পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিদেশিদের কাছে নালিশ করে দেশকে খাটো না করতে বিএনপির প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) আয়োজিত 'মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত অমর একুশে চট্টগ্রাম বইমেলা ২০২০' উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশ বহুদুর এগিয়ে যেতে পারতো গত ১১ বছরে, যদি বাংলাদেশে নেতিবাচক রাজনীতি না থাকতো। গতকাল দেখতে পেলাম বিএনপির পক্ষ থেকে বেশ কয়েকজন বিদেশি রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিককে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে নালিশ উপস্থাপন করা হয়েছে। ভোট দিল বাংলাদেশের মানুষ, ভোট হল ঢাকা শহরে, যদি কোনো নালিশ থাকে তাহলে ঢাকা শহরের ভোটারদের কাছে নালিশটা দিতে হয়।
তিনি বলেন, যদি কোন নালিশ থাকে, তা বাংলাদেশের মানুষের কাছে দিতে হবে। কথায় কথায় বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেয়া, এতে দেশ ও জাতিকে অপমান করা হয়। তারা ক্রমাগতভাবে যে কোন বিষয়ে বিদেশিদের কাছে ছুটে যায়, এটি দেশ, জাতি এবং ভোটারদেরকে অপমান করার শামিল ছাড়া অন্য কিছু নয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির কোন নালিশ থাকলে সেটা নির্বাচন কমিশনে দিতে পারে, সেই নালিশ দেওয়ার জন্য তারা আদালতে যেতে পারে, জনগণ, ভোটারদের কাছে যেতে পারে। সেটি না করে বিদেশি দূতাবাসের কুটনীতিকদের ডেকে নালিশ উপস্থাপন করা, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি দূতাবাসগুলো বা রাষ্ট্রগুলো যাতে হস্তক্ষেপ করতে পারে, সেটির পথ তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। এটি কখনো আমাদের জন্য সম্মানজনক নয়, অসম্মানজনক। এই কাজটি ক্রমাগতভাবে বিএনপি করছে।
‘বিএনপিকে আমি অনুরোধ জানাবো, আপনাদের যদি কোন নালিশ থাকে, সেটা জনগণের কাছে উপস্থাপন করুন। দয়া করে ঘরের বিষয় নিয়ে বিদেশিদের কাছে নালিশ উপস্থাপন করে দেশকে খাটো করবেন না’, বলেন ড. হাছান মাহমুদ।
ধারাবাহিকভাবে বইমেলা আয়োজনের জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি, গত বছরের তুলনায় এ বছর জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উপলক্ষে বইমেলার কলেবর বৃদ্ধি করা হয়েছে। ঢাকা থেকে দেড় শতাধিক প্রকাশক এই বইমেলায় অংশগ্রহণ করছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী, প্রধান সমুদ্র বন্দর, প্রধান বাণিজ্য নগরী, বাণিজ্যিক রাজধানী। এই শহরের লোকসংখ্যা বর্তমানে ৭০ লক্ষের বেশী। এই শহরে এমন একটি বইমেলার বড় অভাব ছিল কয়েক বছর আগেও। বিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন জায়গায় বইমেলার আয়োজন করা হতো, যেটির অভাব ঘুচিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন আয়োজিত এই বইমেলা। আমি বিশ্বাস করি চট্টগ্রামের বই মেলা ধীরে ধীরে ঢাকা বইমেলার পর্যায়ে যাবে।
স্কুলের শিক্ষার্থীদের বইমেলায় নিয়ে এসে বই পাঠে উৎসাহ ও পুরস্কার প্রদানের উদ্যোগ নিতে সিটি করপোরেশনের প্রতি আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী।
এর আগে বিকেল ৫টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) আয়োজিত এ বইমেলার উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ সময় পরিবেশন করা হয় জাতীয় সংগীত। বইমেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন চসিকের পতাকা উত্তোলন করেন।
এ সময় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামশুদ্দোহা, চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সভাপতি শাহ আলম নিপু, সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন, কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, হাসান মুরাদ বিপ্লব, চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।