পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে দেশে ৪৯৯ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে গণধর্ষিত হয়েছেন ৬৪ জন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু এ তথ্য জানান। ১৪টি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের বরাতে করা প্রতিবেদনটিতে মালেকা বানু বলেন, ‘২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে জুন অবধি ২৫৩৭ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়। এর মধ্যে ৬৪ জন গণধর্ষণসহ মোট ৪৯৯ নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণ হয়েছে। আর ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ১৫ জনকে। এছাড়া ৮০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় এই সময়ে।
তিনি বলেন, ‘এ সময়ে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে ৬১ জন। যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫৭ জন। এসিডদগ্ধ হয়েছে ১৯ জন। অগ্নিদগ্ধের ঘটনা ঘটেছে ৪৩টি। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। অপহরণের ঘটনা ঘটেছে মোট ৯৫টি। নারী ও শিশু পাচার করা হয়েছে ৩৫ জনকে। এর মধ্যে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়েছে ৭ জনকে।’
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে ৪০৬ জন নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে এবং আরও ২২ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ২৩ জন গৃহপরিচারিকাকে নির্যাতন করা হয়েছে। এর মধ্যে খুন হয়েছে ১০ জন। আত্মহত্যায় বাধ্য হয়েছেন ২ জন। যৌতুকের জন্য হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৬৯ জন। যার মধ্যে হত্যা করা হয়েছে ৮০ জনকে। উত্ত্যক্ত হয়েছে ১২৫ জন।’
‘উত্ত্যক্তের কারণে আত্মহত্যায় বাধ্য হয়েছে ৪ জন। বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে ১৭০ জন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ১৭ জন। ২০৫ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে ১০৭ জন। শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে ২২৫ জনকে। বেআইনি ফতোয়ার ঘটনা ঘটেছে ৫টি। পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৭ জন। এ ছাড়া ১৪৭টি অন্যান্য নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে,’ বিবৃতিতে উল্লেখ করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।