Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভাষা শহীদ ভাষা সৈনিক লও সালাম

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

ভাষার মাস ফেব্রুয়ারির চতুর্থ দিন আজ। ১৯৫২ সালের এই দিনে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটির ডাকে এবং সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সমর্থনে ঢাকা শহরের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়। প্রায় ১০ হাজার ছাত্রছাত্রীর অংশগ্রহণে বের করা হয় মিছিল। মিছিলটি তৎকালীন প্রাদেশিক প্রধানমন্ত্রী নূরুল আমীনের বাসভবন হয়ে নবাবপুর রোড, পাটুয়াটুলী, আরমানিটোলা, নাজিমুদ্দীন রোডসহ কিছু এলাকা প্রদক্ষিণ করে। এ সময় ছাত্রছাত্রীরা রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই এবং আরবি হরফে বাংলা লেখা চলবে না বলে স্লোগান দেয়। পর দিন ৫ ফেব্রুয়ারি দৈনিক আজাদে ছাপা হয় সংবাদটি। ১৯৫২’র ফেব্রুয়ারিতে এসে হঠাৎ করেই আন্দোলন বেগবান হয়নি। বরং একই বছরের জানুয়ারি মাস থেকেই ভাষার দাবিতে আন্দোলন তীব্র হতে থাকে। ২৭ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিনের বক্তৃতার মাধ্যমে শুরু হয় বাংলা ভাষার দাবিতে মূল আন্দোলন। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন পূর্ববঙ্গের প্রধানমন্ত্রী নুরুল আমিন।

ওই সভায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নানা ধরনের বক্তব্য শেষে কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর দোহাই দিয়ে বলেন, পাকিস্তানকে আমরা ইসলামী রাষ্ট্ররূপে গঠন করতে যাচ্ছি। এ সময় তিনি বলেন, প্রদেশের ভাষা কি হবে তা প্রদেশবাসীই ঠিক করবেন, কিন্তু পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু। এর পরে তিনি যুক্তি দেখান একাধিক রাষ্ট্রভাষা থাকলে কোন রাষ্ট্র শক্তিশালী হতে পারে না। তিনি আরও বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে বাংলাভাষাকে আরবী হরফে লেখার চেষ্টা সফল হয়েছে। এসব কেন্দ্র জনগণ নিজ উদ্যোগে খুলেছে বলে তিনি জানান। খাজা নাজিমুদ্দিনের এ বক্তব্যটুকুই দাবানলের মতো বাঙালি জাতির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ২৭ জানুয়ারি নাজিমুদ্দিন এ বক্তব্য না দিলে হয়ত ভাষার অধিকার আদায় করতে আরও কিছু সময় নিত বাঙালিরা। তার এ বক্তব্যের পর বাঙালি বুদ্ধিজীবী থেকে আপামর জনতা সবাইকে জাগিয়ে তোলে। সকলের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে রাজপথে। এভাবে পাকিস্তানীদের বক্তৃতা-বিবৃতির মধ্য দিয়ে বাঙালির কাছে স্পষ্ট হয়, আন্দোলন করে অধিকার আদায় করতে হবে। প্রতিবাদে ২৯ জানুয়ারি সভা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। ৩০ জানুয়ারি বিভিন্ন স্কুল-কলেজে ধর্মঘট পালিত হয়। এ সময় পালিত এসব সভা-সেমিনার থেকে নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪ ফেব্রুয়ারি শহরের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূর্ণ দিবস ধর্মঘট পালনের ডাক দেয়া হয়। ধর্মঘট শহরভিত্তিক হলেও তা সারা দেশেই পালিত হয়। এভাবে ক্রমান্বয়ে আন্দোলন এগিয়ে যেতে থাকে। 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভাষা শহীদ

১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