পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকাকে বিশ্বমানের বাসযোগ্য অত্যাধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তুলতে ১৩ দফা ইশতেহারে ১৪৪ প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন দক্ষিণ সিটিতে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।
তিনি দুর্নীতিমুক্ত প্রাতিষ্ঠানিক সেবা, সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধ, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানবাধিকার রক্ষা এবং ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সম্মিলনে মাদকমুক্ত, যানজট-দূষণমুক্ত, মশা ও জলাবদ্ধতামুক্ত, ভারসাম্যমূলক ও পরিবেশসম্মত বিশ্বমানের বাসযোগ এক অত্যাধুনিক ঢাকা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে নির্বাচনী ইশতেহারে এসব প্রতিশ্রæতি করেন ইশরাক। ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে ইশরাক হোসেন বলেন, আমার বাবার অসমাপ্ত কাজ শেষ করে আমি আপনাদের বাসযোগ্য ঢাকা উপহার দিতে চাই। এই শহরেই আমার বেড়ে ওঠা। আমি জানি আমাদের চারপাশে রয়েছে অনেক সমস্যা, অনেক অসমতার উদাহরণ। কিন্তু সমস্যার উল্টোপিঠেই আছে সমাধান। খুঁজে নিতে হবে সেগুলো। এগিয়ে আসতে হবে সততার সঙ্গে। আমার স্বপ্ন সবাইকে সাথে নিয়ে ঐতিহ্য আর আধুনিকতার সম্মিলনে একটি অত্যাধুনিক ঢাকা গড়া।
রাজধানীবাসী সীমাহীন নাগরিক সমস্যায় জর্জরিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্নীতি, দায়িত্বে অবহেলা, সামাজিক বৈষম্য, জনগণের প্রতি সংবেদনশীলতা, জবাবদিহিতা ও জনসচেতনতার অভাব এবং সর্বোপরি পরিষেবা উৎপাদন ও বিতরণে জনগণের অংশগ্রহণ না থাকার ফলে সুফল জনগণ পায় না। নাগরিক সেবায় অব্যবস্থাপনা, সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধের ধ্বংস, দুর্নীতি, ওষুধ ও খাদ্যদ্রব্যসহ সকল প্রয়োজনীয় দ্রব্যে ভেজালের মহামারী, চলাচল অনুপযোগী রাস্তা-ঘাট, অপরিচ্ছন্নতা ও মশার উপদ্রব, অলিগলি পর্যন্ত ড্রাগস আর নেশাদ্রব্যের অঢেল বিস্তার, নানা অপসংস্কৃতি আমাদের নগরজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। বিশ্বতালিকায় বসবাসের অনুপযোগী শহরের শীর্ষে উঠে আসার দুর্নাম যোগ হয়েছে।
বিএনপির এই প্রার্থী বলেন, দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা, যানবাহন জনিত দূষণ ঠেকাতে কার্যকর কোন উদ্যোগ নেই। নির্মাণ কাজের ধুলাও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে না। সমন্বয়হীন অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়ির ফলে দূষণ এমন বিপজ্জনক হারে বেড়েছে যা ঢাকাবাসীকে চরম মানবিক বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে। তথাকথিত ‘উন্নয়ন’ এখন জীবনঘাতি হয়ে উঠেছে। এর পাশাপাশি রাজধানী ঢাকার ময়লা-আবর্জনা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নামে চলছে চরম দায়িত্বহীনতার প্রতিযোগিতা। ঢাকা শহরের ভেতরে ও আশপাশের এলাকায় এমন কোনো জায়গা পাওয়া যাবে না যেখানে ময়লার স্তূপ নেই। তা থেকে প্রতিনিয়ত দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে; মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। তিনি বলেন, এই শহরের আরেক আতঙ্কের নাম আগুন। নিমতলি ট্রাজেডি থেকে এফ আর টাওয়ার। গার্মেন্টস কারখানা থেকে হাসপাতাল, স্উুচ্চ ভবন থেকে কলকারখানা কোন কিছুই রেহাই পাচ্ছে না আগুনের লেলিহান শিখা থেকে। মাছ, মাংস, ফল মুল, শাক-সবজি, তেল, খাদ্য ও ওষুধের মত জীবন রক্ষাকারী জিনিষ থেকে প্রায় সকল ক্ষেত্রে ভেজালের দৌরাত্ম মহামারী আকার ধারণ করেছে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিপুলসংখ্যক সীমিত আয়ের মানুষ বস্তিতে বসবাস করছেন। বর্ষাকালে রাজধানীতে পানিবদ্ধতা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর অন্যতম আতঙ্কের নাম মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু। কিন্তু এই মশা নিধন নিয়ে মহাদুর্নীতি ও হাস্যকর কর্মকাÐ ঘটেছে।
