পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, গুলশানের রেস্টুরেন্টে সেনা কমান্ডোর নেতৃত্বে পরিচালিত যৌথ অভিযানে নিহত ৬ সন্ত্রাসীর সবাই বাংলাদেশী। এর মধ্যে ৫ জন ছিল পুলিশের তালিকাভুক্ত। এদের দেশের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজা হচ্ছিল।
গতকাল শনিবার রাজারবাগ পুলিশ লাইনে গুলশানের ঘটনায় নিহত ওসি সালাউদ্দিন এবং ডিবির এসি রবিউল ইসলামের নামাজে জানাজা শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।
তিনি আরো বলেন, সবাইকে বাঁচানোর আশা মাথায় রেখেই অভিযান চালানো হয়েছিল কিন্তু শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে কখনই অভিযান পরিচালনা করা যায় না। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্সও তা পারে না। আমরা যে ব্যবস্থা নিয়েছি তার ফলে হামলাকারীদের অনেক পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে।
জঙ্গিদের রুখে দেয়া হবে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, আমরা জিরো টলারেন্স নিয়ে জঙ্গিবাদবিরোধী অভিযান জোরদার করব। জঙ্গিবাদকে কখনই ছাড় দেয়া হবে না। গুলশান হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস। দেশে তাহলে আইএস আছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আইজিপি বলেন, যেকোনো বিষয়ে আইএসের দায় স্বীকার করা হচ্ছে। আমরা এর লিংক খোঁজার চেষ্টা করছি। অভিযানে যে ৬ জঙ্গি নিহত হয়েছে তাদের মধ্যে ৫ জনকে পুলিশ খুঁজছিল। তারা গুলশানে এসে নিহত হলো।
এর আগে শুক্রবার রাত থেকে শুরু হওয়া জিম্মি সঙ্কট সেনা কমান্ডোর নেতৃত্বে শনিবার সকালে ১২-১৩ মিনিটের যৌথ অভিযান ‘অপারেশন থান্ডার বোল্ট’-এর মাধ্যমে শেষ হয়। অভিযানে নিহত হয় ৬ সন্ত্রাসী। যৌথ বাহিনীর অভিযানে সেখান থেকে মোট ২০ বিদেশীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুত্রুবার সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয়ে রাতে মারা যায় বনানীর ওসি সালাউদ্দিন এবং ডিবির এসি রবিউল ইসলাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।