পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রজাতন্ত্র দিবসের সকালে আসামের বিভিন্ন প্রান্তে পাঁচটি বিস্ফোরণ হল। তবে বিস্ফোরণের তীব্রতা কম ছিল। ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। মাত্র ৩০ মিনিটের ব্যবধানে এই বিস্ফোরণগুলো ঘটে। যা নিয়ে রীতিমতো অতাঙ্কিত আসামবাসী।
গতকাল সকালে কমপক্ষে ৫ জায়গায় নাশকতার চেষ্টা হয়েছে বলে জানা গেছে। পরপর তিনটি বিস্ফোরণ হয় ডিব্রুগড়, চরাইদিউ এবং দুলিয়াজান জেলায়। আরও দুইটি বিস্ফোরণ হয় সোনারি ও দুমদুমা জেলায়। বিস্ফোরণের দায় এখনও কেউ স্বীকার না করলেও ঘটনার পিছনে উলফার (আই) হাত রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ।
ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। তিনি টুইট করেন, ‘আসামের কয়েকটি জায়গায় বিস্ফোরণের তীব্র নিন্দা করছি। এরকম পবিত্র দিনে সন্ত্রাস ছড়ানোর একটা কাপুরুষোচিত চেষ্টা। সাধারণ মানুষের নাকচ করে দেয়ায় হতাশ হওয়া সন্ত্রাবসাদী সংগঠনের রূপটাই সামনে এসেছে এই বিস্ফোরণ।’
পুলিশ জানিয়েছে, রোববার সকালে প্রথম বিস্ফোরণটি হয় ডিব্রæগড়ের গ্রাহামবাজার এলাকায় ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে একটি দোকানে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা। পাঠানো হয় পুলিশ কুকুরও। যদিও এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এর আধ ঘণ্টার মধ্যেই আরও দুটি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়। চরাইদিউ এবং ধুলিয়াযান জেলা থেকে যে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়, তার তীব্রতাও খুব একটা বেশি ছিল না। এখানেও হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। তবে এই তিন ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, গতরাতেও শিবসাগর জেলার একটি জায়গায় স্বল্পমাত্রায় বিস্ফোরণ হয়েছে। এই বিচ্ছিন্ন বিস্ফোরণের ঘটনাগুলোর পেছনে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন উলফার হাত থাকতে পারে বলে ধারণা স্থানীয় প্রশাসনের। এই সংগঠনটি আগেই প্রজাতন্ত্র দিবস বয়কটের ডাক দিয়েছিল। এদিন রাজ্যজুড়ে বনধও ডাকে উলফা।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাস হওয়ার পর থেকেই আসামজুড়ে বিক্ষোভ দেখিয়ে আসছেন এর বিরোধীরা। পুলিশি ধরপাকড়ের জেরে বিক্ষোভ সাময়িকভাবে স্তব্ধ করা গেলেও ক্ষোভের উপশম হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আসামজুড়ে বাড়তি নিরাপত্তা নেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই নিরাপত্তার ঘেরাটোপেই ঘটলো বিস্ফোরণ। যা নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগে রাজ্যবাসী।
আসামের ডিজিপি জানিয়েছেন, ‘ডিব্রুগড়ে বিস্ফোরণের বিষয়ে খবর পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনায় কে জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে সন্দেহ, বিস্ফোরণের পিছনে উলফার হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।’ যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠন এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি। জানা গেছে, বিস্ফোরণের তীব্রতা কম থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে। তবে এই ঘটনার পরেই গোটা আসামজুড়ে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। প্রত্যেকটি জায়গায় ব্যাপক তল্লাশি শুরু হয়েছে। সূত্র : এনডিটিভি, দ্য ইকোনমিক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।