পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নাছিম উল আলম : বরিশাল মহানগরীতে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক সাধারণ মানুষের অত্যাবশ্যকীয় বাহন হয়ে উঠলেও নতুন অর্থবছরে লাইসেন্স নবায়নের বিষয়ে নগর ভবন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। নগরীর আমজনতার এ বাহনকে সরিয়ে দিতে একাধিক মহল তৎপর। তবে সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ পরিষদ সভায় ইজিবাইক বহাল রাখার পক্ষে মতামত প্রকাশ করেছেন সব কাউন্সিলর। এরই প্রেক্ষিতে আইনের আওতায় রেখে নগরীতে ইজিবাইক চলাচল অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে নগর পরিষদ। প্রয়োজনে এ লক্ষ্যে উচ্চ আদালতের সব নির্দেশনা অনুসরণ করেই নগর ভবন নীতিমালা প্রণয়ন করবে বলেও জানা গেছে। সম্প্রতি উচ্চ আদালত থেকে কিছু যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত আদেশের আওতায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চলাচলে বাধা নেই বলে সিটি করপোরেশনের আইন বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এরই প্রেক্ষিতে বরিশাল সিটি করপোরেশন নতুন অর্থবছরের জন্য ইজিবাইকের লাইসেন্স নবায়নের পক্ষে মত প্রকাশ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
বরিশাল সিটি করপোরেশন থেকে প্রদত্ত ২ হাজার ৬১০টি ইজিবাইকের লাইসেন্স ফি বাবদ অর্থসংকটক্লিষ্ট নগর ভবনের বার্ষিক আয় প্রায় সোয়া কোটি টাকা। ২০০৯ সালের পরে বরিশাল মহানগরীতে ইজি বাইকের প্রচলন শুরু হয়। প্রথমে কোন কর্তৃপক্ষই এসব গাড়ীর লাইসেন্স প্রদান করেনি। পরবর্তীতে অযান্ত্রিক যানবাহন বিধায় সরকারী বিধি বিধানের আলোকে সিটি করপোরেশন থেকে এর লাইসেন্স ইস্যু শুরু হয়। বিগত নগর পরিষদ ধীরে ধীরে প্রায় দেড় হাজার ইজিবাইকের লাইসেন্স প্রদান করে পরে নতুন লাইসেন্স প্রদান বন্ধ করে দেয়। ২০১৩সালের শেষে বর্তমান নগর পরিষদ দায়িত্ব গ্রহণের পরে আরো সহশ্রাধীক ইজিবাইকের লাইসেন্স প্রদান করা হয়। যা নিয়ে অনেক দুর্নীতিরও অভিযোগ ওঠে।
কিন্তু বরিশাল মহানগরীতে ইতোমধ্যে ইজিবাইক যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও বৈধ ইজিবাইকের সাথে অবৈধ বাইকেরও প্রচলন বেড়েছে যায়। এমনকি নগর ভবনের কতিপয় কর্মী ছাড়াও মহানগর পুলিশের ট্রাফিক শাখার কতিপয় কর্মী বিনা লাইসেন্সে ইজিবাইক চলাচলে পরোক্ষে মদদ জোগাতে থাকে। এখনো এসব অবৈধ ইজিবাইকের বেশিরভাগই নগরীর বাসস্ট্যান্ড থেকে গড়িয়ার পাড়, নবগ্রাম রোড-চৌমহনী থেকে কড়াপুর এবং রূপাতলী বাস স্ট্যান্ড থেকে সন্নিহিত এলাকার কয়েকটি রুটে প্রকাশ্য চলাচল করছে। শুধু ট্রাফিক পুলিশের সাথে রফা করলেই সব ঠিকমতো চলছে। অভিযোগ রয়েছে, এসব অবৈধ ইজিবাইক চলাচলের সাথে নগর ভবনের কতিপয় কর্মীর যোগসাজশ রয়েছে।
কিন্তু মাস কয়েক আগে হাইকোর্ট থেকে সারা দেশের বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ একটি দিক নির্দেশনা প্রদানের প্রেক্ষিতে বরিশাল সিটি করপোরেশন থেকে নতুন অর্থ বছরের জন্য ইজিবাইকের লাইসেন্স নবায়ন স্থগিত রাখা হয়। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে ফুঁসে উঠেছে ইজিবাইকের মালিক ও চালকরা। গত ৩০ জুন তারা নগরীতে ইজিবাইকের চলাচল বন্ধ রেখে নগর ভবনের সামনে প্রতিবাদ সভাও করেছে। ফলে ঐদিন সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত বরিশাল মহানগরীর গণপরিবহন ব্যবস্থায় চরম বিপর্যয় নেমে আসে। দিনভরই নারী ও শিশু সহ হাজার হাজার নগরবাসী নাকাল হয়েছেন পথে পথে।
ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন নেতৃবৃন্দ ঐ সমাবেশ থেকে ইজিবাইকের চলাচল বন্ধ করলে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল অচল করে দেয়ারও হুমকি দিয়েছেন। তাদের মতে, ইজিবাইক পরিবেশের কোন ক্ষতি করে না। এমনকি এসব যানবাহন চার্জ প্রদান করতে যে বিদ্যুৎ চুরির কথা বলা হচ্ছে তাও সঠিক নয় বলে দাবী করে তারা বলেন, কেউ বিদ্যুৎ চুরি করলে তা ধরার দায়িত্ব বিদ্যুৎ বিভাগের।
এ ব্যাপারে গতকাল বরিশাল সিটি করপোরেশেনের দায়িত্বশীল মহল নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আইন উপদেষ্টার লিখিত মতামত এখনো আমাদের হাতে পৌছেনি। ঈদের পরে বিষিয়টি নিয়ে নগর পরিষদ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে জানান তিনি। তবে চালকের লাইসেন্স ছাড়া কোন ইজিবাইকের লাইসেন্স নবায়ন করা হবেনা বলে জানান ঐ কর্মকর্তা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।