পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : আবারো একটি মুসলিম দেশে ভয়াবহ বোমা হামলার পর বিশ্বের প্রায় সর্বত্র নীরবতা পালিত হতে দেখা গেল।
গত বছর প্যারিস হামলায় ১৩০ ব্যক্তি নিহত এবং মার্চে ব্রাসেলসে বিমানবন্দরে হামলায় ৩০ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় গোটা বিশ্ব ক্রোধ, প্রতিবাদ ও নিন্দায় ফেটে পড়েছিল। অথচ মঙ্গলবার তুরস্কের প্রধান নগরী ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক বিমানবন্দরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৪১ জন নিহত ও ২৩৯ জন আহত হওয়ার পর গোটা বিশ্বে তার প্রতিক্রিয়া হয়েছে অনেক নি¤œমাত্রায়। প্যারিস-ব্রাসেলসে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে বহু স্থানে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু ইস্তাম্বুলে নিহতদের জন্য কি হয়েছে? গতকাল পর্যন্ত সে রকম কোনো খবর জানা যায়নি। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে, তাহলে কি তুরস্কের নিহতদের প্রতি বিশ্ববাসীর সহানুভূতি নেই? সব সহানুভূতি কি ইউরোপীয়, আমেরিকান ও ইসরাইলিদের জন্য?
২০১৫ সালের ১৩ নভেম্বর ফ্রান্সে গণহত্যার পর নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিভিন্ন দেশের ভবন ও স্মৃতিসৌধ রাতের বেলা ফ্রান্সের জাতীয় পতাকার নীল, সাদা ও লাল রঙে আলোকিত করা হয়। যেমন : লন্ডনের ন্যাশনাল গ্যালারি, লন্ডনের আইফেরিশ হুইল, টরন্টোর সিএন টাওয়ার, সাংহাইর ওরিয়েন্টাল পার্ল টিভি টাওয়ার, বার্লিনের ব্রান্ডেনবার্গ গেট, তাইপেই ১০১, সিডনির অপেরা হাউস, মেক্সিকোর অ্যাঞ্জেল ডি লা ইন্ডিপেন্ডেনসিয়া স্মৃতিসৌধ ও সানফ্রান্সিসকো সিটি হল।
কিন্তু তুরস্কের ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আলো প্রজ্বলন না করা ছিল বিস্ময়কর।
কয়েকটি মাত্র দেশ তুরস্কের বোমা হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভবন বা স্মৃতিসৌধে আলো প্রজ্বলন করে। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন নগরীর পৌরভবন বুধবার রাতে তুরস্কের জাতীয় পতাকার রঙে আলোকিত করা হয়। মেক্সিকো সিটির পররাষ্ট্র দফতর ভবনেও তাই করা হয়। বার্লিনের ব্রান্ডেনবার্গ গেট তুরস্কের জাতীয় পতাকার রঙে রাঙানো হয়। দু’জন যুবক-যুবতীকে তুরস্কের জাতীয় পতাকা হাতে ধরে রাখতে দেখা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের এম্পায়ার স্টেট ভবন অন্ধকার ছিল। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ফ্রান্স ও বেলজিয়ামে হামলার পর দেশ দু’টির পতাকার রঙে সজ্জিত করা হয়েছিল। তবে ইস্তাম্বুল বোমা হামলার পর সে রকম কিছু হয়নি।
ইউনিয়ন অব ইউরোপিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, তারা তুরস্কে নিহতদের জন্য ইউরো ২০১৬ কোয়ার্টার ফাইনালের সময় একমুহূর্তের জন্যও নীরবতা পালন করবে না, কারণ তুরস্ক ইতোমধ্যেই খেলা থেকে বিদায় নিয়েছে।
ফেসবুকে জেমস টেইলর নামে একজন মন্তব্য করেছেন, তুরস্কে একাধিকবার বোমা হামলা হয়েছে। কিন্তু প্যারিস বা ব্রাসেলসে হামলার ঘটনায় বিশ্বে যে প্রতিক্রিয়া হয়েছে, তুরস্কে কোনো হামলার পরই সে রকম কিছু দেখা যায়নি। তিনি বলেন, প্রতিদিন আপনি যেসব লোককে দেখেন, তারা আমার Ñআপনার মতোই। তুরস্কে যে লোকগুলো নিহত হলেন তারাও আলাদা কিছু নন। তাদের একটাই সমস্যা যে তারা তুর্কি। সূত্র : হাফিংটন পোস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।