পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কারাবন্দি দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং সুচিকিৎসার দাবিতে গতকাল নয়াপল্টনে বিক্ষোভ করছে দলটির নেতাকর্মীরা। পুলিশি বাধার মুখেও সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ঘটে ব্যাপক সমাগম। শনিবার দুপুর ২টার দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করে। খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন। দুপুর পৌনে দুইটার সময় দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপর আস্তে আস্তে আশপাশের এলাকা থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হন। সবাবেশে বিএনপির নেতারা বলেছেন, বেগম জিয়ার মুক্তির বিনিময়ে প্রয়োজনে আমাদের জেলে নিক, নির্যাতন করুক। তবুও গণতন্ত্রের মাতা বেগম জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা যাবে না। আমাদের আন্দোলন চলতেই থাকবে। সকাল থেকেই বিএনপি অফিসের ৫ গজ দ‚রেই পুলিশের সাঁজোয়া যান অবস্থান নেয়। কর্মীদের কার্যালয়ে ঢুকতে বাধা দেয়া হয় বলেও বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন। সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দিতে ফকিরাপুল ও কাকরাইলের দিক থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে বিএনপিকর্মীরা কার্যালয়ের দিকে আসতে শুরু করেন। তারা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় নাইটিংগেল মোড় থেকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলনকে আটক করে পুলিশ। এর আগে নয়াপল্টনে কার্যালয়ের সামনে থেকে দুই কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে দলটি।
পুলিশি বাধার অভিযোগ করে সরকারের উদ্দেশ্যে সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দমন-পীড়ন করে কখনো ক্ষমতায় থাকা যায় না। জনগণের ন্যায্য দাবিকে দমন করা যায় না। ১৬ কোটি মানুষের নয়নের মণি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আমাদের ঘোষিত কর্মস‚চি ছিলো বিক্ষোভ মিছিল। এতে পুলিশ বাধা দিয়েছে, নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে, কার্যালয়ের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে বাধা দিয়েছে। সরকার মনে করছে এভাবে দমন-নিপীড়ন, বাধা দিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করবে। জনগণের যে প্রাণের দাবি তাকে বাধাগ্রস্ত করবে। কিন্তু তারা ভুলে গেছে এভাবে দমন-নিপীড়ন করে জনগণের ন্যায্য দাবিকে দমন করা যায় না।
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা অর্জন করেছে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। এটা ফেব্রæয়ারি মাস। ১৯৫২ সালে এদেশের মানুষ মায়ের ভাষার জন্য নিজের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে দাবি আদায় করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার বেআইনি, দখলদারী সরকার, জনগণের কোনো ম্যান্ডেট ছাড়া তারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে। একদলীয় শাসন কায়েম করতে সমস্ত দমন নিপীড়ন, নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। সরকারের ওপর দেশের জনগণের কোনো আস্থা নেই। ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়নে আমাদের ২৫ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলার আসামি করা হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এ দেশের গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। তাকেও ২ বছর ৭ দিন যাবত কারাগারে আটকে রেখেছে। তিনি খুবই অসুস্থ, আমরা তার মুক্তির মাধ্যমে সুচিকিৎসার দাবি জানিয়েছি। কিন্তু সরকার কোনো সহযোগিতা করেনি। আমরা আবারো বলছি বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ তাকে মুক্তি দিন। তাকে তার নিজের পছন্দ মতো চিকিৎসা নেয়ার অধিকার দিন।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকের সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু নেতাকর্মীদের সাহসিকতার ফলে আজকের এ সমাবেশ সফল হয়েছে। খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন করেছেন বলেই এখন তিনি কারাগারে। আমরা বলতে চাই, খালেদা জিয়াকে নয় সারা বাংলাদেশকে কারাগারে রাখা হয়েছে। দেশে আইনের শাসন নেই। মানুষ সুবিচার পায় না, সব জায়গায় মানুষের নিরাপত্তার অভাব। তিনি আরো বলেন, টেন্ডারবাজী, চাঁদাবাজী, ক্যাসিনোবাজী করে দেশকে শেষ করে দিয়েছে। এখন দেশের মানুষ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। আজ দেশে সব কিছুতে পচন ধরেছে। এ থেকে এ দেশকে মুক্ত করতে হবে। জনগণকে মুক্ত করতে হবে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। আর এসব অর্জন করতে হলে সবার আগে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনতে হবে। তার নেতৃত্বে এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে।
মির্জা আব্বাস বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শত প্রতিক‚লতার মাঝেও আমরা এখানে সমবেত হয়েছি। আমাদেরকে খালেদা জিয়ার প্রতি ভালোবাসা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের জেলে নিক, নির্যাতন করুক, গুম-খুন করুক কোনো কিছুতেই প্রতিবাদ থামবে না। আমাদের আন্দোলন চলতেই থাকবে। তিনি বলেন, আজ খালেদা জিয়া নয় দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা, আইনের শাসন ও জনগণ বন্দি। তার মুক্তির মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা মুক্তি পাবে। আমরা ইনশাআল্লাহ আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব।
ড. আবদুল মঈন খান বলেন, সরকার বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে খালেদা জিয়াকে জামিন দিচ্ছে না। কারণ সরকার জানে খালেদা জিয়া মুক্ত হয়ে রাজপথে নামলে জনগণের স্রোতে সরকার ভেসে যাবে। তাই খালেদা জিয়ার জামিন বাধাগ্রস্ত করছে। তাকে আটকে রাখছে। আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠ করব।
