পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চেষ্টার মূল পরিকল্পনাকারী ঢাকা থেকে গ্রেফতার ৫ দিনের রিমান্ডে
স্টাফ রিপোর্টার : মাদারীপুরে কলেজ শিক্ষক রিপন চক্রবর্তীকে হত্যা চেষ্টার মূল পরিকল্পনাকারীকে ঢাকা থেকে গ্রেফতারের দাবি করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতের নাম খালিদ সাইফুল্লাহ (জামিল) ওরফে আফিফ কাইফি ওরফে পথভোলা পথিক। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
গতকাল (শুক্রবার) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার ডেমরা বাদশামিয়া রোড এলাকা থেকে সাইফুল্লাহকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। ওই শিক্ষকের ওপর হামলার একমাস আগে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। তাদের দলনেতা কথিত আমিরের কাছে হত্যার জন্য অনলাইন অ্যাপস টেলিগ্রামের মাধ্যমে অনুমতি নেয় সাইফুল।
মনিরুল ইসলাম বলেন, হত্যার পরিকল্পনাকারী সাইফুল্লাহ নিজেই। এই ঘটনায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত ফায়জুল্লাহ ফাহিম ছাড়াও আরও দু’জন জড়িত। আমরা তাদের শনাক্ত করেছি। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। তিনি আরো জানান, সাইফুল্লাহর গ্রুপে ৪৯ জনের একটি সুসংগঠিত গ্রুপ রয়েছে। তারা জামায়াতে মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) মতাদর্শে বিশ্বাসী।
এই গ্রুপের টার্গেট ছিলো সংখ্যালঘু, পুলিশ, পীর ও মাজারের খাদেমদের হত্যার মাধ্যমে সরকারকে বিপদে ফেলা। সরকারকে উৎখাত করে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করা। গ্রেফতারকালে সাইফুল্লাহর কাছ থেকে দু’টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। যেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের টার্গেট করা কিছু ব্যক্তি আছে, তবে স্পষ্টভাবে কারও নাম উল্লেখ নেই।
খালেদ সাইফুল্লাহকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। যদিও পুলিশ খালেদকে সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড আবেদন করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক সিরাজুম মুনীর আসামিকে আদালতে হাজির করে দশ দিন রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন বিকেল পাঁচটার দিকে মাদারীপুর সরকারি নাজিমউদ্দিন কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক রিপন চক্রবর্তীকে কলেজ ক্যাম্পাসের পাশের বাসায় ঢুকে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় জনতা ধাওয়া করে হামলাকারীদের একজন গোলাম ফাইজুল্লাহ ফাহিমকে আটক করে। ১৮ জুন রিমান্ডে থাকা অবস্থায় ফাইজুল্লাহ ফাহিম পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। এ ঘটনা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।