Inqilab Logo

বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খালেদা জিয়াসহ গুলশানবাসীর নিরাপত্তা দাবি বিএনপির

প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : গুলশানের জিম্মি ও রক্তপাতের নজিরবিহীন ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ এবং ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। সেই সাথে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, গুলশানবাসীসহ ওই এলাকায় বসবাসরত বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি
গতকাল দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কর্তৃক গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে এ কথা জানান দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, বছরব্যাপী জঙ্গিবাদী দুষ্কৃতিকারীরা দেশজুড়ে যে কম্পোজিট সন্ত্রাসের মাধ্যমে রক্তক্ষরণ ঘটাচ্ছে তা শুক্রবার রাতে বিদেশি নাগরিকসহ বিশ জন মানুষকে জিম্মি করে অসংখ্য মানুষকে হতাহতের ঘটনা এদেশের ইতিহাসে এক জঘন্যতম কালো অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে।
তিনি বলেন, জঙ্গিবাদের এই পৈশাচিক আগ্রাসনে প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও নানা সম্প্রদায়ের মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। কিন্তু বর্তমান সরকার শাসনযন্ত্রের দমন ক্ষমতা বিরোধী দলের বিরুদ্ধেই কাজে লাগিয়ে যাচ্ছে। ফলে জঙ্গিবাদ আরো উৎসাহিত হয়ে তাদের হিং¯্র আচরণ তীব্রতর করেছে। নাৎসীদের পন্থায় ডিক্টেটরি শাসন দীর্ঘস্থায়ী করার লক্ষ্যেই বিরোধী দলের প্রতি সব সময়ই অসহিষ্ণু সরকার।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে এবং ক্রসফায়ারের ভয়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকছে। সরকারের দৃষ্টি যেহেতু বিরোধী দলের দিকে সেহেতু উগ্রবাদীরা নির্বিঘেœ তাদের সহিংস কর্মকা- চালিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছে। আমি সরকারের উদ্দেশ্যে বলতে চাইÑ মধ্যযুগীয় বর্বরতার প্রতীক এই উগ্রবাদী জঙ্গিদের সন্ত্রাসের সংগঠন ও পরিকাঠামো নিশ্চিহ্ন করতে হলে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ গ্রহণ করা অতীব জরুরি। আর এই জরুরি কাজটি সরকারকেই করতে হবে। সরকার এখন যদি এই মানবতাবিরোধী উগ্রবাদীদের নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের খেলায় মেতে থাকেন, তাহলে জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে। বিএনপির মহাসচিব বলেন, জঙ্গি দমনের নামে সপ্তাহব্যাপী সরকারের পুলিশি অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল রাজনৈতিক এবং বিএনপিকে জঙ্গিবাদের সাথে জড়ানোর কারসাজি। কিন্তু শুক্রবার সকালে ঝিনাইদহে হিন্দু সেবায়েত শ্যামানন্দ দাসকে কুপিয়ে হত্যা এবং ওইদিন রাতে গুলশানে একটি রেস্টুরেন্টে নজিরবিহীন মানুষ জিম্মি করে হতাহতের ঘটনায় সারা জাতি হতভম্ব ও শঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
সাবেক এই মন্ত্রী আরো বলেন, সরকার নিজের স্বার্থসিদ্ধি করতে গিয়ে দেশের কাঠামোর মূলেই কুঠারাঘাত করছে। তিনি শ্যামানন্দ দাসের আত্মার শান্তি কামনা ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। পাশাপাশি গুলশানে উগ্রবাদীদের রক্তাক্ত পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশের নিরাপত্তা বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহসী পদক্ষেপের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি রক্তাক্ত ঘটনায় কর্তব্য পালন করতে গিয়ে নিহত পুলিশ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং নিহতদের পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সহানুভূতি জানান এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, গুলশানের এলাকাবাসী এবং অত্র এলাকার বাসিন্দা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি অত্র এলাকায় বসবাসরত বিদেশি কূটনীতিকদের জীবন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার দ্রুত সময়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে বিএনপি মহাসচিব আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, এই সহিংস ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতকারীদের আটক এবং এদের গোপন আস্তানা দ্রুত সময়ের মধ্যে ধ্বংস করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সক্ষম হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খালেদা জিয়াসহ গুলশানবাসীর নিরাপত্তা দাবি বিএনপির
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