পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ফৌজদারি মামলায় সাক্ষীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
এতে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, চট্টগ্রামের মহানগর পুলিশ কমিশনার, কোতোয়ালি থানার ওসিসহ ১০ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রুল বিচারাধীন অবস্থায় সাক্ষী ও রিট আবেদনকারী কমল কুমার দেবনাথ ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন চৌধুরী সামসুল আরেফিন ও ফাহিমা পারভীন।
পরে সামসুল আরেফিন সাংবাদিকদের বলেন, আদালতে বলেছি দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাক্ষীগণ নিজের ও তার পরিবারের নিরাপত্তার ভয়ে মামলার বিচারের কার্যক্রম চলাকালে সাক্ষ্য দিতে আসেন না। অথবা সাক্ষ্য দিতে আসলেও সঠিকভাবে সাক্ষ্য প্রদান করতে ব্যর্থ হন। তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশেই সাক্ষী সুরক্ষার বিধান রয়েছে। তাই সাক্ষীদের নিরাপত্তা, মৌলিক অধিকার সুরক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। শুনানি শেষে আদালত এই রুল জারি করেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৪ মার্চ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে কোতয়ালী থানায় অশোক বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তির নামে পুলিশ ১১৭৫ পিস ইয়াবা উদ্ধারের অভিযোগে মামলা করে। মামলায় ইয়াবা জব্দ তালিকার সাক্ষী ছিলেন কমল কুমার দেবনাথ। সাক্ষী হওয়ায় এই মামলায় তাকে আসামি হুমকি দিতে থাকে। ওই মামলায় ২০১৫ সালের আগস্টে কমল কুমার মামলার সাক্ষী দেন। এরপর থেকে তাকে ওই ব্যক্তি হুমকির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। একই বছরের ১৪ অক্টোবরের আদালতে তিনি সাধারণ ডায়েরি করেন। তবে ওই কর্মকর্তা মনগড়া প্রতিবেদন দেয়। ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করলে পুনরায় ওসিকে তদন্ত করতে বলে। ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধেও নারাজি আবেদন করেন কমল কুমার। চলতি বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি আইজিপি বরাবর আবেদন করে তিনি। যাতে উল্লেখ করা হয়, পুরো বিষয়টি সিকিউরিটি সেলের মাধ্যমে তদন্ত করা হোক। একই সঙ্গে সাক্ষী ও তার পরিবারের নিরাপত্তা দিতে বলা হয়। এই আবেদনের বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়ায় হাইকোর্টে ২৮ জুন রিট করা হয়। ওই রিটের প্রেক্ষিতে আদালত এ রুল জারি করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।