পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
মূল্য সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সঙ্গে শেয়ারবাজারের লেনদেনেও গতি ফিরেছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। একই সঙ্গে ডিএসইতে দেড় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে।
শেয়ারবাজারে ভয়াবহ পতনের মধ্যে গত ১৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষে দীর্ঘ ও স্বল্পমেয়াদি বিভিন্ন পদক্ষেপ ঘোষণায় এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ফিরে আসে।
১৬ জানুয়ারি থেকে গত সোমবার পর্যন্ত টানা তিন কার্যদিবস ডিএসই ও সিএসইতে সূচকের বড় উত্থান হয়। এরপর মঙ্গলবার দুই বাজারেই সূচকের কিছুটা পতন হয়। সেই সঙ্গে কমে লেনদেনের পরিমাণ। তবে পরের দিন বুধবারই আবার ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফেরে শেয়ারবাজার।
বৃহস্পতিবার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে উর্ধ্বমুখী প্রবণতার আভাস পাওযা যায়। লেনদেন শুরু থেকে শেষ পর্যন্তও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। ফলে সবকটি মূল্য সূচকের বড় উত্থান হয়।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২৮০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ৪৪টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির দাম।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ৭৩ পয়েন্ট বেড়ে চার হাজার ৫১৩ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ২৩ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৫৪৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৩৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে সূচকের সঙ্গে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। গত ১ ডিসেম্বরের পর ডিএসইতে আবারও পাঁচশ কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হয়েছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫১৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪৩৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৭৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে লাফার্জাহোলসিমের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩১ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ২৬ লাখ টাকার। ১৪ কোটি তিন লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে খুলনা পাওয়ার।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- বীকন ফার্মাসিউটিক্যাল, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস, এসএস স্টিল, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, এসকে ট্রিমস, ন্যাশনাল টিউবস এবং কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্স।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২১০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৭৪৪ পয়েন্টে। বাজারে লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ২৬৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৩৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।