পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে ১৬৩ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১৩ হাজার ৯১৯ কোটি ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা (এক ডলারে ৮৪ টাকা ৯৫ পয়সা ধরে)। এটি আগের মাস ডিসেম্বরের চেয়ে ৪ কোটি ৮৬ লাখ ডলার কম। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। হন্ডি প্রতিরোধে কড়াকড়ি ও ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে করে রেমিট্যান্স প্রবাহ ইতিবাচক রয়েছে। ব্যাংকার ও খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে মূলত দুটি কারণে। একটি হলো- সরকার ঘোষণা অনুযায়ী দুই শতাংশ প্রণোদনা দেয়া শুরু করেছে।
অন্যটি হলো- ডলারের দাম বেড়েছে। অর্থাৎ এখন ডলারের বিপরীতে বেশি টাকা পাওয়া যাচ্ছে। এসব কারণে প্রবাসীরা দেশে বৈধ পথে টাকা পাঠাতে উৎসাহিত হচ্ছেন। ২০১৯ সালের শুরুতে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দর নির্ধারণ ছিল ৮৩ টাকা ৯০ পয়সা। যর্থাৎ পণ্য আমদানিতে প্রতি ডলারে ব্যয় করতে হয় ৮৩ টাকা ৯০ পয়সা। চলতি বছর দফায় দফায় দাম বেড়ে এখন ডলারের দাম ৮৪ টাকা ৯৫ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। এ হিসাবে গত এক বছরে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম এক টাকার বেশি বেড়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত জানুয়ারিতে দেশে ১৬৩ কোটি ৮৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা এর আগের মাস ডিসেম্বরের চেয়ে ৪ কোটি ৮৬ লাখ ডলার কম। ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন ১৬৮ কোটি ৭১ লাখ ডলার। তবে মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স কমলেও বেড়েছে বছরের ব্যবধানে। গত বছরের জানুয়ারিতে প্রবাসীরা ১৫৯ কোটি ৭২ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন।
গত বছরের ওই মাসের তুলনায় এ বছর রেমিট্যান্স ৪ কোটি ১৩ লাখ বা ২.৫৮ শতাংশ বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের (২০১৯-২০) জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ১০৪ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৯০৯ কোটি ডলার। এ হিসাবে ৭ মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১৯৫ কোটি ডলার বা ১৭.৬৬ শতাংশ। এদিকে, রেমিট্যান্সের প্রণোদনার অর্থ যেন সহজে প্রবাসীরা পঠাতে পারেন, সেজন্য বেশকিছু শর্ত শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আহরণে রেকর্ড হয়। ওই সময়ে প্রবাসীরা ১ হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠান, যা ছিল অর্থবছর হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।