পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর রাস্তার বেহালদশা নিয়ে প্রতিদিন বিব্রত হতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, যেখানেই যাই, জনগণ আমাকে রাজধানীর ভাঙাচোরা জরাজীর্ণ রাস্তাঘাট নিয়ে দোষারোপ করেন। ফেসবুক, টুইটারেও আমাকে নিয়ে ব্যঙ্গ করা হয়। রাজধানীর রাস্তাঘাট নিয়ে জবাব দিতে দিতে আমি ত্যক্ত-বিরক্ত ও হয়রানী। তাই আমি সবাইকে জানাতে চাই, আমি বড়ই বিপদে আছি।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। ঢাকা-চট্টগ্রাম ও জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ চার লেনের মহাসড়কের উদ্বোধন উপলক্ষে এ সাংবাদিক সম্মেলনের আয়াজন করা হয়। আগামীকাল ২ জুলাই প্রধানমন্ত্রী এ দুটি মহাসড়ক উদ্বোধন করবেন। চার লেন বিশিষ্ট এ দুটি সড়কে ওই দিনই চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের স্বীকার করেন, যাত্রাবাড়ী থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তাটি চলাচললে উপযোগী নয়। এটি খানাখন্দে ভরে গেছে। মালিবাগ-মৌচাক ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তার অবস্থাও একই। এ ছাড়া রাজধানীর অনেক এলাকার রাস্তাঘাটেরও বেহাল দশা। আমি যেখানে যাই, মানুষ শুধু এগুলো নিয়ে প্রশ্ন করে।
তিনি বলেন, আমি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তাই মানুষের এ ধরনের প্রশ্ন করা স্বাভাবিক। কিন্তু বিপদ হলো, এ সড়কগুলো আমার অধীনে নয়। এগুলো ঢাকার দুই সিটির অধীনে। এসব নিয়ে আমার কোনো রেসপনসিবিলিটি নেই। তার পরও এগুলো নিয়ে আমাকে বিব্রত হতে হচ্ছে। এখন এই রাস্তাঘাটগুলোর কী দশা হবে এ নিয়ে আমার কাছে কোনো জবাবও নেই। এগুলোর জবাব আছে দুই সিটির মেয়রদের কাছে।
আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা আগের থেকে স্বস্তিদায়ক হবে এমন আশার কথা জানিয়ে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদের উপহার হচ্ছে দু’টি জাতীয় মহাসড়ক উদ্বোধন। এতে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা আগের যে কোন সময়ের থেকে স্বস্তিদায়ক হবে। এবারে রাস্তা গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক ভালো। ভালো রাস্তার কারণে যানজটের আশঙ্কা কমে যাবে।
ভিআইপিদের কারণে ঈদের সময় যানজটের সৃষ্টি হয় উল্লেখ করে সড়ক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ভিআইপিরা যখন ঈদের সময় রং সাইড দিয়ে চলেন তখন খুব সমস্যা হয়। তখন আমরা আর যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। এ জন্য আপনাদের মাধ্যমে আমি সকলের কাছে অনুরোধ করবো, যে যতো বড় নেতাই হোক, যতো প্রভাবশালী মন্ত্রীই হোক, তাদের কাছে সবিনয় অনুরোধ, জনস্বার্থে রাইট সাইডের রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। আমি তো রং সাইড দিয়ে চলি না।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ জাতীয় মহাসড়ক চালু হলে দেশের সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম চারলেনের উদ্বোধনের পর দাউদকান্দি থেকে চট্টগ্রামের সিটি গেইট পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার মহাসড়কে চার ঘণ্টায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়া এবং আসা যাবে। জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চার লেন চালু হলে ময়মনসিংহ ও গাজীপুরে উৎপাদিত শিল্প ও কৃষিপণ্য ঢাকাসহ দেশের অন্যস্থানে সহজেই পরিবহন করা যাবে। মহাসড়ক দুটি চার লেনে উন্নীত হলে সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজট কমে যাবে। পরিবহন ব্যয়ও কমে যাবে বলে জানান পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।