পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ছেদ পড়ল প্রায় চার দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা সম্পর্কে। ৩১ জানুয়ারি রাত ১১টায় ‘ব্রেক্সিট’ কার্যকর করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গেল ব্রিটেন। এবার ইউরোপজুড়ে আর অবাধ গতিবিধির পথ রইল না।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেবেলা ইউরোপীয় পার্লামেন্টে পাস হয় ব্রেক্সিট বিল। ৬৮৩ সদস্যের ইউরোপীয় পার্লামেন্টে এই বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ৬২১টি। বিপক্ষে ভোট পড়ে মাত্র ৪১টি। ২১ জন সদস্য ভোট দেননি। ১৯৭৩ সালে তদানীন্তন ‘ইউরোপীয় ইকনমিক কমিউনিটি’-তে যোগ দিয়েছিল ব্রিটেন। ১৯৯২ সালে সেটিরই পরিবর্তিত রূপ হয়ে দাঁড়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এর ফলে ইউরোপজুড়ে মুক্ত বাণিজ্য, সফরের এক নয়া যুগের সূচনা হয়। এবার তাতেই ইতি টানল ব্রেক্সিট।
এদিকে ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার পর ইউনাইটেড কিংডম বা ইউকে-তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ব্রেক্সিটের প্রতিবাদে ইউ সমর্থক স্কটল্যান্ডে মোমবাতি মিছিল বের হয়। এর সম্পূর্ণ বিপরীত ছবি দেখা যায় লন্ডনের পার্লামেন্ট স্কোয়ারে। সেখানে আনন্দে মেতে ওঠেন বহু মানুষ। ‘লং লিভ দ্য কুইন’ স্লোগানে মেতে ওঠে আকাশ বাতাস। লন্ডনের পাব ও বারগুলি ব্রেক্সিটপন্থীদের ভিড়ে উপচে পড়ে। ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই দেশবাসীর উদ্দেশে বার্তা দেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেন, ‘অনেকের জন্যই আজ নতুন যুগের সূচনা হতে চলেছে। এমন একটা মুহ‚র্ত যা অনেকেই ভেবেছিলেন কোনওদিন আসবে না। এটি প্রকৃত জাতীয় পরিবর্তনের মুহ‚র্ত। আমি জানি অনেকের মধ্যেই উদ্বেগ বা অনিশ্চয়তা রয়েছে। বা অনেকেই রাজনৈতিক ডামাডোল নিয়ে চিন্তিত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমার কাজ সকলকে আশ্বস্ত করে এই দেশকে আর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া’।
২০১৬ সালের ২৩ জুন গণভোট দিয়ে ব্রিটেন ঠিক করেছিল, তারা ইইউ থেকে বেরিয়ে আসবে। তার পরে সাড়ে তিন বছর কেটে গেছে। যে ডেভিড ক্যামেরনের জামানায় গণভোট হয়েছিল, তিনি ইস্তফা দেয়ার পরে হালে পানি পাননি উত্তরসূরি টেরেসা মে। অসংখ্যবার ব্রেক্সিট বিল নিয়ে আলোচনায় ও বিতর্ক হয়েছে ব্রিটিশ ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টে। শেষ পর্যন্ত, তবে বরিস জনসন ১০, ডাউনিং স্ট্রিট দখল করে অবশেষে সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেছেন। সূত্র : রয়টার্স, সংবাদ প্রতিদিন।
ব্রেক্সিটে বাংলাদেশের ভয়ের কোনো কারণ নেই
অর্থনৈতিক রিপোর্টার জানান আমাদের
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্য বেরিয়ে গেলেও, দেশটিতে বাংলাদেশের জন্য শুল্কমুক্ত সুবিধা বহাল থাকবে। ব্রেক্সিট পূর্ববর্তী এক আলোচনায় এ কথা জানিয়েছেন, ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন। তিনি বলেন, ব্রেক্সিটের কারণে বাংলাদেশের ভয়ের কোনো কারণ নেই।
স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে থাকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যাকে বলা হয়, এভ্রিথিং বাট আর্মস। অর্থাৎ অস্ত্র ছাড়া সবকিছু। পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানিতে এ সুবিধা পেয়ে আসছে বাংলাদেশও। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া বা ব্রেক্সিটের কারণে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, যুক্তরাজ্যের সাথে আগের সুবিধাগুলো বহাল থাকবে কি না।
বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার। ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেছেন, যুক্তরাজ্যের বাজারে বাংলাদেশ আগের মতোই ইবিএ বা শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। রবার্ট ডিকসন আরও বলেন, ব্রেক্সিটের কারণে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। বরং এর ফলে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যে নতুন দরজা খুলে যাবে।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং ব্যবসাসহ নানা ইস্যুতে বাংলাদেশকে যুক্তরাজ্যের অন্যতম অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, ব্রেক্সিটের কারণে যুক্তরাজ্যের বাজারে বাংলাদেশ কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।