পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পঞ্চগড়ের কৃতি ক্রিকেটার শরিফুল ইসলামের পরিবারের খোঁজ নিতে বললেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। সোমবার দুপুরে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের খেলার প্রশংসা করে রেলমন্ত্রী জানান, সিলেট থেকে ওইদিন বিকাল তিনটার ট্রেনে ঢাকায় ফেরার কথা ছিল তার। কিন্তু দুপুরে খেলা শুরু হওয়ার পর তিনি খেলার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন। সফরসঙ্গী অন্যান্যদের সাথে আলোচনা করে দুপুরের সফর বাতিল করে রাতের ট্রেনে ঢাকায় আসার সিদ্ধান্ত নেন।
বিশ্বকাপ জয়ী বাংলাদেশের যুব ক্রিকেটারদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক চেষ্টায় দিন দিন আমাদের ক্রিকেট আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রমে ভাল করছে। আলোচনার এক পর্যায়ে বাঁহাতি পেসার শরিফুলের কৃতিত্বের প্রসঙ্গ আছে। পঞ্চগড়ের ছেলে শরিফুল, একথা শুনে রেলমন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে শরিফুলের খোঁজ খবর নিতে বলেন। মন্ত্রী তার বাবার ফোন নম্বর জোগাড় করার তাগিদ দিয়ে বলেন, তার বাবার সাথে আমি কথা বলতে চাই। শরিফুলের পরিবারের অর্থনৈতিক দুরাবস্থার কথা জেনে মন্ত্রী আরও বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠেন।
পঞ্চগড়ের এক অজোপাড়াগাঁয়ে জন্ম শরিফুলের। দরিদ্র কৃষকের ঘরে দুবেলা ঠিকমতো খাবারই জুটতো না তার। তাই অভাবের সংসারে বড়শি হাতে নিজেই পুকুরপাড়ে বসে পড়ত কিশোর ছেলেটি। ধৈর্য ধরে বসে থাকত, মাছ যদি পাওয়া যায় তাহলে একদিনের জন্য খাবারটা অন্তত জুটবে।
পঞ্চগড়ের সেই ধৈর্যশীল কিশোরই আজ পরিণত হয়েছে টগবগে গতিময় তরুণে। পরিস্থিতি পালটে গিয়ে সে-ই এখন বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের সেরা বোলিং অস্ত্র হয়ে ঝলসে উঠেছে। শরিফুল ইসলাম নামের সেই ছেলেটি আজ লড়াই করে হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পেস আক্রমণের প্রধান কা-ারি।
অথচ ক্রিকেটার হওয়ার ভাবনাটাই ছিল না শরিফুলের। ২০১৬ সালে স্থানীয় এক ক্রিকেট টুর্নামেন্টে টেপ টেনিসে তার বল দেখে মুগ্ধ হন রাজশাহীর স্বনামধন্য কোচ আলমগীর কবির। তার ডাকেই দিনাজপুর থেকে রাজশাহীতে আসে শরিফুল।
আলমগীর কবিরের কথা তাই প্রতিমুহূর্তে বলে চলেন শরিফুল। বলেন, 'আমার খেলার কোনও সরঞ্জাম ছিল না। তিনিই আমার হাতে ভারত থেকে আনা একজোড়া নতুন বুট তুলে দেন। সকালে শুধু আমাকে নিয়েই একটা আলাদা প্র্যাকটিস সেশন রাখতেন। বিকেলে যতœ নিতেন নিজের সন্তানের মতো করেই।'
তবে, ২০১৭ সালের ঢাকা প্রিমিয়ার লীগেই প্রথম সবার নজর কাড়েন শরিফুল। ৮ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়ে আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হন এই তরুণ। ওই সাফল্যই তাকে খুলে দেয় বিপিএল ও বাংলাদেশ ‘এ’ দলের দরজা। সেবার বিপিএলে খুলনা টাইটান্সের হয়ে অভিষেক হয় তার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।