পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য গৃহ নির্মাণ ঋণের সুদের হার ১০ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশ করার পরও তেমন সাড়া মেলেনি। এ কারণে গৃহ নির্মাণ ঋণ কার্যক্রমের বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে উৎসাহ সৃষ্টি করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সহজ করা হচ্ছে ঋণ ও কিস্তি পরিশোধ কার্যক্রম। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে এখন থেকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসা ভাড়াকে ঋণের কিস্তি হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
সরকারি চাকরিজীবীদের সহজ শর্তে গৃহনির্মাণ ঋণ বিতরণের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর প্রায় দেড় বছর কেটে গেছে। এরমধ্যে মাত্র ৩০০ চাকরিজীবী এ সুযোগ নিয়েছেন। এ অবস্থায় ঋণ কার্যক্রম আরো কার্যকর করে তুলতে নানা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ঋণ বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রত্যেক শাখায় গৃহ নির্মাণ ঋণ সংক্রান্ত ডেস্ক স্থাপন করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর শাখায় গৃহ নির্মাণ ঋণ সংক্রান্ত ব্যানার/ফেস্টুন প্রদর্শন করে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হবে।
সূত্র জানায়, সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালার আওতায় এই কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে এক বৈঠক স¤প্রতি অর্থ বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বৈঠকের কার্যবিরণীতে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। খুব শিগগিরই এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করা হবে।
বৈঠকে বলা হয়, এই কার্যক্রম এখন পর্যন্ত আশানুরূপ পর্যায়ে পৌঁছতে সক্ষম হয়নি। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের টার্গেট অনুযায়ী এই পর্যন্ত প্রাপ্ত আবেদনের সংখ্যাও অপ্রতুল। গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে ঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনা, গ্রাহক সংখ্যা বাড়ানো এবং বিষয়টিকে আরো সহজ করার জন্য সভায় বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এই সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে-গৃহ নির্মাণ ঋণের কিস্তি সংক্রান্ত হিসাব এবং সরকার প্রদত্ত সুদ ভর্তুকি দেয়ার প্রক্রিয়াকে সহজ করার উদ্দেশ্যে প্রতি মাসের ৫ তারিখে ঋণের কিস্তি দেয়ার তারিখ নির্ধারণ করতে হবে। সরকারি কর্মচারিদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ ঋণ কার্যক্রমের ওপর বাস্তবায়নকারী সংস্থাসমূহ তাদের প্রধান অফিস/জোনাল অফিসগুলোতে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে এক কর্মশালা আয়োজন করতে হবে।
উল্লেখ্য, স্বল্প সুদে সরকারি চাকরিজীবীদের গৃহঋণ কার্যক্রম ১ জুলাই ২০১৮ সাল থেকে শুরু করা হয়। এই ঋণের আওতায় এক কর্মকর্তা-কর্মচারিকে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ এবং সর্বনিম্ন ২০ লাখ টাকা ঋণ দেয়া হচ্ছে। এই কার্যক্রম শুরু থেকে গৃহ নির্মাণ ঋণের সুদের হার ছিল ১০ শতাংশ। এর মধ্যে ঋণ গ্রহীতা চাকরিজীবী দেবেন ৫ শতাংশ, বাকি ৫ শতাংশ সরকার থেকে ভর্তুকি দেয়া হবে। কিন্তু চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ঋণের সুদের হার ১ শতাংশ কমিয়ে ৯ শতাংশ করা হয়েছে। এই ৯ শতাংশের মধ্যে ঋণ গ্রহীতাকে আগের মত ৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। বাকি ৪ শতাংশ সরকার পরিশোধ করবে। এ বছর থেকে যারা ঋণ নেবে শুধুমাত্র তারাই ৯ শতাংশ সুদে গৃহ নির্মাণ ঋণ পাবেন।
জানা গেছে, ১৪ লাখ সরকারি চাকরিজীবীদের গৃহনির্মাণ ঋণের সুবিধা দেয়ার কারণে এখাতে এক হাজার কোটি টাকা ভর্তুকির প্রয়োজন পড়বে। পাশাপাশি প্রায় দেড় হাজার বিচারকরা এর আওতায় আছেন। এবার নতুন করে যোগ হচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ হাজার শিক্ষকরা। ফলে ভতুর্কী দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড়াতে পারে বলে অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।