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা মায়ের মুক্তির জন্য সমবেত হয়েছি। মায়ের মুক্তির সংগ্রাম কেউ থামাতে পারে না। কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত করতে পারে না। মায়ের মুক্তি জনগণ, গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও স্বাধীনতার মুক্তি। মায়ের মুক্তির আন্দোলনের আমাদের যোগ দিয়ে মাকে মুক্ত করতে হবে।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আন্দোলন করতে হবে, সবাইকে একত্রিত করতে হবে। প্রয়োজনে জীবন দিতে হবে। তাহলেই পারবো জেলের তালা ভেঙে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে।
মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে ও মহানগরের কাজী আবুল বাশার ও আহসান উল্লাহ হাসানের পরিচালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- ভাইস চেয়ারম্যান ডা: জাহিদ হোসেন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, মহানগরের বজলুল বাসিত আনজু, যুবদলের সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, শ্রমিকদলের আনোয়ার হোসেই্ন, কৃষক দলে হাসান জাফির তুহিন, ছাত্র দলের ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় কর্মীদের সাথে দাঁড়িয়ে নেতৃবৃন্দ বক্তব্য শুনেন। তবে তিনি কোনো বক্তব্য দেননি। সমাবেশে বিএনপির শামা ওবায়েদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মীর সরফত আলী সুপু, আমিনুল হক, শিরিন সুলতানা, আবদুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী, শামীমুর রহমান শামীম, শহীদুল ইসলাম বাবুল, খন্দকার মাশুকুর রহমান, হারুনুর রশীদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের গোলাম সরোয়ার, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ঢাকা জেলার দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিন, খন্দকার আবু আশফাক, সাখাওয়াত হোসেন খান, মজিবুর রহমান, সদ্য সমাপ্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনসহ মহানগর ও অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহী ব্যুরো জানায় : বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও এমপি মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, বিএনপি বাংলাদেশের একটি বড় দল। এই দলের প্রতি শতকরা ৯০ভাগ মানুষের সমর্থন রয়েছে। এই সমর্থনে ভয় পেয়ে বর্তমান অবৈধ সরকার তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিচ্ছেনা। বেগম জিয়া কারাগারে অনেক কষ্টে আছেন। তার শারীরিক অবস্থা অনেক নাজুক হয়ে গেছে। যেকোন সময় দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এখন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া কোন বিকল্প নাই। এই সরকারকে জলোচ্ছাস ও টর্নেডোর মতো কর্মসূচী দিয়ে দ্রæত পতন ঘটিয়ে বেগম জিয়াকে কারামুক্ত করা হবে।
গতকাল বিকেলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে রাজশাহীর মালোপাড়াস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে রাজশাহী মহানগর ও জেলা বিএনপি’র আয়োজনে বিএনপি চেয়ারপার্সন তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধানি অতিথি বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রান ও পুণর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার, সদস্য সৈয়দ মহসিন আলী, মিজানুর রহমান মিজান, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক আব্দুস সামাদ, সাইদুর রহমান মন্টু, কামারুজ্জামান আবু হেনা, সদর উদ্দিন, জাকিরুল ইসলাম বিকুল ও জিয়াউর রহমান জিয়া।
বগুড়া ব্যুরো জানায় : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে বগুড়া জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ পালিত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার সকাল ১১ টায় শহরের নবাববাড়ী রোডস্থ জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সিনিয়র যুগ্মআহবায়ক অ্যাডভোকেট একেএম সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিশ্বের বড় বড় স্বৈরাচারদের পতন হয়েছে, শেখ হাসিনারও পতন হবে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু,যুগ্ম আহবায়ক ফজলুল বারি তালুকদার বেলাল, কেন্দ্রীয় সদস্য জয়নাল আবেদিন চাঁন, আলী আসগর তালুকদার হেনা,লাভলী রহমান, মৎসজীবি দলের আহবায়ক ময়নুল হক বকুল, ছাত্রদলের জেলা সভাপতি আবু হাসান, সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম ছিদ্দিকী রিগ্যান প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন কেএম খায়রুল বাশার।
ঠাকুরগাঁও জেলা সংবাদদাতা জানান : বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে বাঁধা দিয়েছে পুলিশ। ফলে জেলা কার্যালয় চত্বর থেকে বের হতে পারেনি মিছিলটি।
শনিবার দুপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করতে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকে নেতাকর্মীরা। পরে সেখান থেকে একটি সম্মিলিত বিক্ষোভ মিছিল শহর প্রদক্ষিণের উদ্দেশ্যে বের হবার চেষ্টা করলে পুলিশ তার গতি রোধ করে। পুলিশের বাঁধায় সেখানেই তারা মাটিতে বসে পড়েন , সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন ও বিক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীন সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, জেলা মহিলা দলের সভাপতি ফুরাতুন নেসা প্যারিস সহ জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ পুলিশী বাঁধার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার অবিলম্বে মুক্তি দেয়া না হলে আরো কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর থেকে জানান: বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে চাঁদপুরেও পুলিশের বাঁধার মুখে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার শহরের নতুন বাজার মুনিরা ভবন থেকে বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদের নেতৃত্বে বিশাল একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
এ সময় উপস্থিত পুলিশ তাদের অন্যান্য সড়কে মিছিল নিয়ে যেতে বাধা দিলে তারা পাশ্ববর্তী দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান নেন। পরে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদের সভাপতিত্বে সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্ববায়ক অ্যাড.সলিমুল্লাহ সেলিম, মাহবুব আনোয়ার বাবলু, শহর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন মাঝি প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।