পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
আগামী অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় (২০২১-২০২৫) আয় বৈষম্য কমিয়ে আনা, আঞ্চলিক বৈষম্য বন্ধ করা, কর্মসংস্থান তৈরি করা, দারিদ্র্য দ্রুত কমিয়ে আনা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গুরুত্ব দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম।
গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসিতে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠক করে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ।
অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ কী জানতে চাইলে শামসুল আলম বলেন, অর্থনীতিবিদরা সাধারণ অর্থনীতি বিভাগকে মতামত দেন, চিন্তা দিয়ে সহযোগিতা করবেন। বৈঠকে তারা অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় যেন যথেষ্ট সংযুক্তিমূলক অভিব্যক্তিকে যুক্ত করি, আয় বৈষম্য কমিয়ে আনি, কর্মসংস্থানের জন্য যেন ব্যাপকভাবে গুরুত্ব দেই এ বিষয়গুলো তারা বলতে চেয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের যে বিরূপ প্রভাব, তা থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসতে পারি বা মোকাবিলা করতে পারি কিংবা জনসহিষ্ণুতা গড়ে তোলা যায়, সে বিষয়গুলো জোর দেয়ার জন্য তারা বলেছেন।
এ বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা বিষয়ে শামসুল আলম বলেন, আমরা বলেছি, এগুলো আমাদের চিন্তা-চেতনার মধ্যে আছে। আমরা এগুলোকে বাস্তবায়নযোগ্য পরিকল্পনা হিসেবে গ্রহণ করতে চাই। যাতে আমাদের উচ্চ প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত হয়, যথেষ্ট কর্মসংস্থান তৈরি হয় এবং দারিদ্র্য দ্রæত কমে আসে। এ বিষয়গুলো আমরা অবশ্যই প্রাধান্যে রাখব। কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য কমিয়ে আনা এবং সংযুক্তমূলক উন্নয়ন অর্থাৎ উন্নয়নের সুফলতা যেন সবার কাছে পৌঁছায়। দরিদ্র যারা আছে, মানে অরক্ষিত জনগণ, তারা যেন সুফল ভোগ করতে পারে। দ্রæত দারিদ্র্য যেন কমে আসে। এ বিষয়গুলো আমরা অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় গুরুত্ব দিচ্ছি, দেব।
তিনি বলেন, এটি হবে রূপকল্প ২০৪১ অর্জনের প্রথম পরিকল্পনা। যার মাধ্যমে আমাদের শুরু হবে উন্নত দেশে পৌঁছানোর যাত্রা।
সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের এ সদস্য বলেন, দেশে ভোগ বৈষম্য বাড়েনি, আয়- বৈষম্য কিছুটা বেড়েছে। আয়-বৈষম্য নিরূপণটা কিছুটা বিষয়গত, বস্তুনিষ্ঠ নয়। ভোগ-বৈষম্য যেটা, সেটা বাড়েনি। আহার, খাদ্যের যে ব্যয়, সেদিক থেকে ধনী-দারিদ্র্যের ব্যবধান অতটা বাড়েনি গত ১০ থেকে ১১ বছরে।
শামসুল আলম বলেন, আয় দিয়ে বৈষম্যের পরিমাণ অনেক দেশেই করে না। এমনকি ভারতও করে না। ভোগ-বৈষম্য দেখাই সত্যিকারের প্রতিফলন ঘটায়। তবুও যাতে আয়-বৈষম্য না ঘটে, আঞ্চলিক বৈষম্য যাতে সৃষ্টি না হয়, সেদিকে আমরা যথেষ্ট সতর্ক থাকব আগামী অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।