম্যের অবসান চান?
আসলে একটা সুনির্দিষ্ট ক্যাটাগরি গঠন বা প্রণয়ন করা প্রয়োজন, যা সহজে পরিবর্তন করা যাবে না। কারণ প্রত্যেকেই মেধা ও যোগ্যতা অনুসারে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে চাইবেন। কেউ তো এমএ, এমএসসি পাস করে আবার ডিপ্লোমা পড়তে চাইবেও না বা পারবেও না। অন্যদিকে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও অনুরূপ সুনির্দিষ্ঠ বিধি প্রয়োজন, যেন কোন পদের ভবিষ্যৎ কী তা ভেবে চাকারিতে প্রবেশ করতে পারে। ২/৪ বছর পর পদের মর্যাদা/স্কেল পরিবর্তন হলে অন্য পদের লোকরা কি এতে প্রবেশ করার সুযোগ পাবেন? তাই সরকারের শীর্ষ মহলসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে উদাত্ত আহ্বানÑ শিক্ষাবিদগণের মতামত নিয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও মেধার মূল্যায়নপূর্বক সকল বিভাগের পদগুলোর মধ্যে বৈষম্যহীন বিধি প্রণয়ন করুণ। কেননা উচ্চ মাধ্যমিক সমমান ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারগণ যদি নির্বাহী প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন, তাহলে প্রশ্ন থাকেÑ বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারগণ কী করবেন? কারিগরি শিক্ষার কিছু সুবিধা থাকা উচিত, কিন্তু আকাশ-পাতাল ব্যবধান তো মেনে নেয়া কঠিন।
মো. আবুল বাসার,
চান্দিনা, কুমিল্লা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।