পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : রাজধানীর গুলশানে স্প্যানিশ রেস্টুরেন্ট হলি আর্টিসান বেকারিতে গতকাল রাত থেকে চলা সন্ত্রাসী হামলা ও জিম্মি পরিস্থিতির ঘটনা বিশ্বের গণমাধ্যমগুলো ফলাও করে প্রচারিত হয়েছে। ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের অনেক গণমাধ্যমে এ ঘটনার সংবাদের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত হালনাগাদ তথ্য দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে আট থেকে নয়জন অস্ত্রধারী হলি আর্টিসান বেকারিতে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গোলাগুলিতে পুলিশের দুই কর্মকর্তা নিহত হন। আহত হন আরো ৩০ জন। সন্ত্রাসীরা রেস্টুরেন্টের মধ্যে বিদেশি নাগরিকসহ কয়েকজনকে জিম্মি করে। রাতভর হলি আর্টিসান সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন ছিল। পরে আজ (শনিবার) সকালে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, সোয়াত, সেনা ও নৌবাহিনীর কমান্ডোদের সমন্বয়ে জিম্মি উদ্ধারের অভিযান চালানো হয়। সর্বশেষ ১২ জন উদ্ধার এবং ছয় জিম্মিকারী নিহতের খবর জানা গেছে। গতকাল রাতেই এক বিবৃতিতে জঙ্গি সংগঠন আইএস এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। হামলার পরপরই যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম বিবিসি ‘গুলশানের রেস্টুরেন্টে জঙ্গিদের হাতে জিম্মি অনেক মানুষ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। পরে প্রতিনিয়ত হালনাগাদ তথ্য দিয়েছে এই সংবাদমাধ্যম। সবশেষে সকালে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান চালানোর প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে বিবিসি।
যুক্তরাজ্যের অপর সংবাদমাধ্যম ‘ইনডিপেনডেন্ট’ প্রতিবেদন করেছে ‘ঢাকায় গোলাগুলি, বাংলাদেশের রাজধানীতে বিদেশিদের জিম্মি করেছে বন্দুকধারীরা’। ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদন ও হালনাগাদ সংবাদে দুই পুলিশ নিহত হওয়া এবং ২৫ জন আহত হওয়ার খবর জানানো হয়। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান প্রতিবেদন করে, ‘ঢাকায় হামলা : বন্দুকধারীরা রেস্টুরেন্টে জিম্মি করেছে, ঘিরে রেখেছে পুলিশ’। পরে হালনাগাদ সংবাদে নিরাপত্তা বাহিনীর জিম্মি উদ্ধারের অভিযানের কথা জানায় গার্ডিয়ান। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস হামলার পরপরই প্রতিবেদন করেছে। পরে জিম্মি উদ্ধারে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান শিরোনামে একটি প্রতিবেদনও করেছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের অপর সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে জিম্মি উদ্ধারে বিভিন্ন বাহিনীর অভিযানের কথা জানিয়েছে। এতে সর্বশেষ ১২ জনকে উদ্ধারের কথা জানানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ বাংলাদেশের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের ভিডিও ফুঁটেজ নিয়ে প্রতিবেদন করেছে। এ ছাড়া জিম্মিদের উদ্ধারে পুলিশের অভিযানের কথাও এক প্রতিবেদনে তারা জানিয়েছে। ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এবং এনিডিটিভি গুলশান হামলার বিশেষ সরাসরি প্রতিবেদন করেছে। এই সরাসরি প্রতিবেদনে প্রতিনিয়ত হালনাগাদ তথ্য দেয়া হয়েছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এক প্রতিবেদনে জিম্মি উদ্ধারে অভিযানের বিষয়ে প্রতিবেদন করেছে। ছয় জিম্মিকারী নিহত, ১৩ জন উদ্ধার শীর্ষক প্রতিবেদনে উদ্ধার অভিযানের বিভিন্ন পর্যায়ের কথা বলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।