Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ঘন কুয়াশায় ফেরি চলাচল ব্যাহত

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে প্রায় ৯ ঘণ্টা ও শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে সাড়ে ৮ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পর গতকাল দুপুরের দিকে স্বাভাবিক হয়েছে। গত শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া এবং শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। এতে দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় নদী পারের অপেক্ষায় যাত্রীবাহী বাসসহ যানবাহনের লম্বা লাইন পড়ে যায়। আমাদের রাজবাড়ী জেলা, গোয়ালন্দ উপজেলা, শিবচর উপজেলা ও আরিচা সংবাদদাতার পাঠানো তথ্যে এ প্রতিবেদন :
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট : সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ৩ কি.মি অদূরে বাংলাদেশ হ্যাচারিজ পর্যন্ত যানবাহনের দীর্ঘ লাইন। অপরদিকে ঘাট এলাকা থেকে প্রায় ১৩ কি.মি দূরে গোয়ালন্দ মোড় বিজয় ৭১ স্মৃতি চত্ত¡র থেকে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রায় ২ কি.মি. এলাকা জুড়ে পণ্যবাহী অপচনশীল ট্রাক, কাভার ভ্যান সাময়িকভাবে অপেক্ষায় রয়েছে দৌলতদিয়া ঘাটে পৌঁছানোর জন্য।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট ম্যানেজার আবু আব্দুল্লাহ জানান, শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে গতকাল সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিলো। নৌরুটের ১৫ ফেরি সার্বক্ষণিক যানবাহন পারপার কাজ করে যাচ্ছে।
শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুট : ঘন কুয়াশায় শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে সাড়ে ৮ ঘণ্টা ফেরিসহ সব ধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময় উভয় ঘাটেই আটকা পড়ে অন্তত ৮ শতাধিক যানবাহন। এতে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা চরম ভোগান্তির শিকার হন।
বিআইডব্লিউটি কাঁঠালবাড়ি ফেরি ঘাট সূত্র জানায়, শনিবার রাত ১০টার পর থেকেই পদ্মা নদীর বিভিন্ন অংশে কুয়াশার প্রকোপ দেখা যায়। রাত বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে কুয়াশা। রাত ২টার দিকে কুয়াশার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় নৌপথের মার্কিং পয়েন্ট ও বিকন বাতি দেখতে পায় না ফেরির চালকেরা। এ সময় দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় ঘাট কর্তৃপক্ষ। গতকাল সকালেও কুয়াশার মাত্রা বেশি থাকায় লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। সকাল সাড়ে ১০টার দিক কুয়াশার তীব্রতা কমে এলে ধীরে ধীরে চলতে শুরু করে নৌযান।
গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, চারটি সংযোগ সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। ফেরিগুলো পন্টুনের পাশে নোঙর করে রাখা। চারটি ঘাটেই চারটি ফেরি যানবাহন তুলে শিমুলিয়া উদ্দেশে ছাড়ার অপেক্ষায় রয়েছে। সংযোগ সড়কে পণ্যবাহী ট্রাকের চেয়েও ব্যক্তিগত গাড়ি ক্রমশই বাড়তে শুরু করেছে। তিনটি টার্মিনাল ভর্তি পণ্যবাহী ট্রাকে।
চট্টগ্রামগামী মাইক্রোবাসের চালক শাহারিয়া রহমান বলেন, রাত ৩টায় ঘাটে এসে সিরিয়ালে বসে আছি। ক্রমশই সিরিয়াল বেড়েই চলেছে। ঠান্ডা বাতাস, শীত এর মধ্যে ঘাটে এভাবে বসে থাকলে আমাদের দুর্ভোগ চরমে।
ঘাটের টার্মিনালে আটকা পড়া পণ্যবাহী ট্রাকের চালক মোকলেস হাওলাদার বলেন, খুলনা থেকে ঢাকা যাবো। শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে টার্মিনালে আটকা পড়ে আছি। কুয়াশার কারণে এখন ঘাটে যানবাহনের চাপ আরো বেড়ে গেছে। আমাদের কখন ফেরিতে তুলবে তা কেউ ঠিকমত বলতে পারছে না। এভাবে বসে থাকতে আর পারছি না।
কাঁঠালবাড়ি ফেরি ঘাটের ট্রাফিক পুলিশের পরির্দশক মো. নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, ঘাটে সকালে অনেক জ্যাম ছিল। এখন ধীরে ধীরে যানবাহনের চাপ কমে আসছে। কিছু যানবাহন ঘাটে আটকে আছে। আমরা যাত্রীবাহী পরিবহন ও কাঁচামালবাহী ট্রাক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করছি।
বিআইডবিøউটিসি কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুল আলিম বলেন, হঠাৎ কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় শনিবার রাত ২টার পর থেকে টানা সাড়ে ৮ ঘণ্টা ফেরিসহ সকল নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে বেশ কিছু যানবাহন আটকে পড়ে। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার পরে এখন ধীরে ধীরে আটকে পড়া যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফেরি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