Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র : কলেরা হাসপাতাল ও কিছু অভিজ্ঞতা

প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী বিশেষ করে নি¤œ ও মধ্যবিত্ত পরিবারের একমাত্র ভরসাস্থল ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত কলেরা হাসপাতাল। একটি কথা প্রচলিত আছে যে, কলেরা হাসপাতালের স্যালাইন পেটে পড়লে রোগীর আর কোনো শঙ্কা নেই। আমার অ্যালজাইমার্স (স্মৃতিভ্রম) রোগী মা সম্প্রতি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। রাতভর ওরস্যালাইন খাওয়ানোর পরও উন্নতি না হওয়ায় সকালে ছুটে গেলাম কলেরা হাসপাতালে। কর্তব্যরত নার্স তার স্মার্ট ফোনে ফেসবুকে লাস্ট আপডেট দিতে ব্যস্ত (!) থাকায় আমার দুর্বল হয়ে পড়া মাকে ভর্তি করাতে বেশ সময় নিলেন। হাসপাতালের বেড দেখে হোঁচট খেলাম। কারণ এখানে নারী-পুরুষের জন্য পাশাপাশি বেডের ব্যবস্থা, আমাদের রক্ষণশীল সংস্কৃতির সঙ্গে একেবারেই মানানসই নয়। রোগীদের যেহেতু বেডে টয়লেট করতে হয়, এ জন্য দরকার ন্যূনতম পর্দাঘেরা একটি ব্যবস্থা, যার অভাব রয়েছে হাসপাতালটিতে। কোনো উপায় নেই দেখে মেনে নিতে বাধ্য হলাম।
ইতোমধ্যে নতুন পরিবেশে খাপ খাওয়াতে না পারায় আমার মা চিৎকার শুরু করে দিয়েছেন, কাউকে চিনতে না পারায় উদভ্রান্তের মতো আচরণ করছেন। চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ায় মাকে ‘পাগল’ আখ্যায়িত করে এ ধরনের রোগীকে নিয়ে আসায় তিরস্কার করে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যেতে নির্দেশ দিলেন। মায়ের স্মৃতিভ্রম সম্পর্কে বোঝানোর ব্যর্থ চেষ্টা করলাম। এদিকে মায়ের রক্তচাপ দ্রুত কমে যাচ্ছে। স্যালাইন দিতে আমার মা সহযোগিতা করছেন না বলে তার বিরক্তির মাত্রা তখন চরম পর্যায়ে। ভয়ংকর কিছু ঘটতে যাচ্ছে আশঙ্কায় চিকিৎসককে অনুরোধ করলাম কিছু একটা করার এবং অভয় দিলাম মায়ের অবস্থার একটু উন্নতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা হাসপাতাল ত্যাগ করব। একপর্যায়ে আমার মাকে স্যালাইন দেওয়া হলো। পরম করুণাময়ের অশেষ কৃপায় সাত-আট ঘণ্টার ব্যবধানে তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলো। আমি প্রতিজ্ঞা রক্ষা করলাম, পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার আগেই মাকে নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করলাম।
ফেরার পথে যে প্রশ্নগুলো বারবার মাথায় ঘুরছিল-অ্যালজাইমার্স, মানসিক অসুস্থ, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী, অটিজম আক্রান্তদের সেবা না দেওয়া কি চিকিৎসকের পেশাগত নৈতিকতার চরম অবমাননা নয়? ফেসবুকিং অপেক্ষা রোগীদের প্রতি যতœবান হবার কি কোনো দায় নেই তাদের?
নাদিরা সুলতানা,
বাড়ি ১, সড়ক ৫, আবদুল্লাহবাগ, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা।

নিত্যপণ্যের মূল্য তালিকা ঝুলিয়ে রাখুন
রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়। সরকারি কোনো মনিটরিংও দমিয়ে রাখতে পারে না এই অনিয়ম। নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে কুচক্রী মহলেরা কোটিপতি বনে যায়। অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলে দেয় রোজাদার ক্রেতা মহলকে। রমজানে নিত্যপণ্যের মূল তালিকা প্রতিটি দোকানের সামনে ঝুলিয়ে রাখা বাধ্যতামূলক হোক। যাতে কোনো দোকানদার আর বাড়তি দামে পণ্য বিক্রি করতে না পারে। এ ব্যাপারে সরকারি নির্দেশনা অত্যন্ত জরুরি। কঠোরভাবে সরকারি নির্দেশনা জারি করে রমজান মাসে নিত্যপণ্যের মূল্যকে স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. আজিনুর রহমান লিমন,
আছানধনী মিয়াপাড়া, চাপানীহাট, ডিমলা, নীলফামারী



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চিঠিপত্র : কলেরা হাসপাতাল ও কিছু অভিজ্ঞতা
আরও পড়ুন