সুচিন্তিত ও সুসমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা গেলে এসব সমস্যা সমাধান করা সম্ভব জানিয়ে ইশরাক হোসেন তার ১৩ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেন।
নাগরিক সেবা: ঢাকার গর্বিত ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার সম্মিলনে বাসযোগ্য একটি বিশ্বমানের অত্যাধুনিক মহানগরী গড়ে তোলা হবে। নগরবাসীর সাথে আলোচনা সাপেক্ষে তাদের মতামতের ভিত্তিতে হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ এবং এই সেক্টরকে দুর্নীতিমুক্ত করা হবে। কর্পোরেশেনের কাজের স্বছতা নিশ্চিত করতে জন্ম-মৃত্যু সনদ, ট্রেড-লাইসেন্স এবং অন্যান্য সব ধরনের সেবা দ্রæত জবাবদিহিতামূলক ওয়ান স্টপ সাভিস চালু করা হবে। ওয়াসাসহ রাজধানীতে সেবা প্রদানকারী সব প্রতিষ্ঠানকে সমন্বয়ের মাধ্যমে সুপেয় পানী সরবরাহ, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, পয়ঃনিষ্কাষণ আধুনিকায়ন, নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কারসহ ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে। মূল সড়ক, অলিগলি, শাখা সড়ক, সড়ক দ্বীপ, খেলার মাঠ, পার্ক, নদী, খাল-বিল ও জলাশয়সহ মহানগরীর সর্বত্র সার্বক্ষণিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা, রাতে নাগরিক সাধারণের চলাচল এবং জননিরাপত্তায় সড়কবাতি সচল করা হবে। পরিচ্ছন্নতা সেবাসহ কেন্দ্রীভূত সকল নাগরিকসেবা কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে ওয়ার্ড পর্যায়ে বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে। যাতায়াত, স্বাস্থ্যকর পয়ঃব্যবস্থাসহ সার্বিক পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করে নগরীর বাজার গুলোকে আধুনিকায়ন করা হবে। সেই সাথে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ ও যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হবে। চাহিদার ভিত্তিতে প্রত্যেক ওয়ার্ডে আধুনিক শিশু দিবাযতœ কেন্দ্র, সস্তা দামে বিষমুক্ত ও ভেজালমুক্ত তাজা খাবারের ব্যবস্থা করতে ‘কৃষক মার্কেট’ ও ‘নাইট মার্কেট’ স্থাপন, ডিএসসিসির প্রতিটি স্থাপনায় মাতৃদুগ্ধ কক্ষ স্থাপন করা এবং নাগরিক সুবিধা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা। যাত্রাবাড়ি-ডেমরা এলাকায় ‹ডিএনডি› বাঁধের কারণে সৃষ্ট পানিবদ্ধতা শীতলক্ষ্যা নদীতে স্থানান্তর, আদায় করা করের টাকা কোন কোন খাতে ব্যয় করা হবে তা বছরে কমপক্ষে দুইবার করদাতাদের সামনে উপস্থাপন করে নগরের আয়-ব্যয়ের হিসাবরক্ষণে স্বচ্ছতা প্রণয়ন করা হবে।
নাগরিক বিনোদন: নগরবাসীর বিনোদনের জন্য বুড়িগঙ্গা দূষণমুক্ত করা, নদীর তীর রক্ষা ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ, সৌন্দর্য বর্ধন প্রকল্প গ্রহণ এবং নদীভিত্তিক বিনোদন কেন্দ্র, ওয়াটার ট্যুরিজম/ নৌপর্যটন গড়ে তোলা, সিটি কর্পোরেশনের শিশু পার্কসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রের উন্নয়ন, আধুনিকায়ন ও দুর্নীতিমুক্ত দক্ষ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা, ঐতিহাসিক স্থাপনা ও প্রাচীন দালান কোঠা সংরক্ষণ ও সংস্কারের ব্যবস্থা, খেলার মাঠ উদ্ধারসহ নানা উদ্যোগের কথা বলেন দক্ষিণের এই মেয়র প্রার্থী।
যানজট নিরসন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার টেকসই উন্নয়ন: ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূূর্ণ সড়ক ও ওয়ার্ডের অলিগলির রাস্তার সংস্কার ও টেকসই উন্নয়ন, রাস্তা পারাপারে প্রয়োজনীয় স্থানে অধিক সংখ্যক আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ, সংরক্ষণ ও সুপরিকল্পিত পরিচালনার ব্যবস্থা, ওয়ান স্টপ বাস সার্ভিস চালু, মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক, অন্ধ, প্রতিবন্ধী, নারী, শিশু এবং সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য বিশেষ সেবা নিশ্চিত করা, মহিলা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ সুবিধাসম্বলিত স্বাস্থসম্মত টয়লেট সুবিধাসহ অত্যাধুনিক ও পরিচ্ছন্ন যাত্রী বিশ্রামাগার এবং টাউটমুক্ত যাত্রীবান্ধব পরিচ্ছন্ন বাস টার্মিনাল উপহার, রাত্রিকালে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এবং কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে কর্পোরেশনের উদ্যোগে এবং বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিত ও নিরাপদ সিটি পরিবহন ব্যবস্থা চালু করা হবে।
