পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ প্রায় তাৎক্ষণিকভাবে শহর থেকে গ্রামে, গ্রাম থেকে শহরে অর্থাৎ দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে সর্বত্রই টাকা পাঠানোর সুযোগ তৈরি করেছে মোবাইল ব্যাংকিং। বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং শুধু টাকা আদান-প্রদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং অনেক নতুন নতুন সেবা যুক্ত হয়েছে এতে। প্রতি মাসেই বাড়ছে বিভিন্ন সেবা বিল দেয়ার পরিমাণ। বাড়ছে লেনদেনের পরিমাণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মে মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ ৬১৬ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। আগের মাস এপ্রিলে যা ছিল ৬০৬ কোটি টাকা। আগের মাসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। মূলত কম সময়ে টাকা পাঠানোর সুযোগের ফলে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার দ্রæত প্রসার ঘটছে। একই সঙ্গে মোবাইল ব্যাংকিং-এর গ্রাহক সংখ্যা ছাড়িয়েছে সাড়ে ৩ কোটি।
প্রতিবেদনের তথ্য মতে, মোট ৩ কোটি ৫৪ লাখ ৯০ হাজার অ্যাকাউন্ট থাকলেও এর মধ্যে চালু রয়েছে ১ কোটি ২৮ লাখ একাউন্ট। যা আগের মাসে ছিল ১ কোটি ৩৭ লাখ। কোনো অ্যাকাউন্ট থেকে টানা তিন মাস কোনো ধরনের লেনদেন না হলে তা ইন-অ্যাকটিভ বা নিস্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট হিসেবে বিবেচিত হয়। অবশ্য বড় কোনো অনিয়ম না পাওয়া গেলে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে না ব্যাংক।
ব্যাংকগুলো সরাসরি মোবাইল ব্যাংকিং করতে পারে না বিধায় এ কার্যক্রমের জন্য এজেন্ট নিয়োগ করে। নির্ধারিত কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এজেন্ট নিয়োগ দেয়। মে মাস শেষে ব্যাংকগুলোর মনোনীত এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৪৩২; যা আগের মাসে ছিল ৫ লাখ ৭৭ হাজার।
এদিকে সেবা খাতের লেনদেনে দিন দিন বাড়ছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন। সামান্য বেড়েছে রেমিটেন্স আহরণের পরিমাণও। এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে প্রবাসী বাংলাদেশীদের পাঠানো রেমিট্যান্স সুবিধাভোগীর কাছে পৌঁছে দেয়ার হার ১ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১৫০ কোটি টাকার বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। এ সময় ইউটিলিটি বিল পরিশোধ হয়েছে ১৮১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা হয়েছে। দোকানের কেনাকাটা, হাসপাতালের বিল, টেক্সিক্যাবের বিলসহ অন্যান্য খরচ পরিশোধ করা হয়েছে ৩১৯ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, সুবিধাবঞ্চিতদের ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং চালুর অনুমতি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলো বিভিন্ন মোবাইল ফোন অপারেটরের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে এ সেবা দিচ্ছে। ডাচ-বাংলা ব্যাংক প্রথম এ সেবা চালু করলেও এখন সবচেয়ে এগিয়ে আছে ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিকাশ। বর্তমানে ১৯টি ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা থাকলেও মোট লেনদেনের উল্লেখযোগ্য অংশ হয় বিকাশের মাধ্যমে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।