পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ইরাকি শহর ফাল্লুজা এখন ইরাকি বাহিনীর দখলে। দু’বছর ধরে দখল করে রাখা শহর ছেড়ে পালিয়েছে আইএস। পশ্চিম দিকের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার বাড়িগুলো ছিল ইসলামিক স্টেটের (আইএস, আইসিল, আইসিস বা দায়েশও বলা হয়) যোদ্ধাদের সর্বশেষ অবস্থানস্থল। তাড়াহুড়ো করে কাটা চুল-দাড়ি এসব বাড়ির মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। ময়লা ফেলার বালতিগুলোও তাতে পূর্ণ। ইরাকি স্থলবাহিনীর অগ্রাভিযানের মুখে আইএস যোদ্ধারা পালিয়ে গেছে মরুভূমির গভীরে। খবর এপি।
ইরাকি কর্মকর্তারা বলেছেন, এর আগে ২৯ জুন ফাল্লুজার কাছে আইএসের যানবাহন বহরে বিমান হামলা চালিয়ে তারা কয়েক ডজন যান ও বহু আইএস যোদ্ধাকে হত্যা করেছেন। নিহত আইএস যোদ্ধাদের সংখ্যা ২৫০। তবে আইএস যোদ্ধারা যেভাবে তাদের দীর্ঘ অধিকৃত শহর এলাকা ত্যাগ করেছে তা যুদ্ধক্ষেত্রে পরাজয়ের দীর্ঘসময় পরও তাদের পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নেয়া ও পুনর্গঠিত হওয়ার ক্ষমতাকে তুলে ধরেছে। ফাল্লুজার জুলান এলাকায় ইরাকি কর্পোরাল সাহার নাজিম বুট দিয়ে মেঝেতে পড়ে থাকা দাড়ির দঙ্গল লাথি মেরে ছড়িয়ে দিয়ে বলেন, আইএসের কাছ থেকে পুনর্দখল করা সব শহরেই এই একই দৃশ্য দেখেছি। আইএস যোদ্ধারা যখন নিশ্চিত হয় যে তারা পরাজিত হচ্ছে, তখন তারা তড়িঘড়ি করে দাড়ি কেটে ফেলে ও বেসামরিক লোকদের সাথে মিশে পালিয়ে যায়।
বাগদাদের ৪০ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত ফাল্লুজা হারানো আইএসের জন্য এক বিরাট আঘাত। তারা এখন বোমা তৈরি ও নতুন যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ প্রদানের ক্ষেত্র হারাল এবং স্থানীয় জনগণের কাছ থেকে কর আদায়ের উৎসও তাদের হাতছাড়া হল। শহরের পুবদিকে শিল্প এলাকায় ডজনখানেক গাড়ি মেরামত কারখানাকে গাড়িবোমা নির্মাণের কারখানায় রূপান্তরিত করা হয়েছিল। টয়োটা গাড়ি মেরামতের একটি গ্যারেজে রাসায়নিক ভর্তি বহু প্লাস্টিক জগ দেখা যায়। সর্বশেষ শহরের উত্তর ও পশ্চিম থেকে আইএস যোদ্ধাদের বিতাড়িত করে ইরাকি সেনাবাহিনী ২৬ জুন ফাল্লুজাকে মুক্ত করার কথা ঘোষণা করে। ২২ মে ফাল্লুজা পুনর্দখলের লড়াই শুরু হয়। ২০১৪ সালে আইএস ইরাকের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করলেও বর্তমানে তারা মাত্র ১৪ শতাংশের মতো এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। একজন ইরাকি অফিসার বৃহস্পতিবার বলেন, পাঁচ সপ্তাহের অভিযান চলাকালে ৫শ’র মতো আইএস যোদ্ধা পালিয়ে গেছে। এ বছরের গোড়ার দিকে রামাদি পুনর্দখলের সময় ১ হাজারেরও বেশি আইএস যোদ্ধা পালিয়ে যায়।
ফাল্লুজা অভিযানের সময় সেখানে ৫শ’ থেকে ৭শ’ আইএস যোদ্ধা ছিল বলে ধারণা করা হলেও তাদের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩ হাজার বলে ইরাকি লে. জে. আবদুল ওয়াহাব আল সাদী জানান। আগে যুদ্ধক্ষেত্রে পরাজিত হয়ে আইএস বাগদাদ বা অন্যান্য ইরাকি শহরে বোমা হামলা চালিয়ে তার প্রতিশোধ নিয়েছে। মে মাসে হিত শহর হারানোর পর বাগদাদ ও আশপাশে বোমা হামলা চালিয়ে তারা প্রায় ২শ’ জনকে হত্যা করে।
পালিয়ে যাওয়া আইএস যোদ্ধারা পুনর্গঠিত হতে পারে বলে উদ্বেগ রয়েছে। মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর মুখপাত্র মার্কিন সেনাবাহিনীর কর্নেল ক্রিস্টোফার গারভার বলেন, আমরা তাদের পুনঃসংগঠিত হওয়ার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। তাদের যুদ্ধক্ষেত্রে পরাজিত করতে হবে আমাদের।
কিছু ইরাকি অফিসার বলেন, আইএস যেভাবে পালাচ্ছে এবং তাদের পলায়মান গাড়িবহর বিমান হামলায় ধ্বংস থেকে বোঝা যায় যে, তারা পরাজয়ের শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। একটি রাজনৈতিক ঝুঁকি নিউজলেটার ইনসাইড ইরাকি পলিটিক্সের এমডি ন্যাথানিয়েল র্যাবকিন বলেন, ফাল্লুজা দখলের ঘোষণা দেয়ার মাত্র কয়েকদিন পরই কয়েকশ’ যোদ্ধার সমাবেশ থেকে আইএসের এখনো উল্লেখযোগ্য কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণের প্রমাণ মেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।