পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইভিএমের মাধ্যমে কোনও ধরনের কারচুপির সুযোগ নেই। বিএনপি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণে আপত্তি তুললেও ইভিএমে ভোটগ্রহণ পদ্ধতি দেখতে আসছে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সচিব বলেন, ইভিএমের মাধ্যমে কারচুপির সুযোগ নেই। ইভিএম মেশিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতরা দেখে গেছেন। তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। কিন্তু তারা (বিএনপি) তো আসে না। আমরা তো ওপেন রেখেছি। আপনারা এসে দেখেন। যদি তারা না আসে, আমরা তাদের কীভাবে আনতে পারি।
সচিব বলেন, ইভিএমে জালিয়াতির কোনও সুযোগ নেই। যদি কারও আঙুল না থাকে, তাহলে জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী ওই ব্যক্তি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন। এ ধরনের ঘটনায় মাত্র এক শতাংশ ভোটারকে শনাক্ত করতে পারবেন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা। এক শতাংশের বেশি প্রয়োজন হলে রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিতে হবে। আরও বেশি লাগলে কমিশনের অনুমতি লাগবে। পরবর্তীতে চাইলে এই ইভিএমের তথ্য জানা যাবে। ভোটের তথ্য আমাদের কাছে ডিজিটালি সংরক্ষণ করা থাকে। মামলা করারও সুযোগ রয়েছে। কেউ ইচ্ছা করলে এ নিয়ে আদালতেও যেতে পারেন। কেউ মামলা করলে আমরা তথ্য দেখাতে পারব। ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আলমগীর বলেন, এটি ২০০৮ সালের সরকারের সময় করা হয়েছিল। সাধারণত এসব ক্ষেত্রে কী করা হয়? তারা সাধারণ জনগণ ও রাজনীতিকদের সঙ্গে খুব একটা কথা বলে আচরণ বিধিমালা করে না। তখন সংলাপ হলেও সেটা অনেকটা রেসট্রিকটেড (নিয়ন্ত্রণ) হয়। অনেকের ভেতরে ভয়ভীতি থাকে। তারা আচরণ বিধিমালাসহ অনেক কিছু চাপিয়ে দেয়। ২০০৮ বং এখন কার পরিস্থিতি তো এক নয়। এখন ডেমোক্রেটিক গভর্মেন্ট, ডেমোক্রেটিক সিচ্যুয়েশন, স্বাধীনভাবে মানুষ কথা বলতে পারে। এখন টকশো করছে এতো টেলিভিশন এতো পত্রিকা, তখন কি এগুলো পারতেন করতে? এতো কিছু বলতে পারতেন?’
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে সাংবাদিকেদের ওপরও অনেক বাধা-নিষেধ ছিল। আপনারা কি সেই আচরণ বিধিমালা চান যে, এখনও সেই আচরণ বিধিমালা থাকুক? আর সময়ের সঙ্গে মানুষের সচেতনতা বেড়েছে। গণতান্ত্রিক পরিবেশ পরিবর্তন হয়েছে। সেই সঙ্গে আচরণ বিধিমালা আধুনিকায়ন করতে হবে। তার মানে এই নয় কাউকে অন্যায় কোনও সুবিধা দেওয়া হবে।
সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে, বিএনপির এই অভিযোগ সম্পর্কে সচিব বলেন, পর্যবেক্ষকদের কোনও কার্ড দেয়ার ব্যাপারে কমিশন থেকে এখনও কোনও নির্দেশনা পাইনি। তবে যে নীতিমালা আছে, সেই অনুযায়ী দিচ্ছি। যারা ইসিতে নিবন্ধিত তাদেরকেই কার্ড দেয়া হবে। তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্র হিসেবে নির্ধারিত যেসব প্রতিষ্ঠানে আগে থেকেই সিসি ক্যামেরা আছে, সেগুলোকে সচল রাখার জন্য বলা হয়েছে। যেন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সেসব ক্যামেরার মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করা যায়। তবে কেন্দ্রগুলোর বুথে কোনোভাবেই যেন কোনও সিসি ক্যামেরা না থাকে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।