এছাড়া হকারদের স্থায়ী পুনর্বাসন, বিদ্যমান পার্কিং ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং বাণিজ্যিক এলাকায় বহুতল পার্কিং ভবন, পার্কিং লট ও আন্ডার গ্রাউন্ড পার্কিং কমপ্লেক্স নির্মাণ, বার বার রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি এবং রোড ডিভাইডার ভাঙার ফলে বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে যে জনদুর্ভোগ ও স¤পদের ক্ষতি হয়, সেই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। ফুটওভার ও ফ্লাইওভারের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ। মহিলাদের জন্য পৃথক ও নিরাপদ বাস সার্ভিস চালু, যাত্রী ওঠানামারজন্য নির্দিষ্ট ‘বে’ নির্মাণ, দ্রæতগামী ইলেকট্রিক্যাল বাস সার্ভিস ও স্মার্ট বাস স্টেশন নির্মাণ করা হবে।
নাগরিক স্বাস্থসেবা: পার্ক ও ব্যায়ামাগারে অত্যাধুনিক ‘প্রাইমারি হেলথ্ চেকআপ সেন্টার’ স্থাপন, প্রাতঃ ও সান্ধ্যালীন ওয়াকারদের সুবিধার্থে পার্ক ও উন্মুক্ত স্থানগুলোতে ওয়াকওয়ে নির্মাণ, সিটি হেলথ্ ডাটাবেজ গঠন ও সেবার মান নিশ্চিত করা হবে। সিটি কর্পোরেশনের মাতৃসদন ও নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন করা হবে। এছাড়া ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়াসহ মশার সংক্রমণ থেকে নগরবাসীকে বাঁচাতে নিয়মিত মশক নিধনে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। সিটি কর্পোরেশনের কমিউনিটি হাসপাতালগুলোকে মহিলাদের মাতৃকালীন এবং ৫ বছর পর্যন্ত সব শিশুর বিনা খরচে চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে।
শিক্ষা ব্যবস্থা: বিভিন্ন স্কুল ও কমিউনিটি সেন্টারে নৈশ-শিক্ষা কার্যক্রম, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কম্পিউটার প্রশিক্ষণসহ বিনামূল্যে বিভিন্ন আইটি কোর্স চালু, দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ‘নগর শিক্ষাবৃত্তি’ চালু, কর্মজীবী নারী ও কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্য অধিক সংখ্যক হোস্টেল তৈরি করার অঙ্গীকার করেন ইশরাক।
পরিবেশ উন্নয়ন, বনায়ন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা: এ বিষয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী বলেন, ধুলাবালি দূর করার পাশাপাশি শব্দ ও বায়ুদূষণ প্রতিকারে মিস্ট বেøায়ার ব্যবহারসহ কার্যকর আধুনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বায়ু, শব্দ ও পরিবেশ দূষণমুক্ত নগর গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘সোর্স কন্ট্রোল’ বা উৎস নিয়ন্ত্রণে জোর দেয়া হবে। বাড়ীর ছাদে বাগান, সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নিমগাছ লাগানোসহ সবজায়নের কথা জানান তিনি। এছাড়া আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাাপনার জন্য ‘স্যানিটারি ল্যান্ডফিল’, পরিচ্ছন্ন ঢাকা গড়তে রাত ১২ টা থেকে ভোর ৫টার মধ্যে সব আবর্জনা অপসারণ, ‘ডোর টু ডোর ওয়েস্ট কালেকশন’ পদ্ধতিতে বর্জ্য সংগ্রহ ও অপসারণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কম্পোজিট সার তৈরি এবং বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা, মেডিক্যাল বর্জ্য এবং ইলেক্ট্রনিক বর্জ্যরে কার্যকর ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু করা হবে।
তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার: রাজধানীর উন্নয়নে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার, বয়স্কদের জন্য ‘সিনিয়র সিটিজেন’ সার্ভিস চালু, বিদেশ থেকে আসা ই-বর্জ্যসহ যাবতীয় ই-বর্জ্যরে সঠিক কালেকশন ও ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ‘স্মার্ট স্কুল’ প্রতিষ্ঠা, উচ্চ-ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ডাটা সেন্টার, যাত্রীদের সুবিধার্থে অ্যাপ-নির্ভর সময়সূচী, ই-টিকেটিং সেবা, মোবাইল অথবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইনে ট্যাক্স আদায়ের ব্যবস্থাসহ নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।
সমাজসেবা কার্যক্রম: গার্মেন্টসসহ সব শ্রমিকদের জন্য হাসপাতালও ডে-কেয়ার সেন্টার, ‘মোবাইল মেডিকেল ইউনিট’,
পুরান ঢাকা পঞ্চায়েত ব্যবস্থার মত ওয়ার্ড ভিত্তিক নাগরিক কমিটি, অসহায় পথশিশু ও নারীদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন, নি¤œবিত্ত মানুষের জন্য মানসম্মত ও স্বল্প ভাড়ায় আবাসন প্রকল্প, বস্তিবাসীর জীবন-মান উন্নয়নে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা।
জননিরাপত্তা ব্যবস্থা: আইন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করা, সড়ক, লেন ও বাইলেনসিসি ক্যামেরার আওতায় আনা, ওয়ার্ডভিত্তিক ‘অপরাধপ্রবণ’ জায়গা চিহ্নিত করে কার্যকর ব্যবস্থা, ওয়ার্ড/লেন/ গলিতে নৈশপ্রহরী এবং কমিউনিটি পুলিশের কার্যক্রম শুরু, যে কোন ধরনের নির্যাতনের শিকার অসহায় নাগরিককে নৈতিক ও আইনগত সহায়তা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
ইশতেহারে ইশরাক হোসেন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, নৈতিকতার শক্তি পুনরুদ্ধার, গ্রন্থাগার ও জাদুঘর সমৃদ্ধ করা, সামাজিক উন্নয়ন ও সাম্প্রদায়িত সম্প্রীতি স্থাপন ১০০ দিনের অগ্রাধিকার কর্মসূচি, দুর্নীতিমুক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন গড়ে তোলার প্রতিশ্রæতি ব্যক্ত করেন।
ইশরাক বলেন, আমি ঢাকার সন্তান। আপনাদেরই সন্তান। আপনাদের আপনজন। আপনাদের সুখ-দুঃখের সাথে আমার জীবন ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। ঢাকা আমাদের আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্নার মমতা মাখা গর্বের মহানগরী। এই ঐতিহাসিক নগরীর সন্তান হিসেবে আমার নির্বচনী প্রতিশ্রæতিহচ্ছে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সমন্বয়ে বিশ্বমানের বাসযোগ্য অত্যাধুনিক ঢাকা গড়ে তোলা। এ লক্ষ্যে আমার নিজস্ব চিন্তা চেতনা,স্বপ্œ-ভাবনা ও প্রত্যাশার কাঠামো আপনাদের সমীপে তুলে ধরলাম। আপনাদের সহযোগিতা পেলে তা আরও বাস্তব, প্রায়োগিক ও নাগরিকবান্ধব করে গড়ে তোলা সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ। নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চান তিনি।
ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, প্রফেসর ড. এসএমএ ফায়েজ, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, রুহুল আলম চৌধুরী, আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, সালাহউদ্দিন আহমেদ, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, ফজলুল হক মিলন, নজরুল ইসলাম মঞ্জু, এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, এবিএম মোশারফ হোসেন, আমিরুল ইসলাম খান আলীম, প্রফেসর এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অ্যাড. আবদুস সালাম আযাদ, কাজী আবুল বাশার, আফরোজা আব্বাস, ড্যাবের ডা: হারুন আল রশিদ, ডাঃ আব্দুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের গোলাম সরোয়ার, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ।
এছাড়াও গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জেএসডির আসম আব্দুর রব, জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, আহসান হাবীব লিংকন, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রফেসর ড. নূরুল আমিন বেপারী, প্রফেসর ড. মাহবুব উল্লাহ, গণফোরামের ড. রেজা কিবরিয়া, সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, ঢাবি সাদা দলের প্রফেসর ড. সদরুল আমিন, প্রফেসর ড. আখতার হোসেন খান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।