পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের গ্যাসকূপে মজুদ গ্যাস মাত্র ১১ বছর ব্যবহার সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। গতকাল জাতীয় সংসদে এ তথ্য তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে মোট ১০ দশমিক ৬৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুদ রয়েছে। গতকাল সোমবার একাদশ সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ এক সদস্যের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, দেশে বিদ্যমান গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে বর্তমানে দৈনিক ২ হাজার ৫৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে। এই হারে গ্যাস উৎপাদন অব্যাহত থাকলে মজুদ গ্যাস ১১ বছর ব্যবহার করা সম্ভব। তবে গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভাব্য স্থানে গ্যাসকূপ খননের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী বাপেক্স ২০১৯-২০২১ সাল নাগাদ দুটি অনুসন্ধান কূপ, ২০২২-২০৩০ সাল নাগাদ ১৩টি অনুসন্ধান কূপ এবং ২০৩১-২০৪১ সাল নাগাদ ২০টি অনুসন্ধান কূপ খননের উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে শ্রীকাইল ইস্ট ১ অনুসন্ধান কূপ খনন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এর বাইরে সিলেট জেলার জকিগঞ্জে একটি ও ভোলা জেলায় দুটি অনুসন্ধান কূপ খনন কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নসরুল হামিদ বলেন, পেট্রোবাংলার সঙ্গে বিভিন্ন আঞ্চলিক তেল কোম্পানির সম্পাদিত উৎপাদন বণ্টন চুক্তির (পিএসসি) আওতায় অগভীর সমুদ্রের ব্লক এস এস ০৪, এস এস ০৯, এস এস ১১ এবং গভীর সমুদ্র অঞ্চলের ব্লক ডিএস ১২-তে নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে অগভীর সমুদ্রে ব্লগ ০৪ নামে একটি অনুসন্ধান কূপ খনন শুরু হবে।
বিএনপি এক সদস্যের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আমদানিকৃত এলএনজিসহ দেশে দৈনিক ৩ হাজার ১৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। ৬টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভ পাওয়ার, শিল্প, সার কারখানা, সিএনজি, গৃহস্থালী, বাণিজ্যিক ও চা বাগানে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আবাসিক খাতে গড়ে দৈনিক ৪৩৫ মিলিয়ন ঘনফুট এবং বাণিজ্যিক খাতে গড়ে দৈনিক ২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে।
এছাড়া সরকার দলীয় সদস্যের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে দৈনিক ২ হাজার ৫৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে এবং আমদানিকৃত এলএনজি সরবরাহের পরিমাণ দৈনিক ৫৯০ মিলিয়ন ঘনফুট। অর্থাৎ বর্তমানে দেশে দৈনিক গড়ে মোট ৩ হাজার ১৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।