পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগে শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট করা হয়েছে। গতকাল রোববার সুপ্রিমকোর্ট বারের অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এ রিট করেন। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চে রিটের শুনানি হবে বলে জানান রিটকারী।
এর আগে গত ১ ডিসেম্বর ইশরাত হাসান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ বিষয়ে লিগ্যাল নোটিস দেন। রিটে বলা হয়, আমাদের দেশে এখনও বেশিরভাগ মানুষ ছেলে সন্তান কামনা করে। তারা মনে করেন, ছেলেরা বংশের ধারক, তারা আয় করে, বেশি শক্তিশালী। এমনকি অনেক নারীও ছেলে সন্তান তাদের ভবিষ্যতের জন্য সুরক্ষা হবে বলে মনে করেন। এ অবস্থায় পরীক্ষার মাধ্যমে যদি গর্ভজাত শিশুর লিঙ্গ পরিচয় জানা যায় এবং তা মা-বাবার কাছে কাঙ্খিত শিশু না হয়, সেক্ষেত্রে অন্তঃসত্ত্বা মায়ের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার ওপর প্রভাব পড়তে শুরু করে। তাই ওইসময় অন্তঃসত্ত্বা মা যদি হতাশায় ভোগেন, তবে তার প্রভাব অনাগত শিশুর ওপরও পড়তে থাকে। চীন-ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গর্ভের শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই বাংলাদেশে নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গর্ভজাত শিশুদের লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ বন্ধ হওয়া জরুরি।
তবে অন্তঃসত্ত্বা মা ও শিশুর কল্যাণের জন্য বা অনাগত সন্তানের সুস্থতা জানতে তারা যেকোনও পরীক্ষা করতেই পারেন। সেক্ষেত্রে শিশু লিঙ্গ পরিচয় জানার উদ্দেশ্যে ডাক্তারি পরীক্ষা বা ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্টে শিশু লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ কারণেই রিট করা হয়েছে। রিটে তিন মন্ত্রণালয়কে তিন দিনের মধ্যে সব সরকারি- বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে গর্ভজাত শিশুর লিঙ্গ পরিচয় জানার উদ্দেশ্যে পরীক্ষা বা লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করতে বলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।