পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কূটনৈতিক সংবাদদাতা
মিয়ানমারের নতুন সরকার দুই দেশের মধ্যে গভীর সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী। দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে যে চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তা যৌথভাবে মোকাবেলা করা হবে বলেও জানিয়েছেন মিয়ানমারের ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) নেত্রী অং সান সুচি। তিনি জানান, আরাকান (রাখাইন) রাজ্যে যে সমস্যা রয়েছে তা সমাধানে উদ্যোগ নেবে নতুন সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে বাংলাদেশ সরকারের পাঠানো বিশেষ দূত পররাষ্ট্রসচিব এম শহীদুল হকের সঙ্গে এক বৈঠকে অং সান সুচি এসব কথা বলেন। এ সময় পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে সুচিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। এ প্রেক্ষিতে সুচি জানান, তিনি সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফর করবেন।
সুচি বলেন, তাদের নতুন সরকার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেবে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সকল সমস্যা দুই দেশ যৌথভাবে সমাধান করবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
সূত্র জানায়, ঢাকা-নেপিদো’র মধ্যে নতুন সম্পর্ক গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত হিসেবে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক গতকাল বৃহস্পতিবার সুচির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিঠি সুচির নিকট হস্তান্তর করেন।
মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী অং সান সুচির এনএলডি ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ-মিয়ানমার এখন গভীর সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হককে বিশেষ দূত হিসেবে মিয়ানমারে পাঠিয়েছেন। বুধবার মিয়ানমার যান পররাষ্ট্র সচিব। বৃহস্পতিবার তিনি এনএলডি নেত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন ও প্রধানমন্ত্রীর চিঠি হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো বার্তার মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্কে নতুন গতি আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মিয়ানমারের প্রশাসনিক রাজধানী নেপিদো’তে শহীদুল হক মিয়ানমারের সেনাবাহিনী প্রধান মিন অং লায়েং ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী প্রতিনিধি ইউ অং লেইলের সঙ্গেও একান্তে বৈঠক করেন। দেশটির সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে দুই দেশের সামরিকবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী প্রতিনিধি ইউ অং লেইলের সঙ্গে পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে ঐক্যমত পোষণ করেন।
অং সান সুচি মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর হিসেবে এখন দায়িত্ব পালন করছেন। মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর পদটি সুচির জন্য তৈরি করা হয়েছে যাতে করে তিনি সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা, অ্যাসোসিয়েশন ও ব্যক্তির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করতে পারেন। এই পদের মাধ্যমে তিনি সংসদে জবাবদিহিও করতে পারেন।
প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গা সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। তবে রোহিঙ্গা সমস্যার মধ্যে আটকে না থেকে বহুমুখী সম্পর্ক গড়তে উদ্যোগী উভয় দেশ। বিশেষ করে এনএলডি সরকার ক্ষমতায় আসার পর দুই দেশই এখন বহুমুখী সম্পর্ক গড়তে চায়। এই লক্ষ্যে দুই দেশই সড়ক ও বিমান যোগাযোগ, ভিসা সহজীকরণ, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, ভ্রমণসুবিধা ইত্যাদি ইস্যুকেই এখন প্রাধান্য দিচ্ছে। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার চিঠি নিয়ে পররাষ্ট্র সচিবের মিয়ানমার সফর দুই দেশের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।